ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আউটসোর্সিং ॥ এবার ডিজিটাল দেশ গড়বে ডিজিটাল নারী

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৬ মার্চ ২০১৭

আউটসোর্সিং ॥ এবার ডিজিটাল দেশ গড়বে ডিজিটাল নারী

জান্নাতুল মাওয়া সুইটি ॥ নবনীতা একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেছেন। এরপর চাকরির জন্য চেষ্টা করতে থাকলেও মনমতো চাকরি খুঁজে না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। ঠিক সে সময় চাকরির আশায় বসে না থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন তিনি। নবনীতা বলেন, ‘বিশ^বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যখন চাকরি খুঁজছি, তখন আমি নিজ উদ্যোগেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়টি আসলে কি, তা জানার চেষ্টা করি। এরপর আমি আপওয়ার্কে এ্যাকাউন্ট চালু করি। এই তো দু’বছর আগের কথা। স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করার উদ্দেশে আমি কাজের ক্ষেত্র হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের বিষয়টিকেই বেছে নিয়েছি। ফার্মেসি বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মার্কেট রিলেটেড প্রচুর কাজ থাকে। সেগুলো থেকেই বেছে বেছে কাজ করতে থাকি। যদিও শুরুর দিকে কাজের রেট বেশ কম পেতাম। তবে দিন দিন যত অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকে, কাজের রেটও বাড়তে থাকে। এখন গড়ে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে কাজ করি। তবে কাজ বেশি করলে পেমেন্টও বেশি পাওয়া যায় স্বাভাবিকভাবেই।’ নবনীতার বিষয়ভিত্তিক কাজগুলের মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার ইনফরমেশন ডেভেলপমেন্ট, ডক্যুমেন্টেশন, মেডিক্যাল রিসার্চ, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডাটাবেজ ডেভেলপমেন্ট, এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ টাস্ক ইত্যাদি। নবনীতার মতে, যেসব মেয়ে যোগ্যতা এবং ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে চাকরি করতে পারছেন না, তারা ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের মতো করে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা অর্জন করতে পারেন। সাধারণ লেখাপড়ার পর গতানুগতিক চাকরির দৌড়ে শামিল না হয়ে নবনীতার মতো অনেক নারী তথ্য ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করছে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশে বেশ কিছু সফটওয়্যার তৈরি প্রতিষ্ঠান, অনলাইনভিত্তিক শিক্ষামূলক ও বাংলা ভাষায় সামাজিক যোগাযোগ পোর্টাল গড়ে উঠেছে, যেগুলোর পরিচালনায় রয়েছে নারী উদ্যোক্তারা। বলতে গেলে তথ্য প্রযুক্তির এ বিশাল ক্ষেত্রে নারীদের অবস্থান বেশ শক্তিশালী। আইসিটি বা তথ্যপ্রযুক্তিতে পুরুষদের পাশাপশি বর্তমানে নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছেন। কিছু দিন আগেও এ খাতের শিক্ষা, সেবা ও ব্যবসা ছিল পুরুষদের দখলে। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। ধীরে ধীরে চিত্র পাল্টেছে। আধুনিক বিশে^ উন্নয়নের অন্যতম উপাদান তথ্য ও প্রযুক্তি। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করছে। চার দশক আগে যে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সে বাংলাদেশ এখন আর নেই। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের চেয়ে এগিয়ে আছে। বর্তমানে দেশের নারীরা প্রযুক্তিবান্ধব হয়ে উঠছে। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক প্রশিক্ষণে শতকরা ৩০ ভাগ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্ভাবনার নতুন দুয়ার হিসেবে উন্মুক্ত হয়েছে আইসিটি বিভাগ। দেশের নারীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব পোর্টাল, কল সেন্টার, মোবাইল এপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগসহ নানা ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর পেশায় অংশগ্রহণ করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে কম্পিউটার কৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান, টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্সের মতো বিষয়গুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। গার্মেন্টস বা গৃহস্থালির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নারীদের পদচারণা বাড়ছে প্রযুক্তিবিষয়ক কাজে। তথ্য-প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ ত্বরান্বিত হওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ‘এদেশের নারীরা সবক্ষেত্রেই সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীরা আগের চেয়ে এখন প্রযুক্তির দিকে বেশি ঝুঁকছে। নারীরা খুব সহজেই আউটসোর্সিং, এনিমেশন বা কল সেন্টারগুলোতে বর্তমানে কাজ করছে। এতে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার যেমন উন্নয়ন ঘটছে, পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ছে। আইসিটি খাতে একজন নারী যদি তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেন তবে সামাজিক ধ্যান-ধারণা, ধর্মীয় গোঁড়ামি অনেকাংশে কমে আসবে। ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর অংশগ্রহণ জরুরী। সম্প্রতি তথ্য প্রযুক্তি খাতে অনেক পরিবর্তন ঘটছে। ইতিমধ্যেই, গ্রামগঞ্জে আইসিটি খাতে নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের লক্ষ্য ’২১ সালের মধ্যে দেশে আইটি পেশাজীবীর সংখ্যা ২০ লাখে উন্নীত করা। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সরকারের আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে সারাদেশে লার্নিং ও আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যেই এ প্রকল্পের অধীনে ৫ হাজার ১২০ ২০০ ঘণ্টাব্যাপী প্রফেশনাল আউটসের্সিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। এর আগে এ প্রকল্পের আওতায় ২০ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ‘টেকসই নারী উন্নয়নে আইসিটি’ স্লোগানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আইসিটি ডিভিশন মোবাইল আইসিটি ট্রেনিং ল্যাব চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় সাতটি বাসের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার ২ লাখ ৪০ হাজার তরুণী ও মেধাবী নারীর তথ্যপ্রযুক্তির মৌলিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রতিটি বাসে একসাথে ২৫ জনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে বাসগুলো নির্দিষ্ট রুটে চলাচল করছে এবং বছরে ৪০ সপ্তাহ কার্যক্রম চালাবে। ইতিমধ্যেই, অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাবে ল্যাপটপ, বড় এলইডি স্ক্রিনের টিভি, সাউন্ড সিস্টেম, ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংবলিত ৫টি বাসের মাধ্যমে দুইদিনের ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বিভিন্ন জেলায়। এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের লার্নিং এ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্টের প্রকল্প পরিচালক তপন কুমার নাথ জনকণ্ঠকে বলেন,‘ আইসিটি সেক্টরে বর্তমানে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। লার্নিং আর্নিং ডেভেলপমেন্টের অধীনে ইতিমধ্যেই আমরা ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীকে উচ্চতর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আউটসোর্সার তৈরির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সেইসঙ্গে পাঁচটি স্মার্টবাসের মাধ্যমে প্রান্তিক নারীদের আইটি প্রশিক্ষণ দেয়ার কার্যক্রম চলছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, রাজশাহী, নাটোর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর জেলায় স্মার্টবাসগুলো প্রশিক্ষণ কর্মসূচী শেষ করেছে। এসব এলাকার ৩ হাজার নারী ভ্রাম্যমাণ এই মোবাইল আইসিটি ট্রেনিং ল্যাবে দুদিনের আইটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।’ মাত্র দুদিনে কিভাবে আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ আইটির ওপর প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয় এই দুদিনে। যেমন-আইটি কি, কিভাবে জি মেইল এ্যাকাউন্ট খোলা হয়, আউটসোর্সিয়ের বিষয়ে জ্ঞান দেয়া হয়, ফেসবুক ও টুইটার এ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়, ফ্রিল্যান্সার হওয়ার বিভিন্ন কৌশলগুলো সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ দুদিনের প্রশিক্ষণের পর যেসব নারীরা আইটি সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী তাদের বাছাইয়ের মাধ্যমে এ্যাডভান্সড প্রশিক্ষণে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এক্ষেত্রে ৫০ দিনের (২০০ ঘণ্টা) উচ্চতর প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়। এরপর তাদের গ্রাফিক্স, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। উচ্চতর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা প্রফেশনাল আউটসের্সিং পার্সোনালিটিতে পরিপূর্ণ হবে।’ বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের মাত্র শতকরা ৪ ভাগ তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত। এ খাতে নারীর অংশগ্রহণ কম হলেও যোগ্যতায় পিছিয়ে নেই। তবে এখনও পর্যন্ত বেসরকারী খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বেশি। কম্পিউটার কৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলের মতো বিষয়গুলো নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ওমেন ইন আইটি (বিডব্লিউআইটি), যার মূল উদ্যোক্তাও একজন নারী। বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে পেশাগতভাবে জড়িত নারীদের এখন পর্যন্ত প্রধান সংগঠন এটি। প্রযুক্তি খাতে নারীদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করে তুলতে পরিচালিত হচ্ছে ‘ওমেন টেকমেকার্স বাংলাদেশ’, টেক জায়ান্ট গুগলের সহায়তায় ‘গুগল গ্রুপ ঢাকা’ প্রভৃতি। বিডব্লিউআইটির প্রেসিডেন্ট ও দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারপার্সন লুনা শামছুদ্দোহার তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে বিচরণ গত বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম তথ্যপ্রযুক্তিতে মেয়েরা কতটুকু এগিয়ে গেছে সে সম্পর্কে লুনা শামছুদ্দোহা। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ বেড়েছে সেইসঙ্গে তারা এখন অনেক বেশি মেধার পরিচয়ও দিচ্ছে। এখন অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানে আইটি সেন্টারের প্রধান হিসেবে কাজ করছে নারীরা। নারীরা এখন প্রযুক্তি রিলেটেড কর্পোরেট পেশাকে স্বাচ্ছন্দ্যে বেছে নিচ্ছে।’ এ ক্ষেত্রে নারীরা বাধার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে লুনা শামছুদ্দোহা বলেন, সামাজিকভাবেই প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকে। যোগ্যতা এবং মেধায় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের মতো প্রতিটি অন্যান্য ক্ষেত্রেও নারীরা পিছিয়ে নেই।’ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের আরও প্রযুক্তিবান্ধব হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে মেয়েদের শুধু অঙ্ক, ইংরেজী ও বিজ্ঞানে ভাল জানলে হলে হবে না। তাদের প্রযুক্তিতে কম্পিউটার কোডিং এবং প্রোগ্রামিংও শিখতে হবে। সে লক্ষ্যে সারাদেশে একটি আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরি কাজ চলছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নারীদের নেতৃত্ব দিতে হবে। আগামী দুই বছরে দুই লাখ নারীকে প্রযুক্তি শিক্ষায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়ার টার্গেট নেয়া হয়েছে।’ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অল্প শিক্ষিত নারীরা স্বল্প কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব সাইট ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন কাজে সাফল্য আনছে। আমাদের দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এই বিশাল জনশক্তিকে প্রযুক্তির জ্ঞানে জ্ঞানী করতে পারলে তারা আমাদের বোঝা হবে না, তারা হবে দেশের সম্পদ। নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে তথ্যপযুক্তি খাতে। কারণ নারীর পূর্ণ ক্ষমতায়ন যেমন প্রযুক্তি জ্ঞান ছাড়া সম্ভব না, তেমনি নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি সম্ভব নয়। আমাদের দেশে অনেক নারী ঘর থেকে বের হতে চায় নয়। তারা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ পেলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের ঘরে বসে আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাসহ বিপুল অর্থ আয় করতে পারবে যা আমাদের অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন অতি দ্রুত পূরণ করতে চলেছে আমাদের দেশের ডিজিটাল নারীরা।
×