ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খাতা না দেখে ফল প্রকাশ করে এ বক্তব্যের প্রমাণ চায়

ঢাবি ভিসির প্রতি চ্যালেঞ্জ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৬ মার্চ ২০১৭

ঢাবি ভিসির প্রতি চ্যালেঞ্জ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘খাতা না দেখেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের এমন বক্তব্য প্রমাণের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বক্তব্য প্রমাণে ব্যর্থ হলে ঢাবি ভিসির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে বলেও জানিয়েছে তারা। বুধবার দেশের বিভিন্ন দৈনিকে ‘খাতা না দেখেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ ঢাবি ভিসির বরাত দিয়ে এমন সংবাদ প্রকাশের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে এই চ্যালেঞ্জ দেয়া হয় ঢাবি ভিসিকে। প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, দেশের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে প্রায় সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশসহ সকল কর্মকা- অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে। ফলে উত্তরপত্র মূল্যায়ন না করে পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রশ্নই ওঠে না। প্রতিবাদ লিপিতে জানানো হয়, ঢাবি ভিসি যে অভিযোগ তুলেছেন এতে কোন শিক্ষাবর্ষের কোন পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। দেশের অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ঢালাওভাবে এমন মনগড়া মন্তব্য করা একজন উপাচার্যের দায়িত্বশীল পদে অসীন ব্যক্তির পক্ষে কতটুকু সমীচীন তা কারও পক্ষে বুঝা সম্ভব নয়। ওই প্রতিবাদ লিপিতে আরও জানানো হয়, ঢাবি ভিসি ড. আরেফিন সিদ্দিক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চরম বিদ্বেষী, তার বক্তব্যে এটাই স্পষ্টর হয়। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমর্থনে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য চ্যালেঞ্জ দেয়া হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। ঢাবি ভিসি যদি তার বক্তব্য প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজধানীর সরকারী তিতুমীর কলেজে শিক্ষক পরিষদ মিলনায়তনে মানসম্মত শিক্ষা, বিরাজমান সমস্যা ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ঢাবি ভিসি অভিযোগ করেছেন, খাতা না দেখেই চূড়ান্ত ফল দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে তাদের শিক্ষার মান কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। ওই অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য আরও বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের আত্মীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক। তিনি একবার অনার্সের খাতা নিলেও অসুস্থতার কারণে দেখতে পারেননি। তাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানান, দ্রুত যেন খাতা নিয়ে যাওয়া হয়। তার দ্বারা খাতা দেখা সম্ভব নয়। কিন্তু মাসখানেক পার হলেও কেউ খাতার বিষয়ে খোঁজ নেয়নি। এর কিছুদিন পরেই ফলাফল দিয়ে দেয়া হয়। অথচ তখন অদেখা অবস্থায় কয়েক শ’ খাতা ওই শিক্ষকের বাসায় পড়ে ছিল। এই হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার অবস্থা।
×