ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগাছানাশক প্রয়োগ করে কৃষকের সর্বনাশ

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১৬ মার্চ ২০১৭

আগাছানাশক প্রয়োগ করে কৃষকের সর্বনাশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৫ মার্চ ॥ জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আগাছানাশক বিষ ব্যবহার করে কৃষকের সর্বনাশ হয়ে গেছে। আগাছা ধ্বংস করতে গিয়ে তাদের শত শত বিঘা জমির ধানের চারাই ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পেট্রোকেম এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আগাছানাশক মেটোসালফুরান মিথাইল ও ক্লোরিমিউরোন ইথাইন গ্রুপের এ্যালমিক্স ২০ ডব্লিউপি নামে আগাছানাশক ব্যবহার করে কৃষকের এই বিপত্তি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। আর সংশ্লিষ্ট পেট্রোকেম কর্তৃপক্ষ বলছেন, কৃষকের ধানের চারা সতেজ করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের খোচাবাড়ি, নাগেশ্বরবাড়ি, ডাঙ্গাপাড়া ও চৌটাকিসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় কয়েকশ’ কৃষক এখন হতাশায় ভুগছেন। তাঁদের কেউ নিজের জমিতে কেউ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেন। যারা জমিতে উল্লিখিত আগাছানাশক প্রয়োগ করেছেন তাঁদের ধানের চারা লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চারা আর বড় হচ্ছে না। তবে যারা আগাছানাশক ঐ বিষ ব্যবহার করেননি, তাঁদের ধানের চারা সতেজ রয়েছে। বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বিষ বিক্রির দোকান ঘেরাও করে ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। কৃষকের দাবির মুখে পেট্রোকেম কোম্পানি ১৫ সদস্যের একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করে ও ধানের চারা সতেজ করতে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করে। এদিকে কৃষি অধিদফতরের কর্মকর্তা ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা মাঠ পরিদর্শন করেন। নাগেশ্বরবাড়ি, ডাঙ্গাপাড়া, চৌটাকিপাড়ার কয়েকজন কৃষক জানান, আমরা এক বিঘা জমি ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা করে বর্গা নিয়েছি। এখন কিভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করব? সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন জানান, আমরা ডিলারের কাছ থেকে বিষ নিয়ে কৃষকদের দিয়েছি। লাহিড়ি বাজারে অবস্থিত জয়েন্ট টেড্রাসের ডিলার আলমগীর হোসেন জানান, মাটির কারণে এরকম হতে পারে। তবু ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কে এম মাউদুদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ওই ওষুধটি আসলে পানিকচু ও মোছাঘাসের জন্য। এ ঘটনার পর কোম্পানি বাজার থেকে এ্যালমিক্স বিষ সরিয়ে নিয়েছে।
×