ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কালীগঞ্জে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১৬ মার্চ ২০১৭

কালীগঞ্জে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ১৫ মার্চ ॥ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কালীগঞ্জের মনোহরপুর কবর স্থানের পাশে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে বিপুল ম-ল (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে। নিহত বিপুল ম-ল মনোহরপুর গ্রামের ফজলু ম-লের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য পুকুরিয়া গ্রামের লিটন হোসেন এবং মনোহরপুর গ্রামের পরাজিত ইউপি সদস্য বজলু ম-লের মধ্যে গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে রাতে মনোহরপুর কবর স্থানের পাশে দু’গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষ শুর হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বজলু ম-লের সমর্থক বিপুল ম-ল নিহত হয়। এ সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়। ইসলামপুরে বিধবা নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর থেকে জানান, ইসলামপুর পৌরসভার পশ্চিম পলবান্ধা গ্রামে জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে মঙ্গলবার রাতে রসমালা নামের এক বিধবা মারা গেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পলবান্ধা গ্রামের মৃত নাজির উদ্দিনের স্ত্রী রসমালার সঙ্গে তার ভাই আবির উদ্দিন ও ভাতিজা গোলাপ উদ্দিনের দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে রসমালা গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসার অভাবে মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান। বুধবার সকালে নিজ ঘরে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী ইসলামপুর থানায় খবর দেয়। পুলিশ তা র লাশ উদ্ধার করে। সুনামগঞ্জে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫০ নিজস্ব সংবাদদাতা সুনামগঞ্জ থেকে জানান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বিরগাঁও ইউনিয়নের উফতির পার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’ক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫০ জন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের সুনামগঞ্জ সদর ও দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম বিরগাঁও ইউনিয়নের উফতির পার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় হযরত আলী ও খেলন মিয়ার মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার দুপুরে দু’পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে মধ্যে গুলিবিনিময় ও দেশীয় আস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে চলে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫০ জন আহত হয়। রৌমারীতে আহত ১৫ স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, রৌমারীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী পুরুষসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপালে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের হাপাতিকান্দা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হাপাতিকান্দা গ্রামের মতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন থেকে তার ভোগদখলীয় জমিতে হাল চাষ করতে গেলে একই গ্রামের জাইদুল ইসলামের লোকজন পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন রক্তাক্ত হয়। এক পর্যায় জাইদুল ইসলামের লোকজন মতিয়ার রহমানের বাড়িতে গিয়ে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে। ভাংচুরের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
×