ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইথানল তৈরির প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করল খুদে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৬ মার্চ ২০১৭

ইথানল তৈরির প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করল খুদে শিক্ষার্থীরা

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ যানবাহনে জ্বালানি সহায়ক হিসেবে গাজন (পচন) পদ্ধতিতে ইথানল তৈরির প্রক্রিয়া উপস্থাপন করলো রাজশাহীর লক্ষীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মেয়েরা। বাড়িতে জমে থাকা শস্যকণা যেমন আলু, চাল, ভুট্টা, গম এবং শর্করা জাতীয় উদ্ভিদকে গাজন করে ইথানল তৈরির প্রক্রিয়া উপস্থাপন করে তারা। বুধবার নগরীর মহিষবাথানে হাতেম ফাউন্ডেশন পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত বিজ্ঞান উৎসব ইথানল ছাড়াও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম উদ্ভাবন করে চমক দেখিয়েছে খুদে এ শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞান উৎসবে অংশ নেয় নগরীর লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিয়া রহমান মোহনা জানায়, যানবাহনের জ্বালানি অফুরান্ত নয়। এক সময় হয়তো জ্বালানি কমে যাবে। তবে জ্বালানির সহায়ক হিসেবে তাদের উদ্ভাবিত ইথানল ব্যবহার করে জ্বালানি সাশ্রয়ী করা সম্ভব হবে। মোহনা জানায়, সরকারীভাবে এ প্রক্রিয়ায় ইথানল তৈরি করলে দেশের জ্বালানি ঘাটতি কমে আসবে। একই শ্রেণির তামিমা হায়দার, নিশাত তাসনিম চৌধুরী, সুমাইয়া জান্নাত ও সাদিয়া আফরিন এ প্রক্রিয়া তৈরি করে। এছাড়া মহিষবাথান আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়েরা তৈরি করে দেখায় ‘সর্বদিকে তাপ দেয়’, এমন চুলা, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়ি চালানো এবং যান্ত্রিক শক্তির সাহার্যে মোবাইল চার্জ পদ্ধতি। রাজশাহী পুলিশ লাইনস স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা তৈরি করে ভূমিকম্প হওয়ার আগে অটোমেটিক বাড়ির বিদ্যুত ও গ্যাসের চুলা বন্ধের পদ্ধতি। এছাড়া নগরীর আল হিকমা একাডেমি, মহিষবাথান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেডিক্যাল ক্যাম্পাস উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রায় ১০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের তৈরি বিভিন্ন প্রযুক্তি উপস্থাপন করেন বিজ্ঞান উৎসবে। ‘শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিখবে হাতে কলমে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনব্যাপী এ বিজ্ঞান উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আবদুল খালেক। খুদে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারে তিনি অভিভূত হয়ে বলেন, বিশে^ এখন বিজ্ঞানচর্চা এগিয়েছে। এ দেশের মেধাবীদের ব্যবহার করে বিদেশীরা তাদের বিজ্ঞানে এগিয়ে নিচ্ছে। এই খুদে বিজ্ঞানী সন্তানরাই একদিন দেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ হাতেম। এ সময় তিনি কল্যাণমূলক সকল কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরে বিজ্ঞান উৎসবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
×