ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রেতার অধিকার রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৬ মার্চ ২০১৭

ক্রেতার অধিকার রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রচলিত বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশে ই-বাণিজ্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল প্রতারণার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করে এসব ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। মন্ত্রী বুধবার ঢাকার কাওরান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও কনজুমারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০১৭’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের ইসতেহার মোতাবেক বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন পাস করা হয়েছে। সে মোতাবেক ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় জাতীয় কাউন্সিল থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যক্রমের ফলে এখন ভোক্তাদের অভিযোগ অনেক কমে এসেছে, পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২৪,৫৩০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১৭,৭২,৫৬,১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভোক্তাদের সুরক্ষায় তথ্য প্রযুক্তিসহ সংশ্লিষ্ট সব সেক্টরের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষায় নিজেদের সচেতন থাকতে হবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতিকে দুটি প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশকে ডিজিটাল এবং মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। দেশ পরিচালনার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডিজিটাল কার্যক্রম চালু হয়েছে। দেশে ৫,২০০টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রযুক্তির সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের ৬.৭ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১১.৯ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। অফিসগুলো পেপার লেস হচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্নমধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে। দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যআয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ভোক্তারাও ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছেন। ই-বাণিজ্যের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। এ ক্ষেত্রে যাতে ভোক্তা অধিকার বঞ্চিত না হন, সে জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। একসময় দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল, আজ দেশে ১৬ কোটি মানুষ, আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে কিন্তু প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাব নেই। বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এবারের বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘ভোক্তার আস্থাশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ি।’ এই বিষয়ের উপর সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসিসের সভাপতি ও বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের জনক মোস্তাফা জব্বার। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম লস্করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসু, ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান, এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল ইসলাম এবং ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।
×