ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাংবাদিককে মারধর

ঢাবির বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের তাণ্ডব ॥ তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ১৫ মার্চ ২০১৭

ঢাবির বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের তাণ্ডব ॥ তদন্ত কমিটি

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে তাণ্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রুম দখল করে নিজেদের ইচ্ছামত ছাত্র তুলতে তাণ্ডব চালায় তারা। এসময় তারা আবাসিক শিক্ষকদের ধাওয়া করে এবং প্রাধ্যক্ষের কার্যালয় ভাংচুর করে। এছাড়া মারধর করে এক সাংবাদিককেও। সোমবার রাতে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদারের নেতৃত্বে এই তা-ব চলে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, সোমবার রাত ১২টার দিকে বিজয় একাত্তর হলের পদ্মা ও যমুনা ব্লকের প্রতিটি কক্ষে দু’একজন করে শিক্ষার্থী জোর করে তুলে দেয় ছাত্রলীগ। খবর পেয়ে কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক হলে ছুটে আসেন। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। রাত সোয়া একটার দিকে হলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আ জ ম শফিউল আলম ভূইয়া। তিনি হলে নিজের কক্ষে প্রবেশ করলে হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। একপর্যায়ে প্রাধ্যক্ষের কক্ষের জানালার কাঁচ ভাংচুর করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান প্রাধ্যক্ষের কক্ষে যান। তারা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডেকে কথা বলেন। হলের ছাত্রদের নিজ নিজ কক্ষে ফেরত যেতে নির্দেশ দিতে বলেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। যেসব কক্ষে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শিক্ষার্থী তোলা হয়েছে, তাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনতে বলেন। এ অবস্থায় ভোর চারটা পর্যন্ত হলের ভেতরের মাঠে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন। সাংবাদিককে মেরে অজ্ঞান করে ছাত্রলীগ ॥ এদিকে ভোর সাড়ে চারটার দিকে হলের পদ্মা ব্লকের ৫০০৩ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী ও বার্তাসংস্থা ইউএনবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইমরান হোসাইনকে মারধর করা হয়। ছাত্রলীগ নেতা তুনান শেখ, এসআর সজীব, পাপ্পু ঢালী, শফিক ফকির, আব্দুর রহমান অয়ন, মোঃ বনী ইয়ামিন, মাহফুজ আহমেদ ও সালাহ উদ্দিনসহ ১০-১২ জন এ হামলা চালায়। ইমরান অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। হামলাকারীরা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদারের অনুসারী। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিউল আলম ভূইয়া বলেন, কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×