ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হারল আবাহনী

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১৫ মার্চ ২০১৭

হারল আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘরের মাঠে কিনা পয়েন্ট পেল পরদেশী ক্লাব? এমন হতাশাজনক ব্যাপারই ঘটেছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। মঙ্গলবার এএফসি কাপে ‘ই’ গ্রুপের প্রথম খেলায় বাংলাদেশের ক্লাব ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস এ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব। আবাহনীর পরের ম্যাচ হলো ভারতের মোহনবাগানের বিরুদ্ধে (৪ এপ্রিল, কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়াম)। খেলা শুরুর ৫ মিনিটেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। মাজিয়া অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আসাদুল্লাহর স্কয়ার পাস থেকে বল পেয়ে পাস দেন ইমাজ আহমেদ। পোস্টের কাছ থেকে বাঁ পায়ের তীব্র শটে বল জালে পাঠান মোহাম্মদ ওমায়ির (১-০)। ৮৬ মিনিটে গোলরক্ষককে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে পেয়ে গোল করে মাজিয়াকে আরও এগিয়ে নেন অধিনায়ক আসাদুল্লাহ আব্দুল্লাহ (২-০)। রিভার্স সুইপকেই অস্ত্র করবেন ওয়ার্নার স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে আলোচনায় এগিয়ে ছিলেন বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। চারজনই যে ফর্মের তুঙ্গে। এ পর্যায়ে ১-১এ চলমান চার টেস্টের দ্বৈরথে অশ্বিন-স্মিথ জ্বলে উঠলেও কোহলি আর ওয়ার্নার সুবিধা করতে পারেননি। চার ইনিংসে ওয়ার্নারের রান ৩৮, ১০, ৩৩ ও ১৭। তিনবারই অশ্বিনের বলে আউট হয়েছেন মারকাটারি এই ওপেনার। ভারতীয় অফস্পিনারের ছন্দ নষ্ট করতে ওয়ার্নার নিজের প্রিয় সুইচ-হিট শটগুলো কাজে লাগাতে পারতেন, সেটি থেকেও বিরত থাকছেন। কিন্তু কেন? বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে ৩০ বছর বয়সী নিউ সাউথ ওয়েলস তারকা বলেন, ‘সুইচ-হিট মারতে গেলে এলবিডব্লিউ হয়ে যেতে পারি। আমার মনে হয় ওর বিপরীতে রিভার্স-সুইপই হতে পারে ভাল অস্ত্র। অশ্বিন খুব ভাল বোলার। ঘরের মাটিতে সে অনেক উইকেট পেয়েছে। আমাকে অবশ্যই উত্তর দিতে হবে।’ রাচিতে বৃহস্পতিবার শুরু গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় টেস্ট। সিরিজে কোহলি-স্মিথ, পিটার হ্যান্ডসকম্ব-ইশান্ত শর্মাদের বাকযুদ্ধও বেশ আলোচিত। মাঠে দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে যেন যুদ্ধংদেহী মনোভাব। পরীক্ষিত ডানপিটে হয়েও ওয়ার্নার এই যুদ্ধে জড়াতে চান না। এটা ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটেরই জন্যই সুখবর। কারণ হালে দলটির অন্যতম একরোখা খেলোয়াড় তিনি। তবে ভারতীয়দের আচরণ যে খুব একটা পছন্দ হচ্ছে না, অস্ট্রেলীয় সংবাদ মাধ্যমকে সেটি জানিয়েছেন ওয়ার্নার, ‘বেঙ্গালুরু টেস্টে ওরা মাঠ ও মাঠের বাইরে যা করেছে, আমরা হলে সেটি কখনই করতাম না। পুনের প্রথম টেস্টের হারের পর ভারতীয়রা হয়ত মানসিক চাপে ছিল। আশা করছি তৃতীয় ম্যাচে এমন কিছু হবে না। সেখানে এগিয়ে যেতে আমরা নিজেদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলব।’ ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে অশ্বিন বল করতে এলেই ভারতীয় ফিল্ডারদের অভিব্যক্তিটা এমন যে, এখনই আউট হবেন তিনি। আর আম্পায়ার রিভিউ নিতে গিয়ে স্মিথ ও অস্ট্রেলীয় ফিল্ডারদের ড্রেসিং রুমের দিকে তাকানো নিয়ে কোহলি ও ভারতীয়দের যত ক্ষোভ। ওয়ার্নার তার বক্তব্যে এসবের দিকেই ইঙ্গিত করেন। প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বড় জয়ের নায়ক স্পিনার স্টিভ ও’কেফে। তবে মিচেল স্টার্কই ছিলেন সত্যিকারের আতঙ্ক।
×