ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শততম টেস্ট ঘিরে বিশেষ আয়োজন

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১৫ মার্চ ২০১৭

শততম টেস্ট ঘিরে বিশেষ আয়োজন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হচ্ছে আজ। কলম্বোয় শুরু হবে টেস্টটি। বাংলাদেশের শততম টেস্ট ম্যাচ এটি। যেটি কলম্বোর পি সারা ওভালে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের শততম টেস্ট। তাই টেস্টকে ঘিরে থাকছে বিশেষ আয়োজন। বিসিবি এ টেস্টকে ঘিরে বিশেষ আয়োজন করবে। শততম এই টেস্টে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য থাকছে স্মারক ক্যাপ, ক্রেস্ট ও ব্লেজার। যাতে লেখা থাকবে ‘শততম টেস্ট’। এছাড়া থাকছে বিশেষ স্যুভেনির। বাংলাদেশ ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘শততম টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা পাবেন স্মারক ক্যাপ, ক্রেস্ট ও ব্লেজার। যাতে লেখা থাকবে ‘শততম টেস্ট’। এছাড়া শততম টেস্টকে ঘিরে থাকছে বিশেষ স্যুভেনির।’ ম্যাচটি কলম্বোতে হবে। তাই আয়োজনের মাত্রা একটু কমই থাকবে। দেশে শততম টেস্টটি হলে আয়োজনের মাত্রা অনেক বাড়ত। কিন্তু কিছুই করার নেই। এরপরও বিসিবি যতটুকু পারবে, ততটুকুই করবে। সাধ্যের কোন কমতি রাখবে না। আকরামই যেমন বললেন, ‘এর চেয়েও বেশি কিছু করার ইচ্ছা ছিল। যেহেতু দেশের বাইরে খেলা তাই বড় আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।’ ২০০০ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলে। টেস্ট অঙ্গনে পা রাখে। ১৬ বছর শেষ হয়ে ১৭ বছরে পা রেখেছে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাস। ১৭তম বছরে গিয়ে বাংলাদেশ শততম টেস্টটি খেলছে। টেস্টটির মর্যাদা বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক। আর তাইতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ টেস্টের জন্য বিশেষ আয়োজন রেখেছে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডও বাংলাদেশের এমন ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে চায়। তাই তাদেরও বিশেষ আয়োজন আছে। বিসিবি আয়োজনে মাত্রা বাড়াতে না পারলেও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড ঠিকই আয়োজনে বাড়তি মাত্রা যোগ করছে। তাারও এ ম্যাচটি নিয়ে আয়োজন করবে। ‘বিশেষ’ পরিকল্পনা আছে তাদের। শনিবার বোর্ড প্রধান থিলাঙ্গা সামাথিপালাই সংবাদ মাধ্যমকে এমনটি জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘শততম ম্যাচ খেলা দুই দলের খেলোয়াড়দের দেয়া হবে ‘বিশেষ’ পদক।’ যদিও শ্রীলঙ্কা ২৫৭ টেস্ট খেলতে নামবে। তবুও তারা এ আয়োজনের সাক্ষী হতে চলেছেন। সামাথিপালা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। তারা আমাদের দেশে শততম টেস্ট খেলবে। এমন একটি ম্যাচ আয়োজন করতে পেরে আমরা ভীষণ আনন্দিত।’ এই ম্যাচ দেখতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিদল থাকবে। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দুইদেশের বোর্ড প্রধানের উপস্থিতিতে ছোট একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলে জানান সামাথিপালা। সেখানেই দুই দলের খেলোয়াড়দের মেডেল দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘দুই দলকে মেডেল দেয়া হবে ম্যাচ শুরুর আগেই। ম্যাচ উদযাপন করতে দলের জন্য একটি ডিনারের ব্যবস্থা থাকবে।’ ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সভাপতি ছিলেন সামাথিপালা। সে সময় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধানও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তিতে তার অবদান রয়েছে। ২০ বছর ধরে টাইগারদের কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন তিনি এই বলে, ‘ক্রিকেটে অনেক উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। এক সময় সেখানে ফুটবল খুব জনপ্রিয় ছিল। ফুটবলের এখন ভাটা পড়েছে ক্রিকেটের উন্নতিতে। আশাকরি তারা আরও উন্নতি করবে। আমরা বাংলাদেশের শততম টেস্টটি আয়োজন করতে পেরে খুশি ও গর্বিত। ম্যাচের দিন সকালে দুই দলের বোর্ড সভাপতি এখানে অতিথি হয়ে আসবেন। আমরা পাঁচ ’শ শিশুদের ম্যাচটি দেখার আমন্ত্রণও জানিয়েছি।’ ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৯৯টি টেস্ট খেলেছে। ৭৬টি টেস্টে হেরেছে। ১৫ টেস্টে ড্র করেছে। জিতেছে ৮টি টেস্টে। এবার বাংলাদেশের সামনে শততম টেস্ট খেলতে নামার পালা। দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে দেয়া হবে শততম টেস্টের নীল রঙের বিশেষ ব্লেজার। ব্লেজারের পকেটের ওপর লেখা থাকবে ‘১০০তম টেস্ট’ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘শততম টেস্টের স্কোয়াডে থাকা সকলেই পাচ্ছেন এই ব্লেজার। এর রঙ হবে নীল। কলম্বোর একটি অভিজাত টেইলার্সে এর অর্ডার দেয়া হয়েছে। যেহেতু দলের খেলোয়াড় সবাই এখানে, তাই তাদের মাপ অনুযায়ী এখানেই অর্ডার দেয়া হয়েছে।’ এ টেস্ট দেখতে শ্রীলঙ্কায় থাকবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। শততম টেস্ট মাঠে গড়ানোর আগে কেক কেটে উদযাপন করবেন বোর্ড কর্মকর্তারা। ওই উদযাপনে খেলোয়াড়দের হাতে ব্লেজার তুলে দেবেন বিসিবি সভাপতি। বিসিবি সভাপতি পাপনের সঙ্গে থাকবেন বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক, মাহবুবুল আনাম, জালাল ইউনুস, লোকমান হোসেন ভুঁইয়া, আকরাম খান ও হানিফ ভুঁইয়াসহ আরও শীর্ষ কর্মকর্তারা।
×