ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দিনাজপুরে কথিত পীরসহ জোড়া খুনে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৫ মার্চ ২০১৭

দিনাজপুরে কথিত পীরসহ জোড়া খুনে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ কথিত পীর, সাবেক বিএনপি নেতা ও তার গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনায় জঙ্গী সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত হত্যার মোটিভ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে উপজেলার ৬নং আটগাঁও ইউনিয়নের ফকিরপাড়ার দৌলা গ্রামে কাদেরিয়া মোহাম্মদিয়া খানকা শরিফে এই জোড়া হত্যাকান্ড ঘটে। সোমবার রাতেই লাশ দুটি উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দুটি তাদের নিজ স্বজনদের কাছে দেয়া হয়েছে। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। ঘটনাটির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার বাদ আসর জানাজা শেষে ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ও তার গৃহকর্মী রূপালীকে উপজেলার দৌলা গ্রামে কাদেরিয়া মোহাম্মদিয়া খানকা শরিফে দাফন করা হয়। এদিকে দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ মাহাফুজ জামান আশরাফকে আহ্বায়ক করে মঙ্গলবার ৬ সদস্যর একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। দলের অন্য সদস্যরা হলেনÑ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমিন, বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মোঃ সাজ্জাদ, গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোঃ বজলুল রশীদ ও এসআই মোঃ ফরিদ। এলাকাবাসী জানান, ২০১০ সালে কাদরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরিফ প্রতিষ্ঠা করেন ফরহাদ হোসেন। এরপর তিনি রাজনীতি থেকে সরে আসেন। তিনি নিজেকে পীর বলে দাবি করতে শুরু করেন। দরবার শরিফে অসংখ্য মুরিদ ও ভক্ত নিয়মিত মাহফিল ও ধর্মীয় আলাপ-আলোচনা করতেন, যারা সবাই ফরহাদ হোসেন চৌধুরীকে বাবা বলে ডাকতেন। ঘটনার তিনদিন আগে নিহত রূপালী বেগমের বিয়ে হয় সিরাজগঞ্জ থেকে আগত সিরাজুল ইসলাম নামে এক কথিত মুরিদের সঙ্গে। তবে ঘটনার পর থেকে সিরাজুল নিখোঁজ রয়েছে। দরবার শীিফের খাদেম সাইদুর রহমান জানান, প্রতিদিন রাতে দরবারের জিকির ও মিলাদ হতো। জিকিরে অংশ নিতে হুজুরের মুরিদ সুমি (৫২) রাতে দরবারে আসেন। দীর্ঘক্ষণ হুজুরকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে আমাকে ডাক দেন। আমি এসে দেখি হুজুরের রক্তমাখা লাশ। পরে পরিবারের অন্যদের খোঁজ নিতে গিয়ে পাশের একটি কক্ষে গৃহকর্মী রূপালীকেও মৃত অবস্থায় দেখতে পান বলে জানান তিনি। নিহত ফরহাদ হাসান চৌধুরীর স্বজন ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার মালেক হোসেন জানান, সন্ধ্যার দিকে কয়েকজনকে মোটরসাইকেল যোগে চলাফেরা করতে দেখেছেন তারা। তবে বিষয়টিতে তেমন কোন গুরুত্ব দেননি। হয়ত তারা এই জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
×