ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুদ্রাপাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিআর দুদক একজোট

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১৫ মার্চ ২০১৭

মুদ্রাপাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিআর দুদক একজোট

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যের আড়ালে মুদ্রাপাচার ঠেকাতে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ব্যাপারে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিসি)। এছাড়া যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি)ও আর্থিক সহায়তা দেবে এ কাজে। মঙ্গলবার এনবিআরে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান, দুদকের কমিশনার ও সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদসহ এনবিআরের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং আইজিসির পরিচালক কাদির খানসহ দুজন প্রতিনিধি আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, আইজিসি মুদ্রাপাচারের মূলোৎপাটনের জন্য সরকারের তিন সংস্থাকে সহায়তা করবে। এ লক্ষ্যে মুদ্রাপাচারকারী ও পেছনের কুশীলবদের শনাক্ত করা, মুদ্রাপাচারকারীদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কৌশল উদঘাটনসহ এ কাজে সহায়তাকারীদের চিহ্নিত করা হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের ব্যবহার করা হবে। শুল্ক গোয়েন্দাও বর্তমানে মুদ্রাপাচার ঠেকাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। এনবিআরে অনুষ্ঠিত আলোচনায় আইজিসির পরিচালক আদনান কাদির খান বলেন, মুদ্রা পাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারকে নিজস্ব অর্থে সব রকমের সহায়তা করতে আমরা প্রস্তুত। তবে এ জন্য আমাদের গবেষণামূলক কাজে এনবিআর ও দুদক থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংককেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, আইজিসি উন্নয়নশীল দেশে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে উপযোগী গবেষণার মাধ্যমে পরামর্শমূলক সহায়তা দিয়ে থাকে। ফাস্টলিড সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের অন্তর্র্ভুক্ত ‘ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেড’ (লাইসেন্স নং ১২২) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার শেয়ার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ২৮৫ জন গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেড। লিখিত বক্তব্যে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী তালেব আহমদ গোলাপ বলেন, সিলেট নগরীর আল-হামরা শপিং সেন্টারে ‘ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেড’র কার্যালয় অবস্থিত। আর বিশ্বনাথ উপজেলার মা-মনি ম্যানশনে এই কোম্পানির শাখা অফিস রয়েছে। এই শাখা অফিসের মাধ্যমে ২০০৭ সাল থেকে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে আসছি আমরা। ২০১০ সালে শেয়ার মার্কেটের বিরাট পতনের কারণে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী নিজের ক্রয়কৃত শেয়ার বিক্রয় না করে অপেক্ষমাণ ছিলেন। চলতি সময়ে শেয়ার মার্কেট কিছুটা উর্ধমুখী হলে বিনিয়োগকারীরা বোকার হাউসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেন।
×