উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয়পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী করে তুলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি)। বিজেপির নেতাদের আশা, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে তারা আরও বেশি আসনে জয়লাভ করবেন।
এদিকে সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিং যাদব হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, এ হারের জন্য ব্যক্তিগতভাবে কেউ দায়ী নয়। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট যে হারের বড় কারণ, সে কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে শাসক দল সূত্রে এও খবর, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও হতাশ কংগ্রেস নেতৃত্বের ভূমিকায়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ বরাবরই জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেয়া ফলাফল অনুযায়ী, এ রাজ্যে ৪০৩ আসনের মধ্যে বিজেপির প্রার্থীরা ৩১২টি আসনে জয় পেয়েছেন, যেখানে সরকার গঠনের জন্য ২০২ আসনই যথেষ্ট। বিজেপিপ্রধান অমিত শাহ বলেন, ‘আগামীতে অন্যান্য রাজ্যে বিজেপির জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমরা মোদির নেতৃত্বে ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে আরও বড় জয় পাব।’ মোদির নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর বিধানসভার নির্বাচন তার দলের জন্য ‘এসিড টেস্ট’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। নির্বাচনে বড় জয় ওই পরীক্ষায় বিজেপির ভালভাবে উতরে যাওয়ার প্রমাণই দিচ্ছে। রবিবার মোদি এক ভাষণে বলেন, “২০২২ সালে, স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকীতে বিশ্ব ‘নতুন ভারত’ দেখবে। আমার দেশের মানুষের জন্য ভারতকে এগিয়ে নিতে পাঁচ বছর সময় পেয়েছি। ২০২২ সালে ভারতকে যেখানে দেখার স্বপ্ন আমরা দেখেছি তা পূরণের পথে নির্বাচনের এ ফল আমাদের আরও বলিষ্ঠ করবে।” এদিকে রবিবার বিকেলে লক্ষেèৗর জ্ঞানেশ্বর মিশ্র ট্রাস্টে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুলায়ম। সেখানেই তিনি বলেন, ‘এ হারের দায় গোটা দলের। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে এ হারের জন্য দায়ী করা ঠিক নয়।’ সোমবার হোলি উপলক্ষে এটাওয়ার সাইফাইতে তার গ্রামের বাড়িতে ছিলেন মুলায়ম। সেখানেও মুলায়ম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ হারের জন্য কেউ ব্যক্তিগতভাবে দায়ী নয়। আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি।’ প্রকাশ্যে যাই বলুন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির দাপটে তৃণমূল নেতৃত্ব যে কিছুটা বিপন্নবোধ করছেন তা তারাও ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করে নিচ্ছেন।
