ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এলার্জিজনিত জিহ্বার ফোলাভাব ও জ্বালাপোড়া

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ১৪ মার্চ ২০১৭

এলার্জিজনিত জিহ্বার ফোলাভাব ও জ্বালাপোড়া

এলার্জির কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। শরীরের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি এলার্জিক রি-এ্যাকশনের কারণে কিছু খাবার গ্রহণের পর মুখ, জিহ্বা এবং মাড়ি চুলকাতে থাকে। যদি চুলকানির পরিমাণ অল্প হয় এবং শুধু মুখে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে এটিকে আমরা ওরাল এলার্জি সিনড্রোম হিসেবে প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ণয় করি। তবে রোগীর সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এলার্জির প্রতিক্রিয়ার কারণে হঠাৎ করে জিহ্বা ফুলে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে এলার্জিজনিত কারণ হলে দেরি না করে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। ফোলাযুক্ত জিহ্বা ডাউন সিনড্রোম, সংক্রমণ, জেনেটিক অচলাবস্থা, জিহ্বার ক্যান্সার, এনিমিয়া এবং লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে। জিহ্বার টেস্ট বাডগুলোর প্রদাহের অন্যতম কারণ অসাধানতাবশত জিহ্বার ওপর কামড়। যেসব খাবার এসিডিক, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত অথবা লবণাক্ত সেসব খাবারও জিহ্বায় টেস্ট বাডগুলোর প্রদাহ সৃষ্টি করে ফোলাভাব এনে দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে জিহ্বায় ফোলাভাব থাকলে তা এক্রোমেগালি, সারকোমা, ওরাল ক্যান্সার অথবা ডাউন সিনড্রোমের কারণে হতে পারে। যখন জিহ্বা ফুলে যায় তখন জিহ্বার প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং মাঝে মাঝে জিহ্বার স্বাভাবিক রঙের পরিবর্তন হয়ে থাকে। এর কারণে জিহ্বা খুব মসৃণ দেখা যেতে পারে। যখন আমাদের শরীর যথাযথ কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২ শোষণ করতে পারে না তখন পারনিসাজ রক্তস্বল্পতা দেখা দিয়ে তাকে। এর ধরনের রক্তস্বল্পতায় জিহ্বার প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। যদি কারও টুথপেস্টের প্রতি এলার্জি থাকে তাহলে জিহ্বার প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। টুথপেস্ট ছাড়া মাউথওয়াশ, কৃত্রিম দাঁত ও কিছু ওষুধের কারণে এলার্জিক রি-এ্যাকশনে একই অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। জগ্রেনস্্ সিনড্রোমে লালাগ্রন্থিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে শুষ্ক মুখের সৃষ্টি হয়ে থাকে যার কারণে জিহ্বার প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। জিহ্বার প্রদাহ বা জ্বালাপোড়ার কারণে রোগী সব ধরনের খাবার গ্রহণ করতে পারে না, আবার খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে না পারার কারণে ঠিকভাবে খেতেও চায় না ফলে রোগী শারীরিকভাবে দুর্বল এবং মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হতে পারে। পরিশেষে জিহ্বার ফোলাভাব বা জ্বালাপোড়া যাই থাকুক না কেন দ্রুত যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। অনুমানের ওপর ভিত্তি করে ভিটামিন সেবন অথবা মলম প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে। মনে রাখবেন ভুল চিকিৎসার কারণে কখনও কখনও জিহ্বার কোন রোগ সারাতে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। অতএব, জিহ্বার রোগে কোনো প্রকার অবহেলা করবেন না। হাঁটু ব্যথার সহজ সমাধান আমাদের শরীরের সমস্ত ভর বহন করে হাঁটু। তাই হাঁটু ব্যথা আমাদের কর্মজীবনকে স্থবির করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আমাদের অনেক রোগীই অভিযোগ করেন তিনি হাঁটু ব্যথার কারণে স্বাভাবিকভাবে নামাজ পড়তে পারেন না বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য হাঁটতে পারেন না। পঞ্চাশোর্ধ নারী-পুরুষ সবচেয়ে বেশি এই ব্যথায় ভুগে থাকেন। যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাদের হাঁটু ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। হাঁটু ব্যথা কেন হয়? আমাদের হাঁটু তিনটি ভিন্ন হাড়ের সংযোগ স্থল। এটি লিগামেন্ট ও মাংসপেশী দ্বারা সুগঠিত। জয়েন্টের সাবলীল নাড়াচাড়ার জন্য এর ভেতরে গ্রিজের ন্যায় স্থিতিস্থাপক পদার্থ থাকে। এখন বয়স বা অতিরিক্ত ওজর বা অন্য কোন কারণে যদি হাড়ে পরিবর্তন সাধিত হয় বা ভেতরের তরল পদার্থের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পায় তবে হাঁটুতে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা হতে পারে। অস্টিও আথ্রাইটিস বা হাঁটু ক্ষয় বয়স্ক রোগীদের হাঁটু ব্যথার প্রধানতম কারণ। একটি সাধারণে এক্স-রে দ্বারা এর তীব্রতা সহজেই নির্ণয় করা যায়। এছাড়াও লিগামেন্ট মাংসপেশী বা মিনিসকাস ইঞ্জুরির জন্যও হাঁটু ব্যথা হতে পারে। সমাধান কি? কারণ নির্ণয় করতে পারলে সমাধান খুব সহজ। হাড় ক্ষয়জনিত হাঁটু ব্যথায় সমন্বিত চিকিৎসা বা ইন্টিগ্রেটেট ট্রিটমেন্ট যেমন ইনফিলট্রেশন, ম্যানিপুলেশন ও ইলেকট্রোথেরাপি খুবই কার্যকর। এর সঙ্গে বিশেষ ধরনের ব্যায়াম করলে হাঁটু সবল হয়। ইনফিলট্রেশন দ্বারা হাঁটুর জেলির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানো যায় ফলে হাঁটু অধিক সচল হয় এবং দ্রুত ব্যথা কমে আসে। হাঁটু ব্যথায় ম্যানিপুলেশনও খুব ভালো কাজ করে, পিপ ফ্রিকশান বা সিরিয়্যাক্স টেকনিক নন-আথ্রাইটিক ব্যথা কমাতে খুব কার্যকর। আর ইলেকট্রোথেরাপি সব ধরনের হাঁটু ব্যথা থেকেই রোগীকে উপশম দেয়। উপদেশ হাঁটুর যতœ নিন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলুন। ব্যথা তীব্র হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডাঃ মোহাম্মদ আলী চীফ কনসালট্যান্ট হাসনাহেনা পেইন এ্যান্ড ফিজিওথেলাপি রিসার্চ সেন্টার (এইচপিআরসি)। বাড়ি-১, শায়েস্তাখান রোড, সেক্টর-৪, উত্তরা, ঢাকা। ফোন ঃ ০১৭৩২৭৬২৩৩৩। ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ মোবাইল : ০১৮১৭-৫২১৮৯৭
×