ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সফলতার পথ মসৃণ নয় বরং বন্ধুর

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ১৪ মার্চ ২০১৭

সফলতার পথ মসৃণ নয় বরং বন্ধুর

লক্ষ্য ও গন্তব্যের বিষয়ে জীবনের শুরু থেকেই প্রস্তুতি থাকা চাই। ফোকাস থাকতে হয় নিজের ক্যারিয়ারে। অর্জনের পথে সব সময় স্থির ও অটল থাকতে হয়। সফল ব্যক্তিরা কখনই নিজের লক্ষ্য পরিবর্তন করেন না। বরং তারা নতুন নতুন পথ আবিষ্কারের মাধ্যমে গন্তব্য নির্ধারণ করেন। যতক্ষণ না নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম না হন ততক্ষণই তারা নিজেদের লক্ষ্যে নিয়োজিত রাখেন। বিলিওনিয়ার মার্ক কুবানের কথা ধরা যাক। মার্ক যখন তার জনপ্রিয় বই ‘ঐড়ি ঃড় রিহ ঃযব ঝঢ়ড়ৎঃ ড়ভ নঁংরহবংং’ লেখা শুরু করেন তখন তিনি ডালাসে ব্যাচেলর থাকতেন। অর্থকষ্টে তিন রুমের একটি ফ্ল্যাটে ছয়জন গাদাগাদি করে থাকতেন মার্ক কুবান। ওয়াবেন বাফেটের কথাই ধরন। বর্তমান সময়ের এই বিলিওনিয়ার ছিলেন একটি বিনিয়োগ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। তাই অল্পতে যারা হতাশ হচ্ছেন তাদের উদ্দেশে বলাÑ সাফল্য কখনও সহজ সরল পথে আসে না। বিখ্যাত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের জীবন পর্যালোচনা করে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়। সাফল্যের পথ বন্ধুর, জীবনের বহু চড়াই-উৎরাই পেরুলেই সাফল্যের দেখা মেলে। লিখেছেনÑ শাকিল আহমেদ মার্ক কুবান ছিলেন ডালাসের একজন বার টেন্ডার বর্তমান সময়ের অন্যতম বিলিওনিয়ার মার্ক কুবান। ২৫ বছর বয়সে মার্ক কুবান ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেন। তখন তিনি ডালাসে থাকা সিদ্ধান্ত এবং নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। অবাক করার বিষয় হলো প্রথম জীবনে তিনি একজন বার টেন্ডার হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং পাশাপাশি একটি সফটওয়্যার কোম্পানির সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন। মার্ক কুবান প্রথম থেকেই চাইতেন তিনি একটি স্টল খুলবেন এবং নিজস্ব ব্যবসা শুরু করবেন। সেলসম্যানের চাকরি তাকে বেশ ক্লান্ত করে তুলছিল। নিজের প্রথম ব্যবসা মাইক্রো সলিউশনের যাত্রা সেই তখন থেকেই শুরু ডালাসে থাকার সময় কো কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। এমন কঠিন সময়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন কুবান। আশপাশের বিশাল সব অট্টালিকার দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখতেন তিনিও এমন বাড়িতে থাকবেন। এমন স্বপ্ন কিংবা ইচ্ছা তাকে এই অবধি আসতে অনুপ্রেরণা যোগায়। রালফ লোরেল ছিলেন ব্রুকস ব্রাদার্সের একজন বিক্রয় সহকারী রালফ লোরেল জীবনের ১৫ বছর বয়সে তার নাম পরিবর্তন করেন। রালফ লিফস-হিটজ থেকে পরিবর্তন করে রাখেন রালফ লোরেল। তখন তিনি নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তরুণ বয়সে বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা করা লোরেল পরবর্তীতে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত লোরেল সামরিক বাহিনীতে কর্মরত থাকেন। এরপর লোরেল ব্রুকস ব্রাদার্সের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ২৬ বছর বয়সে লোরেল সিদ্ধান্ত নেন তিনি ইউরোপিয়ান ধাঁচের টাই ডিজাইন করবেন এবং পরবর্তী বছর আনেন পলো ব্র্যান্ড। জেকে রোলিং চলন্ত ট্রেনে হ্যারি পটারের ধারণা পান ১৯৯০ সালে প্রথম হ্যারি পটার গল্পের ধারণা পান জেকে রোলিং। এখন তার বয়স ২৫। চার ঘণ্টা দেরি হওয়া একটি ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত রোলিং সেদিন স্টেশনে বসেই প্রথম হ্যারি পটার সিরিজের লেখা শুরু করেন। তবে প্রথম বইটি শেষ করতে তার বেশ সময় লাগে। লেখক হওয়ার আগে রোলিং এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের শাখার সেক্রেটারি ছিলেন। হ্যারি পটার সিরিজের এই লেখার আগে তিনি এ বই নিয়ে কেবল দিবাস্বপ্ন দেখতেন। এই সময়ে তার জীবনে বেশ চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়। রোলিং এই সময়ের মধ্যে বিয়ে করেন। তার একটি কন্যা সন্তান জন্মলাভ করে। পরে আবার স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয় এবং মানসিক সমস্যার কারণে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে তার হ্যারি পটার বইটি পুরোপুরি লেখা শেষ হয় এবং তা ১৯৯৭ সালে মুদ্রিত হয়। ওয়ারেন বাফেটি ছিলেন একজন বিনিয়োগ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মাত্র বিশ বছর বয়সে বাফেটিই একটি বিনিয়োগ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ওমাহা থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার আগে তিনি একজন সিকিউরিটি এনালিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। তখন তিনি বাজেট পার্টনারশিপ কোম্পানি শুরু করেন। নিউইয়র্কে আজ তার মনে হয় এই শহর তার জন্য নয়। তাই তিনি পুনরায় ওমাহা ফিরে যান।
×