ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুমন্ত গুপ্ত

আমি প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখি নতুন ভোরের...

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১৪ মার্চ ২০১৭

আমি প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখি  নতুন ভোরের...

শানারেই দেবী শানু ছোট পর্দার প্রিয় মুখ। লাক্স ফটো সুন্দরী প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মিডিয়াতে যাত্রা শুরু“ তার। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সুঅভিনয় গুণের কারণে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। ২০০৫ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন শানু। সিলেট শহরে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই জড়িত ছিলেন গান, নাচের সঙ্গে। ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করতেন লেখালেখি করতে। আর এই লেখাজোখার অনুপ্রেরণা বাবা কবি এ কে শেরাম। এবারের সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭ তরুণ লেখক ক্যাটাগরিতে (জীবনের প্রথম বই) পুরস্কার পেয়েছেন আমাদের শানু । অনন্যা থেকে প্রকাশিত ‘নীল ফড়িং কাব্য’ গ্রন্থের জন্য শানারেই দেবী শানু এই পুরস্কার পেয়েছেন। শানু বলেন - আমার লেখার অনুপ্রেরণা আমার বাবা কবি এ কে শেরাম। ছোটবেলায় লেখার চেষ্টা ছিল কিন্তু কবিতা লিখব ভাবিনি । প্রথম দিনের সূর্য সিলেট শহরের সব তরুণ লেখকের সূতিকাগার। এই প্রথম দিনের সূর্যের স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন কবি এ কে শেরাম। প্রথম দিনের সূর্য এর মাসিক সভায় সবাইকেই স্বরচিত কবিতা পাঠ করতে হতো তখন কিছু কবিতা লেখার চেষ্টা করা হয়েছিল শানুর । মনিপুরী শিশু-কিশোর সংগঠনের একটা ত্রৈমাসিক পত্রিকা - নাম য়েন্নীং সম্পাদনা করতেন। পরবর্তীতে ঢাকায় ২০০৯-এ ফ্যাশন ম্যাগাজিন ডিজায়ারের সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন । কবিতার বই বের পেছনের গল্প বলতে গিয়ে শানু জানান, ‘এমন অনেক দিন পর পুরনো কাগজ ঘাঁটতে গিয়ে হাতে পড়ল নিজের হাতের লেখা কবিতা। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আমার, আবার ফিরে যেতে চাইলাম সেই ছোট বেলায় টুকটাক লেখা শুরু“ করলাম.. ফেসবুক ও পোস্ট দিতে থাকলাম, দেখলাম গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। পরে সবার উৎসাহে বই আকারে বের করার সিদ্ধান্ত’। বাবা ছাড়াও শানুর পছন্দের লেখকের মধ্যে আছেন মহাদেব সাহা ও নির্মলেন্দু গুণ। শানু আরো বলেন, ‘আমি নারী হিসেবে, নবীন হিসেবে বাধার সম্মুখীন হইনি। পরিবারকে সবসময় সাপোর্ট হিসেবেই পেয়েছি। আমি প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখি ,স্বপ্ন দেখি নতুন ভোরের। শুধু তরুণ প্রজন্মের কাছে আহ্বান স্বপ্ন দেখে যেতেই হবে, সুন্দর আগামীর জন্য’। উল্লেখ্য, সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭ প্রাপ্ত গুণী কবি / লেখকরা হলেন- প্রবন্ধে অনন্যা থেকে প্রকাশিত ‘উনিশ শতকে পূর্ববঙ্গে ব্রাহ্ম আন্দোলন’ গ্রন্থের জন্য মুনতাসীর মামুন, কবিতায় যৌথভাবে আবিষ্কার থেকে প্রকাশিত ‘ জো’ গ্রন্থের জন্য হাবীবুল্লাহ সিরাজী, জার্নিম্যান থেকে প্রকাশিত ‘সাত দেশের কবিতা’ গ্রন্থের জন্য মুহাম্মদ সামাদ, শিশুসাহিত্যে কিশোর উপন্যাসে ‘হাশেম খানের ছবির গল্প মধুবক’ গ্রন্থের জন্য হাশেম খান, ছড়ায় চন্দ্রাবতী থেকে প্রকাশিত ‘লাল জেব্রার ম্যাজিক’ গ্রন্থের জন্য লুৎফর রহমান রিটন, উপন্যাসে যৌথভাবে প্রথমা থেকে প্রকাশিত ‘প্রিয় এই পৃথিবী ছেড়ে’ গ্রন্থের জন্য আনিসুল হক, কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘ডুগডুগির আসর’ গ্রন্থের জন্য প্রান্তমৃধা। তরুণ ওেলখক ক্যাটাগরিতে (জীবনের প্রথম বই) সময় থেকে প্রকাশিত ‘প্রকাশকনামা ও হুমায়ূন আহমেদ’ গ্রন্থের জন্য ফরিদ আহমেদ, কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘মেঘ ও বাবার কিছু কথা’ গ্রন্থের জন্য দ্বিতীয় সৈয়দ হক ও অনন্যা থেকে প্রকাশিত ‘নীল ফড়িং কাব্য’ গ্রন্থের জন্য শানারেই দেবী শানু এই পুরস্কার পেয়েছেন।
×