অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজার উন্নয়নে ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাব তুলে ধরেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই)। একই সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জটির পর্ষদের পক্ষ থেকে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রবর্তন, পিডিপি গঠন, বুক বিল্ডিং আইনের সংস্কার, নিষ্ক্রিয় ট্রেকহোল্ডারদের সক্রিয় করা এবং নেটিং ইস্যুতে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেয়া হয় কমিশনের কাছে। রবিবার বিএসইসির সঙ্গে সিএসইর পুনর্গঠিত পর্ষদের সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ প্রস্তাব দেয়া হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, রবিবারের বৈঠক ছিল মূলত বিএসইসির সঙ্গে সিএসইর পুনর্গঠিত পর্ষদের পক্ষ থেকে সৌজন্য সাক্ষাত। সেখানে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সিএসইর লেনদেন বাড়ানোর বিষয়ে বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। সিএসইর পক্ষ থেকে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রবর্তন, পিডিপি নামক সিএসইর একটি নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন, বুক বিল্ডিং আইনের সংস্কার, নিষ্ক্রিয় ট্রেকহোল্ডারদের সক্রিয় করা এবং নেটিং সুবিধা পুনর্বহালের প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিদ্যমান বুক বিল্ডিং আইনের মধ্যে কিছু ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় সিএসইর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কোটা বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিদ্যমান যে ক্যাটাগরি রয়েছে, সেটিতে পরিবর্তন করে সব ক্যাটাগরির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সমানভাবে বণ্টনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া বিদ্যমান বুক বিল্ডিং আইনে কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের যে পদ্ধতি রয়েছে, সেটিকে আরও বাস্তবসম্মত করার প্রস্তাব দিয়েছে সিএসই। তাছাড়া বৈঠকে সিএসইর লেনদেনের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য লেনদেনে কর্মঘণ্টা বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে। সিএসইর পক্ষ থেকে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রবর্তনের বিষয়ে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির মূল্যসংবেদনশীল ও অন্যান্য তথ্য প্রকাশ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল করতে পিডিপি নামে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সিএসইর আয় বাড়ানোর জন্য বর্তমানে যে ট্রেকহোল্ডাররা নিষ্ক্রিয় রয়েছে তাদের সক্রিয় করতে পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি নেটিং সুবিধা পুনর্বহালেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে, ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুসারে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেয় বিএসইসি।