স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভবিষ্যতে কোন আসামিকে ডা-াবেড়ি পরিয়ে আদালতের এজলাসে হাজির করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার ডা-াবেড়ি পরিয়ে আসামি হাজিরের বিষয়ে ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম হাইকোর্টে ব্যাখ্যা দিতে গেলে এ নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের তলব আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আসামিকে ডা-াবেড়ি পরিয়ে আনার কারণ ব্যাখ্যা করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ডিআইজি প্রিজন। এ সময় ডিআইজি প্রিজনকে সতর্ক করে ক্ষমা করে দেয় আদালত।
আদালতে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পুলিশ ডা-াবেড়ি পরিয়ে আসামি নিয়ে এসেছে। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এমন হবে না।’ জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘পুলিশকে বলেছিলাম, পুলিশ নিয়ে এসেছে। ব্রিটিশ আমল থেকে এ পদ্ধতি চলে আসছে। নিয়ে আসার সময় ডা-াবেড়ি খোলার ব্যবস্থা নেই।’ এ সময় আদালত বলে, ‘পদ্ধতি নাই। ব্যবস্থা করবেন তো?’
আদেশের পর ডিআইজি প্রিজন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে ব্যাখ্যা দিয়েছি। বলেছি, যাদের ডা-াবেড়ি পরানো হয়েছিল তারা সবাই জঙ্গী সংগঠন জেএমবি সদস্য। আইন অনুযায়ী পুলিশের চাহিদার ভিত্তিতেই যে কোন আদালতে আমরা আসামিকে ডা-াবেড়ি পরিয়ে পাঠাই। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তখন আদালত বলেছে, ভবিষ্যতে আসামিকে ডা-াবেড়ি পরিয়ে আর আদালতের এজলাসে পাঠানো যাবে না।
অপরদিকে লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী সৈয়দা সাবিনা আহমেদ মলি জানান, চার বছর আগেই ডা-াবেড়ি পরিয়ে আসামিকে আদালতে হাজির করা যাবে না মর্মে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল। রায়ের বিষয়টি অবগত নন বলে আদালতকে জানান ডিআইজি প্রিজন। তাই আদালত সোমবার তাদের সতর্ক করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: