ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্মীপুরে যাচ্ছেন আজ

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৪ মার্চ ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্মীপুরে যাচ্ছেন আজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ১৩ মার্চ ॥ দীর্ঘ ১৮ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলাব্যাপী সাজ সাজ রব। নারী পুরুষ শিশুসহ সবার মাঝে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের বন্যা। সড়কে সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য তোরণ। ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে সাজানো হয়েছে পুরো জেলা শহর। বর্ণিল সাজে সেজেছে গোটা জেলা। মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে শহরের মহল্লা থেকে পল্লী অঞ্চলের আনাচে কানাচে। মঞ্চ তৈরির কাজও চলছে পুরোদমে। ভাঙ্গাচুরা সড়ক মেরামতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। নতুন রংয়ের সাজে সাজানো হচ্ছে দৃশ্যমান বিভিন্ন ভবন রাস্তা-ঘাট। স্বাধীনতার ৪৬ বছর সাধারণ মানুষের মাঝে এ ধরনের উৎসবের আমেজ আর কখনও দেখা যায়নি বলে জানান এলাকার বয়স্করা। যেন জেলা উৎসবের মহানগরীতে পরিণত হয়েছে। বিকেল তিনটায় লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল ও পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু তাহের। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা থেকে আগত নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল সোমবার বিকেলে তার বাসভবনে মিডিয়াকর্মীদের সঙ্গে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে পাঁচ লক্ষাধিক লোকের জনসমুদ্র পরিণত হবে। এ সময় তার পাশে ছিলেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও লক্ষ্মীপুরের কৃতী সন্তান প্রফেসর ড. মাকসুদ কামাল। এছাড়া কুয়েতের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, সমাজকর্মী, প্রধানমন্ত্রীর সফর দলের সদস্য বিশিষ্ট ব্যাংকার, সমাজকর্মী কাজী মোঃ শহিদ ইসলাম পাপুল বিকেলে শহরের এক রেস্তরাঁয় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সফল করে তোলার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী এদিন যেসব উন্নয়নমূলক স্থাপনার ফলক উন্মোচন করবেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, লক্ষ্মীপুর রামগতি ও কমলনগর মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প, প্রায় ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ তলাবিশিষ্ট নবনির্মিত লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, ১৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত লক্ষ্মীপুর যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সদর উপজেলা পরিষদ ভবন, উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়াম ভবন, কমলনগর উপজেলা পরিষদ ভবন ও অডিটরিয়াম, লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ ভবন, মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ভবন নির্মাণ ও কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও প্রাণী হাসপাতাল। এছাড়া ১০০ শয্যাবিশিষ্ট লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীতকরণ, মজু চৌধুরীরহাটে প্রশাসনিক ভবন ও নাবিকনিবাস, সদর পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার্স মেস, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন, খাদ্য গোডাউনের নতুন গোডাউন নির্মাণ, রামগঞ্জে ১৩২/১৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক গ্রিডলাইন উপকেন্দ্র নির্মাণ, পিয়ারাপুর ও চেউয়াখালী সেতু, মজু চৌধুরীরহাট এলাকায় নৌ-বন্দর, পৌর আধুনিক বিপণী বিতান, রামগঞ্জে আনসার ও ভিডিপি ব্যাটালিয়ন সদর দফতর কমপ্লেক্স ভবন, লক্ষ্মীপুর পৌর আজিমশাহ হকার্স মার্কেট, লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষা কেন্দ্র, পুলিশ লাইন্স মহিলা ব্যারাক নির্মাণ, শহর সংযোগ সড়কে সেতু নির্মাণ, রায়পুর ও কমলনগরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
×