ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে কয়েক হাজার

অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ছাড়া চলছে অর্ধশত সরকারী কলেজ

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৪ মার্চ ২০১৭

অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ছাড়া চলছে অর্ধশত সরকারী কলেজ

বিভাষ বাড়ৈ ॥ মাসের পর মাস ধরে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ না থাকা, হাজার হাজার শিক্ষকের পদ খালিসহ ভয়াবহসব শিক্ষা সঙ্কটের মুখে পড়েছে দেশের প্রায় অর্ধশত ঐতিহ্যবাহী ও বড় বড় সরকারী কলেজ। মন্ত্রণালয়ের গাফিলতিতে মাসের পর মাস ধরে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ছাড়াই চলছে ঐতিহ্যবাহী এসব সরকারী কলেজ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বার বার দাবি জানানো হলেও প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ দুই পদ খালি থাকায় ভেঙ্গে পড়ছে রাজধানী থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রধান এসব কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। শিক্ষক, আবাসিক ও শ্রেণীকক্ষ সঙ্কটসহ নানামুখী অব্যবস্থাপনায় হোঁচট খাচ্ছে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম। এদিকে ঐতিহ্যবাহী কলেজগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের বর্তমান সঙ্কটের জন্য দায়ী করছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখাকে। অভিযোগ উঠেছে, সহকারী অধ্যাপকদের মধ্যে প্রায় ৩০০ জনকে অধ্যাপক করে ওএসডি করে রাখা হলেও পদায়ন করা হচ্ছে না। আবার দুই মাস আগে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ করার জন্য মন্ত্রণালয় অধ্যাপকদের পরীক্ষা নিলেও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে প্রক্রিয়া। ফলে পরীক্ষা নেয়ার দুই মাস পরে অসংখ্য যোগ্য অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও দেশের অধিকাংশ কলেজ চলছে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ছাড়াই। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে তাগাদা দিলেও মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে কোন ভ্রƒক্ষেপ নেই। অধ্যক্ষ নেই নারীদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী ইডেন মহিলা কলেজে। যেখানে পড়ালেখা করছে প্রায় ৩৫ হাজার ছাত্রী। অধ্যক্ষ না থাকায় প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম সঙ্কটের মুখে পড়েছে। কলেজের শিক্ষকরা বলছিলেন, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দরকার। এদিকে দেশের নারী শিক্ষায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৫ হাজার ছাত্রীর জন্য শিক্ষক আছেন আড়াই শ’। কলেজের শিক্ষকরা অন্য কলেজের সঙ্গে তুলনা করে অবশ্য বলছিলেন, সেই তুলনায় আমাদের কলেজে শিক্ষক ভালই আছেন। কারণ অন্য কলেজের অবস্থা করুন। ছাত্রীরা জানায়, কলেজের সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা হোস্টেলের সিট। নেত্রীদের সিট বাণিজ্য এখানে বড় সঙ্কট। হলের সিটের বিনিময়ে বিভিন্ন সময়ে নেত্রীদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজ করানোর মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। এক ছাত্রী লুবনা বলছিলেন, আমরা গুরুজনদের কাছ থেকে ইডেন কলেজের সুনামের কথা শুনেছি। কিন্তু এখন কেবল সমস্যাই দেখি। দীর্ঘদিন অধ্যক্ষের পদ খালি থাকার পর ঢাকা কলেজে অধ্যক্ষ দেয়া হলেও নামী এ কলেজে খালি পড়ে আছে উপাধ্যক্ষের পদ। সরকারী কলেজগুলোতে সাধারণত অধ্যক্ষরা প্রশাসনিক কাজ করেন অন্যদিকে উপাধ্যক্ষরা দেখেন একাডেমিক কাজ। দেশের অন্যতম এ কলেজে দীর্ঘদিন উপাধ্যক্ষ পদ খালি খাকায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীদের এ কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বড় ধরনের জটিলতার মুখে পড়েছে। অথচ এ কলেজে উপাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্যও শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা নিয়েছে দুই মাসেরও বেশি সময় আগে। আধুনিক ধারার শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের জন্য ঢাকা কলেজের সুনাম রয়েছে। কিন্তু এখন এখানে কেবল সঙ্কট আর সঙ্কট। ঢাকা কলেজে ২০ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র আড়াই শ’। শিক্ষকরা বললেন, কয়েক হাজার শিক্ষকের ভার পড়েছে কয়েক শিক্ষকের কাঁধে। শিক্ষক সঙ্কটে কারণে একই শিক্ষককে উচ্চ মাধ্যমিক, অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের ছাত্রদের ক্লাস নিতে হয়। এ কলেজে অনেক বিভাগ আছে, যেসব বিভাগের নিজেদের শ্রেণী কক্ষই নেই। ছাত্রদের নিয়মিত খোঁজ রাখতে হয় কোন শ্রেণীকক্ষ খালি আছে। এখানে শ্রেণীকক্ষের সঙ্কট তীব্র। বড় সঙ্কট আবাসনের। অধ্যক্ষ নেই একমাত্র সরকারী সঙ্গীত কলেজেও। একই অবস্থা কবি কাজী নজরুল সরকারী কলেজ, ঢাকা টিসার্স ট্রেনিং সরকারী কলেজ, খুলনার সরকারী বিএল কলেজ, নাটোরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারী কলেজ, রাজবাড়ী সরকারী কলেজ, নরসিংদীর শহীদ আসাদ সরকারী কলেজ, ঝিনাইদহের খন্দকার মোশারফ হোসেন কলেজ। অধ্যক্ষ নেই কুমিল্লা সরকারী মহিলা কলেজ, লালমনিরহাটের মজিদা খাতুন সরকারী মহিলা কলেজ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সরকারী কলেজ, খুলনা সরকারী মহিলা কলেজ, পিরোজপুরের সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও মঠবাড়িয়া সরকারী কলেজ, সিলেটের জকিগঞ্জ সরকারী কলেজ, নড়াইল সরকারী কলেজ, যশোর সরকারী মহিলা কলেজেও। এদিকে উপাধ্যক্ষ বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সরকারী কলেজ, লালমনিরহাট সরকারী কলেজ, খুলনার সরকারী বিএল কলেজ, সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী কলেজ ও তালা সরকারী কলেজ, বরিশালের সৈয়দ হাতেম আলী সরকারী কলেজ, পিরোজপুরের সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পাবনার সরকারী এডওয়ার্ড কলেজ ও শহীদ বুলবুল সরকারী কলেজ, সিরাজগঞ্জের রাশিদাজ্জোহা সরকারী মহিলা কলেজ ও উল্লাপাড়া সরকারী আকবর আলী কলেজেও। কবি নজরুল সরকারী কলেজে বর্তমানে ২০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক আছেন এক শ’ জনের কিছু বেশি। এখন এ কলেজে ১৭ একাডেমিক বিভাগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য আছে একটি ছাত্রাবাস, একটি মসজিদ, একটি খেলার মাঠ, চারটি কম্পিউটার ল্যাব। আছে মাত্র একটি আবাসিক হল। কলেজটিতে ক্লাসরুমের তীব্র সঙ্কট। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আকবর বলছিলেন, শিক্ষক তো নেই তার ওপর ক্লাসরুম সঙ্কট। অনেক সময় ক্লাসের পুরোটা সময়ই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমাদের কোন পরিবহন সুবিধা নেই, আবাসন সুবিধাও প্রায় একই অবস্থা। তার ওপর অধ্যক্ষ না থাকায় শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজ ঝিমিয়ে পড়েছে। ঢাকা টিসার্স ট্রেনিং সরকারী কলেজ, সরকারী সঙ্গীত কলেজ ছাড়াও ঢাকার বাইরে খুলনার বিএল কলেজ, নাটোরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলেজ, নরসিংদীর শহীদ আসাদ সরকারী কলেজ, ঝিনাইদহের খন্দকার মোশারফ হোসেন কলেজের শিক্ষকরা কয়েক দফায় মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরে অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য তাগাদা দিলেও এখন পর্যন্ত কোন সাড়া মেলেনি। এ বিষয়ে কলেজগুলোর নিয়ন্ত্রককারী প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) অবশ্য বলছে তারা অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগের কর্তৃপক্ষ নয়। মন্ত্রণালয়ের একক ক্ষমতা এ নিয়োগে। মাউশির মহাপরিচালক যিনি অধ্যক্ষ নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের নেয়া পরীক্ষা বোর্ডেরও একজন সদস্য। মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এএসএম ওয়াহিদুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, নিয়োগের ক্ষমতা তো আমাদের নেই। দুই মাস আগে পরীক্ষা নিলেও কেন নিয়োগ হচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় এটা বলতে পারবে। তবে আমরা মনে করি অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ না থাকায় বড় বড় কলেজে খুব সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি পরিবারে অভিভাবক না থাকলে যে সমস্যা হয় তা তো সকলেই বোঝেন। এখানেও সেই সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত নিয়োগ দরকার। এদিকে মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার এ বিষয়ে কোন মতামত পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি বলতে পারবেন কেবল অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোঃ মোল্লা জালাল উদ্দিন। তার অফিস কক্ষে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর তার মতামতের জন্য তার সেল ফোনে এবং পরে এসএমএস করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেছেন, আমরা আশা করছি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হবে। এদিকে সমস্যা এখানেই শেষ নয়। সমস্যার পাহাড় নিয়ে ধুঁকছে কলেজগুলো। শিক্ষক, আবাসিক ও শ্রেণীকক্ষ সঙ্কটসহ নানামুখী অব্যবস্থাপনায় হোঁচট খাচ্ছে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের একাডেমিক কার্যক্রম। সঙ্কট এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ঐতিহ্যবাহী সবচেয়ে ১০ কলেজে দুই লাখ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র দুই হাজার। শিক্ষার্থীর হার অনুপাতে যত সংখ্যক শিক্ষক থাকার কথা কোন কলেজেই তার লেশমাত্রও নেই। অধিকাংশের অবস্থা রীতিমতো করুণ। শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক দিয়ে দেশের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান সরকারী তিতুমীর কলেজে ৫০ হাজার ৪৫০ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন আড়াই শ’ মতো। ভাল নয় অন্যগুলোর অবস্থাও। শিক্ষক সঙ্কট ছাড়াও অবকাঠামোর অভাব, পরীক্ষার হল না থাকা, শ্রেণীকক্ষ সমস্যা, হোস্টেলে আসনস্বল্পতাসহ বহুমুখী সমস্যায় দিশেহারা এসব প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক সঙ্কটের কারণে দেশের বিশেষ করে মফস্বল এলাকার সরকারী কলেজগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন বিষয় রয়েছে যেখানে একজনও শিক্ষক নেই। আবার কোন কলেজেই নেই আইসিটি শিক্ষক। বাংলা এবং ইংরেজীর শিক্ষকরা আইসিটি পড়ান। সম্প্রতি রাজধানীতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে এসব অভিযোগই তুলেছিলেন কলেজের অধ্যক্ষরা। তারা বলেন, স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হলে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। সম্মেলনে চাঁদপুর সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এমএ মতিন মিয়া বলেন, এই কলেজে ৩৫ পদের মধ্যে ১২টি শিক্ষকের পদ শূন্য আছে। আবেদন নিবেদন করেও কোন লাভ হচ্ছে না। কষ্ট করে অনার্স মাস্টার্স শ্রেণীতে সিলেবাস শেষ হয়। ঝিনাইদহের একটি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ বলেন, ৪৩ পদের বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র ১৮ জন। এছাড়া শ্রেণীকক্ষের সঙ্কট আছে। তিন বছর ধরে হিসাবরক্ষক নেই। অফিস সহকারী দিয়ে হিসাব রক্ষকের কাজ করছি। খুব কষ্ট হচ্ছে। সঞ্চালকের প্রশ্ন ছিল, শিক্ষক নেই, তবুও অনার্স খুললেন কেন? অনার্স খুলে নতুন বিড়ম্বনার সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানান তিনি। কুমিল্লা সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ বলেন, বাংলাদেশের কোন কলেজে আইসিটি পদের শিক্ষক নেই। এখন বাংলা ও ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষক আইসিটি পড়ান। এতে ছাত্র শিক্ষক কেউই আনন্দ পায় না। স্বরূপকাঠী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তার কলেজে শূন্য শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। আট মাস আগে বগুড়া গবর্নমেন্ট কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটকে সাধারণ কলেজে উন্নীত করা হয়। নামকরণ হয় বগুড়া সরকারী কলেজ। বর্তমানে এ কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, কলা ও ব্যবসায় শিক্ষার তিন বিভাগে শিক্ষার্থী ৫৭৭। ২৩ বিষয় পড়ানোর জন্য শিক্ষকের অনুমোদিত পদ রয়েছে অধ্যক্ষসহ মাত্র আটটি। প্রভাষকের চারটি পদের মধ্যে দুটিই খালি। বাংলা আবশ্যিক হলেও এ বিষয়ে কোন শিক্ষক নেই। পদার্থবিদ্যার একজন প্রভাষক দিয়ে চলছে পুরো বিজ্ঞান বিভাগ। শিক্ষক নেই রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা, ভূগোল, মনোবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, ফিন্যান্স এ্যান্ড ব্যাংকিং, মার্কেটিং, পরিসংখ্যানসহ ১৮ বিষয়ে। ছয়জন সংযুক্ত শিক্ষক দিয়ে চলছে উদ্ভিদবিদ্যা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গণিত ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের পাঠদান। সমস্যা শুধু শিক্ষক নিয়ে নয়, কলেজটির অবকাঠামো, শ্রেণীকক্ষ ও বেঞ্চ সঙ্কটও প্রকট। গড়ে প্রায় ছয় শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে এক জোড়া বেঞ্চ। নেই বিজ্ঞানাগার ও পাঠাগার। শিক্ষকদের বসার জন্য নেই প্রশাসনিক ভবন। অধ্যক্ষরা বলছেন, শিক্ষক ও অবকাঠামো সঙ্কটসহ ৫১ সমস্যায় জর্জরিত দেশের সরকারী কলেজ। দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাগুলো বিরাজ করলেও তা সমাধানে কার্যকর তেমন উদ্যোগ নেই। ফলে এসব কলেজে মানসম্মত শিক্ষা দারুণভাবে বিঘিœত হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে নিম্নমানের গ্র্যাজুয়েট।
×