ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সন্ত্রাসী ও জঙ্গীমুক্ত দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৪ মার্চ ২০১৭

সন্ত্রাসী ও জঙ্গীমুক্ত দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন ॥ রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১৩ মার্চ ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে দেশটা স্বাধীন করেছিলেন, তা পূরণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। আর এজন্য দরকার একটি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। দেশকে নিরক্ষর-দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদমুক্ত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করতে হবে। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে, প্রতিষ্ঠিত হবে সোনার বাংলা। তিনি সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কলেজের ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সবসময় মনের মাঝে লালন করবে। শহীদদের আত্মত্যাগের কথা কখনও ভুলবে না। এরা আমাদের অহংকার, আমাদের গৌরব। আর দেশের স্বার্থকে সবকিছুর উর্ধে স্থান দেবে। ন্যায় ও সত্যের পথে সদা অবিচল থাকবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি সৃজনশীল কর্মকা-ে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখবে। রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মোঃ আফজাল হোসেন এমপি, এ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান, ইটনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল হোসেন প্রমুখ। রাষ্ট্রপতি হাওড়ের ভৌগোলিক অবস্থানের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আপনাদের ভালবাসা আমাকে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছে। আপনাদের ঋণ আমি কোনদিন ভুলব না। তিনি হাওড় অধ্যুষিত উপজেলা ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নীতকরণসহ সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করেছেন বলে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপতি শিক্ষক-অভিভাবক ও জনতার উদ্দেশে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে বহুদিন আগে থেকেই ধর্ম-বর্ণগোত্র নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। বর্তমানে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ একটি বিশ্বব্যাপী বড় সমস্যা। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। কিছু বিপদগামী তরুণ এমনকি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা এসব কর্মকা-ে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। এ ব্যাপারে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি এসব অশুভ কাজে যাতে কেউ ছড়াতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে দুপুর সোয়া ১২টায় রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারে করে ইটনা উপজেলায় পৌঁছেন। পরে তাঁকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। বিকেল পৌনে ৩টায় রাষ্ট্রপতি ইটনা মহেশচন্দ্র বিদ্যানিকেতন পরিদর্শন করে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের আশ্বাস প্রদান করেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কলেজ’ এর ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
×