ঠাকুরগাঁও রাবার ড্যাম ভাগ্য বদলে দিয়েছে কৃষক-জেলের

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৩ মার্চ ॥ টাঙ্গন নদীতে নির্মিত দুটি রাবার ড্যামের সুফল পেতে শুরু করেছে কৃষক ও জেলেরা। রাবার ড্যাম নির্মাণের কারণে ইতোমধ্যে নদীর দুই ধারে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে। আর নদীতে পানি থাকায় ধরা পড়ছে প্রচুর দেশী প্রজাতির মাছ। সরজমিনে পীরগঞ্জ উপজেলার সাগুনী রাবার ড্যাম ও বোচাগঞ্জ উপজেলার রানীরঘাট রাবার ড্যাম এলাকায় দেখা যায়, চলতি খরা মৌসুমে ড্যামের রাবার ফুলিয়ে টাঙ্গন নদীতে মজুদ পানি দিয়েই পীরগঞ্জ উপজেলার সাগুনী, বাঁশগাড়া, চাপোড়, মছলন্দপুর, মশালডাঙ্গী, শিরাইল, জগন্নাথপুর, চান্দোহর এবং বোচাগঞ্জ উপজেলায় সুলতানপুর, সেনিহারি, ফুটকিবাড়ি, রানীরঘাটসহ ২০ গ্রামের বিশাল এলাকা জুড়ে জমিতে বোরোসহ নানান ফসল চাষাবাদ করছে কৃষকরা। রহমত আলী জানান, ‘আগে খরা মৌসুমে নদীতে পানি থাকত না। শ্যালো মেশিন চালু করেও পানির লেয়ার কম পাওয়া যাচ্ছিল। ‘তেল পুড়িয়ে জমিতে সেচ দিতে হতো। এখন রাবার ড্যামের কারণে নদীতে পানি থাকছে, সহজেই পানি পাওয়া যাচ্ছে আর আমরা কৃষকরা যে কোন ধরনের ফসল সহজেই চাষ করতে পারছি।’ পীরগঞ্জের সাগুনী রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পরিব উদ্দীন বলেন, গত বছর থেকে রাবার ড্যামে সুফল পেতে শুরু করেছে এলাকার লোকজন। এরই মধ্যে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি রাবার ড্যামের সেচের আওতায় রয়েছে। কৃষকদের খরা মৌসুমে আর পানির কোন সমস্যা হবে না। বোচাগঞ্জের রানীরঘাট পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, রাবার ড্যাম আমাদের এলাকার কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিচ্ছে। পানির অভাব নাই। ফসলও ভাল হচ্ছে। পানির জন্য আর কোন কৃষকের হাহাকার নাই। রানীঘাটের প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওয়তায় এসেছে। জেলে আবু হাসেম বলেন, টাঙ্গন নদীতে এখন প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে। যারা মাছ ধরে সংসার চালায়, তারা উপকৃত হয়েছে। রাবার ড্যামের কারণে ইদানিং টাঙ্গন নদী থেকে দেশী মাছ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানালেন পীরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ইসমত আরা।