ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টেস্টকে ঘিরে থাকছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষ আয়োজন

শততম টেস্ট খেলতে নামার অপেক্ষা

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৩ মার্চ ২০১৭

শততম টেস্ট খেলতে নামার অপেক্ষা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গল টেস্ট শেষ। বাংলাদেশ ২৫৯ রানে হেরে গেছে। সামনে বুধবার থেকে কলম্বো টেস্ট শুরু হবে। যেটি কলম্বোর পি সারা ওভালে অনুষ্ঠিত। এ টেস্টটি যেমন শ্রীলঙ্কার এবারের সফরে সিরিজে বাংলাদেশের শেষ টেস্ট ম্যাচ। তেমনি বাংলাদেশের শততম টেস্ট ম্যাচও। এই ম্যাচেই এখন খেলতে নামার অপেক্ষা। সঙ্গে সিরিজে সমতা আনার চেষ্টারও ম্যাচ এটি। টেস্টকে ঘিরে থাকছে আবার বিশেষ আয়োজনও। ২০০০ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলে। টেস্ট অঙ্গনে পা রাখে। ১৬ বছর শেষ হয়ে ১৭ বছরে পা রেখেছে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাস। ১৭তম বছরে গিয়ে বাংলাদেশ শততম টেস্টটি খেলছে। টেস্টটির মর্যাদা বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক। আর তাইতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ টেস্টের জন্য বিশেষ আয়োজন রেখেছে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডও বাংলাদেশের এমন ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে চায়। তাই তাদেরও বিশেষ আয়োজন আছে। বিসিবি এ টেস্টকে ঘিরে বিশেষ আয়োজন করবে, সেটাতো স্বাভাবিকই। তা কী আয়োজন রাখা হচ্ছে? শততম এই টেস্টে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য থাকছে স্মারক ক্যাপ, ক্রেস্ট ও ব্লেজার। যাতে লেখা থাকবে ‘শততম টেস্ট’। এছাড়া থাকছে বিশেষ স্যুভেনির। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘শততম টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা পাবেন স্মারক ক্যাপ, ক্রেস্ট ও ব্লেজার। যাতে লেখা থাকবে ‘শততম টেস্ট’। এছাড়া শততম টেস্টকে ঘিরে থাকছে বিশেষ স্যুভেনির।’ ম্যাচটি কলম্বোতে হবে। তাই আয়োজনের মাত্রা একটু কমই থাকবে। দেশে শততম টেস্টটি হলে আয়োজনের মাত্রা অনেক বাড়ত। কিন্তু কিছুই করার নেই। এরপরও বিসিবি যতটুকু পারবে, ততটুকুই করবে। সাধ্যের কোন কমতি রাখবে না। আকরামই যেমন বললেন, ‘এর চেয়েও বেশি কিছু করার ইচ্ছা ছিল। যেহেতু দেশের বাইরে খেলা তাই বড় আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।’ বিসিবি আয়োজনে মাত্রা বাড়াতে না পারলেও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড ঠিকই আয়োজনে বাড়তি মাত্রা যোগ করছে। তাদেরও এ ম্যাচটি নিয়ে আয়োজন করবে। ‘বিশেষ’ পরিকল্পনা আছে তাদের। শনিবার বোর্ড প্রধান থিলাঙ্গা সামাথিপালাই সংবাদ মাধ্যমকে এমনটি জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘শততম ম্যাচ খেলা দুই দলের খেলোয়াড়দের দেয়া হবে ‘বিশেষ’ পদক।’ যদিও শ্রীলঙ্কা ২৫৭তম টেস্ট খেলতে নামবে। তবুও তারা এ আয়োজনের সাক্ষী হতে চলেছেন। সামাথিপালা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। তারা আমাদের দেশে শততম টেস্ট খেলবে। এমন একটি ম্যাচ আয়োজন করতে পেরে আমরা ভীষণ আনন্দিত।’ এই ম্যাচ দেখতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিদল থাকবে। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দুইদেশের বোর্ড প্রধানের উপস্থিতিতে ছোট একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলে জানান সামাথিপালা। সেখানেই দুই দলের খেলোয়াড়দের মেডেল দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘দুই দলকে মেডেল দেয়া হবে ম্যাচ শুরুর আগেই। ম্যাচ উদযাপন করতে দলের জন্য একটি ডিনারের ব্যবস্থা থাকবে।’ ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সভাপতি ছিলেন সামাথিপালা। সে সময় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধানও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তিতে তার অবদান রয়েছে। ২০ বছর ধরে টাইগারদের কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন তিনি এই বলে, ‘ক্রিকেটে অনেক উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। একসময় সেখানে ফুটবল খুব জনপ্রিয় ছিল। ফুটবলের এখন ভাটা পড়েছে ক্রিকেটের উন্নতিতে। আশাকরি তারা আরও উন্নতি করবে। আমরা বাংলাদেশের একশতম টেস্টটি আয়োজন করতে পেরে খুশি ও গর্বিত। ম্যাচের দিন সকালে দুই দলের বোর্ড সভাপতি এখানে অতিথি হয়ে আসবেন। আমরা পাঁচ ’শ শিশুদের ম্যাচটি দেখার আমন্ত্রণও জানিয়েছি।’ ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৯৯টি টেস্ট খেলেছে। ৭৬টি টেস্টে হেরেছে। ১৫ টেস্টে ড্র করেছে। জিতেছে ৮টি টেস্টে। এবার বাংলাদেশের সামনে শততম টেস্ট খেলতে নামার পালা।
×