ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গণহত্যা স্মরণ দিবস পালন কেন জরুরী

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৩ মার্চ ২০১৭

গণহত্যা স্মরণ দিবস পালন কেন জরুরী

॥ তৃতীয় কিস্তি ॥ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা, চীন, সৌদি আরবসহ মুসলমান গরিষ্ঠ দেশসমূহ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল। আবার ‘নিরপেক্ষতা’ বজায় রাখার চেষ্টা করেছে ইউরোপীয় দেশসমূহ। লুঙ্গি পরা, জীর্ণশীর্ণ বাঙালীরা জিতবে এ কথা কেউ কল্পনাও করেনি। কিন্তু জিতে গেল। এই বিজয়ের পর সমীকরণও বদলে গেল। গণহত্যার সঙ্গে এরা জড়িত- এ প্রচার শুরু হলে তারা আরও বিপদে পড়বে। কেননা, ‘হলোকাস্ট’ বা ইহুদী নিধন তারা মনে রাখে কিন্তু বাঙালী হলে তা মনে রাখে না- এটি একেবারে মনের গহিনে সুপ্ত বর্ণবাদ এখন ট্রাম্প বা ইউরোপের ডানপন্থীরা যা খুঁচিয়ে তুলছেন। অন্যদিকে, মার্কিনী বা ইউরোপীয়রা নিজেদের গণতান্ত্রিক ও বর্ণবাদবিরোধী বলে প্রচার করে, তাই তারা এ বিষয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি। বিশ্ব প্রচার মাধ্যম তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং, বাংলাদেশের গণহত্যা বা ধর্ষণ প্রসঙ্গটি আর হলোকাস্টের মতো পরম্পরা পেল না। এভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম গণহত্যা চলে গেল চোখের আড়ালে। ॥ তিন ॥ গণহত্যার বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু করেন। এই অপরাধীদের অধিকাংশ ছিল জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে যুক্ত। ফলে, তারা গণহত্যা যে হয়নি, হত্যা কিছু হলেও সামান্য- এ বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য নানাবিধ চেষ্টা চালাতে থাকে। অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচার নিয়ে বিষোদগার শুরু করে। ভাড়াটে লোকজন দিয়ে বই লেখাতে শুরু করে। এর সাম্প্রতিক দুটি উদাহরণ শর্মিলা বসু ও জুনায়েদ আহমদের বই। এদের সঙ্গে যুক্ত হয় কিছু সাংবাদিক যার মধ্যে নিউএজের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে খালেদা জিয়া, গয়েশ্বর রায় প্রমুখ। এখন গণহত্যা নিয়ে বাহাসে আমি যাব না। গণহত্যা হয়েছিল এই সত্য নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন মানে হয় না। কিন্তু, এরা কীভাবে বিতর্ক ছড়াচ্ছে, কী যুক্তিতেÑ সেগুলো নিয়ে আলোকপাত করব। কারণ, এসব বিষয়কে ক্রমাগত উপেক্ষা করার কারণে, আজ গণহত্যা-মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে আমাদের বলতে হয়। গণহত্যা নির্যাতনকে গুরুত্ব না দেয়ায়, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পাকিস্তান সমর্থক বাঙালী পাকিস্তানীরা এর সুযোগ নিতে চেয়েছে। জামায়াত গণহত্যা অস্বীকার নয়, তারা বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস পালন শুরু করে। উল্লেখ্য, শাসন ক্ষমতায় থাকার পরও জামায়াতীরা শহীদ মিনার বা সাভারে স্মৃতিসৌধে কখনও যেতে পারেনি। শেখ হাসিনার সরকার যখন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু করে তখন হঠাৎ গণহত্যা অর্থাৎ ৩০ লাখ শহীদকে নিয়ে বিতর্ক তোলেন বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশী সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান। তিনি বিভিন্ন কাগজে এ নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। খালেদা জিয়াও ৩০ লাখ শহীদ নিয়ে কয়েকবার প্রশ্ন তোলেন। ভাবা যায়, যিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ৩০ লাখ শহীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত সাভার স্মৃতিসৌধে প্রতিবছর পুষ্পস্তবক দিয়েছেন, এখনও দেন। তিনিও প্রশ্ন তোলেন গণহত্যা নিয়ে! কারণ, গণহত্যার কারণে ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত হয়েছিল। গণহত্যা হয়নি বা তা বিতর্কিত করলে বিচারের মূল লক্ষ্য ব্যাহত হয়। জামায়াত তখন প্রচুর টাকা ঢালছিল বলে সারাদেশে চাউর হয়ে গিয়েছিল। ট্রাইব্যুনাল বন্ধে গণহত্যা নিয়ে বিতর্ক তোলার জন্য দেশে-বিদেশে এই টাকা বিতড়িত হয়েছিল। ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান যখন যুদ্ধাপরাধী নিয়ে প্রথমে ডকুমেন্টারি করেন তখন তিনি বাংলাদেশের আইনবিদ ও রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের জ্যেষ্ঠ কন্যাকে বিয়ে করেননি। ডেভিডকে নিয়ে তখন আমরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছি স্বাভাবিকভাবেই। কারণ, যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে তখন আন্দোলন শুরু। লন্ডনেও তখন ড. কামালের কন্যা সারাহ ও বাঙালী তরুণ-তরুণীরা এ প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন। ডেভিডকে তখন তাদের সঙ্গে দেখেছি। এরপর ডেভিড এসেছেন এ দেশে মাঝে মাঝে। যোগাযোগ হয়েছে বাংলাদেশের অনেকের সঙ্গে। তারপর এক সময় ড. কামাল হোসেনের জামাতা হিসেবে এ দেশেই ফিরে এসেছেন। যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ নিয়ে ডেভিড বিভিন্ন প্রতিবেদন লেখা শুরু করলেন পত্রিকায় এবং এ প্রতিবেদনগুলোতে আমরা দেখলাম, আগের ডেভিড নেই। যে প্যাশন নিয়ে তিনি এক সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে নেমেছেন এখন দেখা যাচ্ছে, সেই একই প্যাশন নিয়ে যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিরুদ্ধে নেমেছেন। এর কারণটি কী তা আমরা বুঝতে অক্ষম। জামায়াতের লবিস্ট/আইনজীবীরা বিদেশে বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে যা বলছিল, ডেভিডের ভাষাও ক্রমে দেখা গেল সে রকম হয়ে যাচ্ছে। জামায়াত প্রচুর পয়সা দিয়েছে এবং দিচ্ছে লবিস্টদের। এক প্রতিবেদনে দেখেছিলাম, মীর কাশেম আলী ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন লবিস্টদের। সত্য-মিথ্যা জানি না। ডেভিডের মতো একই রকমভাবে ইকোনমিস্ট ও আলজাজিরাও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে প্রচার করেছে। এক সময় আলজাজিরা যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে বলেছিল। এ দুটি প্রতিষ্ঠানেরই মালিক নাকি কাতারের শেখ পরিবার। এসবের সঙ্গে ডেভিডের সম্পর্ক আছে কিনা জানি না, কিন্তু তার বক্তব্য তাদের মতোই। যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করায় ডেভিডকে আদালত তলব করেছিল। ডেভিডকে দমানো যায়নি কারণ তার বোধহয় এই প্রতীতি জন্মেছে যে, দেশের সেরা আইনবিদ ও সুপরিচিত আইনবিদের তিনি পরিবারভুক্ত। তার কেশাগ্র কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। ট্রাইব্যুনাল আবারও ডেভিডকে তলব করেছিল আদালত অবমাননার জন্য। কোন একটি লেখায় ডেভিড মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে ভারতের ‘দি হিন্দু’ পত্রিকায় ডেভিড একটি কলামও লিখেছেন। প্রথমে দেখা যাক ডেভিডের বক্তব্য কী? বাংলাদেশ সরকার সবসময় বলে আসছে পাকিস্তানী ও তার সহযোগীরা ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে এটি কি ঠিক? [তার ভাষায় এটি কি ‘ফেয়ার এস্টিমেট’?] এটি মূল বক্তব্য এবং তারপর এই বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নানা ‘তথ্য প্রমাণ’ হাজির করেছেন। তার মতে, স্বাধীনতার ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি এখনও স্পর্শকাতর। এ স্পর্শকাতরতার কারণ, জন্ম থেকেই একটি শিশু এ কথা শুনছে স্কুলে এটি পড়ানো হয়। দেশের কবিতা সংস্কৃতির বুননে তা ঢুকে গেছে। সুতরাং এ নিয়ে প্রশ্ন করা একটি গভীর বিশ্বাসকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ডেভিডের মতে, যিনি এ কথা প্রথম বলেছেন তিনি এ দেশের স্বাধীনতার নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। এভাবে বাক্য বিন্যাসের কারণে বোঝা যায়, আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে তার খুব একটা পছন্দ নয়। কারণ পরবর্তী বাক্যে লিখেছেন, এ সংখ্যাটি বেশি বলে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকরা। ডেভিড লিখেছেন, ১৯৭১ সাল নিয়ে রক্ষণশীল যে জাতীয়তাবাদী ডিসকোর্স তৈরি হয়েছে তা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থানের অংশ বা বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিপরীত। এমনকি, তার মতে এ সংখ্যা নিয়ে কেউ সন্দেহ প্রকাশ করলে অনেক আওয়ামী লীগার তাকে স্বাধীনতাবিরোধী বা ‘অপজিশনাল মাইন্ডসেট’ বলে আখ্যা দেবে। সুতরাং বাংলাদেশে ৩০ লাখ মৃত্যুকে নিয়ে যে প্রশ্ন করবে তার মাথা নিচু করে থাকতে হবে, ভীত থাকতে হবে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও ব্যক্তিগত আক্রমণের আশঙ্কায়। ডেভিড বার্গম্যানের এ বক্তব্য নিয়ে প্রথম আলোচনা করা যাবে। এটি ঠিক, আমাদের হৃদয়ে এবং ১৯৭১ সালের পর যাদের জন্ম তাদের মাথায় ৩০ লাখ শহীদ শব্দটি গেঁথে গেছে। কিন্তু এতে অস্বাভাবিক কী আছে? ডেভিডও নিশ্চয় বড় হয়েছেন ‘হলোকাস্ট’ শব্দটি শুনে। হলোকাস্ট বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার কর্তৃক ইহুদী ও নাজি বিরোধীদের নিধন হলো হলোকাস্ট। এটি বিশ্ববাসী বা ইউরোপীয়দের মধ্যে বিশ্বাস যে, ৩ লাখ মানুষ মারা গেছেন হলোকাস্টে। নাজি বা ক্যাসিবিরোধী ডিসকোর্সের তা অন্তর্গত এবং ইউরোপের যে কোন রাজনৈতিক দল হলোকাস্টে কথা বললে কি মনে হয় যে তা অর্থোডক্স ন্যাশনালিস্ট ডিসকোর্সের অংশ বা কোন দলের বিশ্বাস? হ্যাঁ, হলোকাস্টে মৃতের সংখ্যা নিয়েও মাঝে মাঝে প্রশ্ন করা হয়েছে, কিন্তু যারা এ প্রশ্ন তুলেছেন তারা কি মেইনস্ট্রিম একাডেমিকসে জায়গা পেয়েছেন? এবং জার্মানিতে, যে জার্মান সরকার এক সময় এ নিধন চালিয়েছে, সে জার্মানিতে কেউ এ প্রশ্ন করলে কি তাকে জার্মান সমাজ গ্রহণ করবে? তাকে কি নাজি সমর্থক মনে করবে না? সে মনে করাটি কি ‘অপজিশনাল’ মাইন্ডসেট? আমেরিকাতে ইহুদী বিদ্বেষী দু’একজন লেখক এ নিয়ে কথা তুলেছেন এবং খোদ আমেরিকাতে তাদের নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে, হাসি-ঠাট্টা করা হয়েছে তাদের ‘পা-িত্য’ নিয়ে। তারা পরিশীলিত তাই এ ধরনের ব্যক্তিদের রিভিশনিস্ট বলেছেন। আমাদের দেশের মানুষজন অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত, অতটা পরিশীলিত নয়, তাই যারা ৩০ লাখকে অস্বীকার করে তাদের হারামজাদা বলে। শব্দগত বা ভাবগত তফাত আর কি! ডেভিড তার শ্বশুরের মতো আওয়ামী লীগকে পছন্দ করেন না। সেটি স্বাভাবিক। কিন্তু ৩০ লাখ শহীদ নিয়ে প্রশ্ন করলে কি শুধু আওয়ামী লীগ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়? না। ডেভিডের আওয়ামী লীগকে অপছন্দের কারণে মনে হয়েছে, খালি আওয়ামী লীগ-ই প্রতিক্রিয়া জানাবে। কমিউনিস্ট পার্টি তো ঘোর আওয়ামী লীগবিরোধী। ডেভিড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, ৩০ লাখ শহীদের তিনি বিশ্বাস করেন কিনা? বিএনপি-জামায়াত ছাড়া আর কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন করে কিনা সেটি ডেভিড পর্যালোচনা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করবেন না দেখেই আগে ভাগে জানিয়েছেন, এটি আমাদের সংস্কৃতির বুননে মিশে আছে। ডেভিড তার শ্বশুর ড. কামাল হোসেনকে একবার জিজ্ঞেস করলে পারতেন, তিনি এটা বিশ্বাস করেন কিনা? আওয়ামী লীগ করার সময় তো নিশ্চয় বিশ্বাস করতেন। না করলে কি প্রকাশ্যে তিনি তা বলবেন? ডেভিডের নিবন্ধের প্রথম ভাগ দেখে মনে হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যে আওয়ামী লীগ করছে সে জন্য তিনি খানিকটা কুপিত। ডেভিড তার স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি আমরা সবাই এতে বিশ্বাস করতাম এখনও করি। ডেভিড এখন করেন না তার বিশ্বাস ভঙ্গ হয়েছে, আমাদের বিশ্বাস এখনও অটুট। ডেভিড কেন, আমাদের সবারই একটি বিষয় মনে রাখা উচিত, এ বিচারটা আওয়ামী লীগ না করলে তাদের অনেক নেতাকর্মী হয়ত খুশি হতেন। আওয়ামী লীগ সব সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছে কিন্তু প্রথম আমলে তা করেনি। ২০০৮ সালে, তারা জনগণের ম্যান্ডেট চেয়েছে বিচারে এবং তা পেয়েছে। তারপরও কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে বিচার কাজ শুরু হয়নি। পরে জনচাপে সেই ম্যান্ডেট আওয়ামী লীগ কার্যকর করছে মাত্র। এটি দলীয় কোন সিদ্ধান্ত কার্যকরের মতো নয়। নিবন্ধের দ্বিতীয় ভাগে ডেভিড বলছেন, সাংবাদিক বা গবেষকদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ এই যে ‘আইকনিক ফিগার’ পর্যালোচনা করবেন। ডেভিড বুদ্ধিমান, পরের লাইনে লিখেছেন, এই পর্যালোচনা পাকিস্তানী ও তাদের সহযোগীদের নিষ্ঠুরতা কম করে দেখানোর জন্য নয়। তার ভাষায়, This is not in order to minimi“e the extent of atrocities committed by the Pakistan military and its collaborators which were Indoubtedly very significant, but for the purposes of a more accurate representation of history that is not thrall to partisan interest. শেষ বাক্যটি লক্ষ্য করুন, ইতিহাসের স্বার্থে এবং যা পক্ষপাতমূলক স্বার্থের পক্ষে [পড়ুন আওয়ামী লীগ] যাবে না। অর্থাৎ ৩০ লাখ নিয়ে প্রশ্ন ওঠালেই তা আওয়ামী লীগের স্বার্থের বাইরে যাবে। এ ধরনের বাক্য গঠন দেখেই বোঝা যায় একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই লেখাটি রচিত হয়েছে সেটি হচ্ছে অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠু নয়, অভিযোগগুলো বিশেষ করে হত্যার, সুষ্ঠু নয় এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলবে...
×