ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জলবায়ু পরিবর্তন কি রূপপুরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ?

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১৩ মার্চ ২০১৭

জলবায়ু পরিবর্তন কি রূপপুরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ?

জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক সমস্যাসমূহের মধ্যে অন্যতম। এজন্য মূলত শিল্পোন্নত বিশ্ব দায়ী হলেও উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলো এই পরিবর্তনের নির্মম শিকার। এই তালিকায় বাংলাদেশের নামও যুক্ত। বস্তুত এ নিয়ে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। ওইসব আলোচনায় কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে। এমনকি ক্ষতিপূরণ আদায় ও জলবায়ু তহবিলও গঠন করা হচ্ছে। সর্বোপরি পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন উন্নয়ন-বিশেষজ্ঞরা। যা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যা হোক, আমার এই লেখা কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নয়। আসলে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্ক কি অথবা বাংলাদেশ এই পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে জলবায়ু পরিবর্তনের দিকটি আমলে নিয়েছে কিনা ইত্যাকার বিষয় আলোকপাত করতেই এই লেখা। অবশ্য এর প্রয়োজনও দেখা দিয়েছে। কারণ, প্রচার করা হচ্ছে রাশিয়া রূপপুরের স্পেন্ট নিউক্লিয়ার ফুয়েল ফেরত নেবে না, রূপপুরে পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটলে তার শতভাগ দায় বাংলাদেশকেই নিতে হবে। কখনও বলছে বাংলাদেশের তো জনবল নেই, তাই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনায় রাশিয়ানরা যা বলবে তা-ই শুনতে হবে। এখানে নেতিবাচক প্রচার শেষ নয়Ñ গোলটেবিল বৈঠক করে রূপপুরে পারমাণবিক দুর্ঘটনা সংঘটিত হলে আমাদের ইকোলজিই বদলে যাবে, তারও ফলাও প্রচারণা চালাচ্ছে কতিপয় মহল। আমার প্রশ্ন হলো, পারমাণবিক দুর্ঘটনা কী আমাদের দেশের সড়ক দুর্ঘটনার মতো হরহামেশাই সংঘটিত হয়ে থাকে? পৃথিবীর দেশে দেশে পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদনে দুর্ঘটনার ইতিহাসই বা কি? এসব তথ্য-উপাত্ত না জেনে কিংবা জেনেশুনে রহস্যময় কারণে কোন জনগোষ্ঠীকে কেন এবং কার স্বার্থে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে? উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে প্রতিবারই সেনসেটিভ কোন ইস্যুকে বেছে নেয়া হয়। এবারের ইস্যু জলবায়ু পরিবর্তন। না, প্রতিবেদন হিসেবে নয়, বরং বিশেষ সাক্ষাতকার হিসেবে ‘জলবায়ু পরিবর্তনও রূপপুরের বড় ঝুঁকি’ শিরোনামে। ড. পিওতর তাপিচকানোভ কার্নেগি মস্কো সেন্টারের পরমাণু বিস্তার রোধ কর্মসূচীর ফেলো। ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিআইপিএসএস আয়োজিত ‘পারমাণবিক জ্বালানি যুগে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তাঁর সাক্ষাতকার প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। সাক্ষাতকার গ্রহণকারী সব বিষয়ে জ্ঞাত (!) জনৈক সাংবাদিকের প্রতিটি প্রশ্নই ছিল নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র সম্পর্কে ড. পিওতর তাপিচকানোভ থেকে নেগেটিভ উত্তর বের করে আনা। কারণ, কার্নেগি মস্কো সেন্টারের ওই ফেলোর রূপপুর নিয়ে যে কোন নেতিবাচক মন্তব্যের প্রভাব হতো সুদূরপ্রসারী আবহে ক্ষতিকর। সাক্ষাতকারটি পড়লেই স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, এটি নেয়ার আগে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক প্রচুর হোমওয়ার্ক করা হয়েছে। যেমন শুরুতেই রুশ পারমাণবিক প্রযুক্তিকে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার পারমাণবিক প্রযুক্তি থেকে নিম্নমানের বলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ড. পিওতরের উত্তর ছিল এরকম: ‘উদাহরণ হিসেবে যদি চীনের সঙ্গে রাশিয়ার পারমাণবিক শিল্পের তুলনা করা হয়, তাহলে অনেক বড় পার্থক্য দেখা যাবে। পারমাণবিক প্লান্ট তৈরিতে রাশিয়ার অভিজ্ঞতা দীর্ঘ সময়ের। চীন এখন পর্যন্ত শুধু পাকিস্তানকেই প্লান্ট সরবরাহ করেছে। অন্যদিকে রুশ প্রযুক্তি বিভিন্ন ধরনের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। যেমন ফিনল্যান্ড, ভারত ও বেলারুশÑ কোথাও অসুবিধা নেই। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চীনের সঙ্গে তুলনা করে বলব, রুশ প্রযুক্তি অধিকতর অগ্রসর ও নিরাপদ। দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য আন্তর্জাতিক বাজারে খুবই সক্রিয় এবং উত্তম অভিজ্ঞতাপ্রসূত। তারা চীনের থেকে বেশি অভিজ্ঞ। এই প্রেক্ষাপটে আমি বলব, তাদের সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে এটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতে পারে। চীনের ক্ষেত্রে এটা আমি বলব না।’ এই প্রশ্নে সুবিধা করতে না পেরে রূপপুর সাইট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে ড. পিওতরকে, যা বিভ্রান্তিকর। কারণ, সাক্ষাতকার গ্রহণকারীর সন্দেহ (সত্যিকারার্থে সন্দেহ নয়, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রূপপুর বিরোধিতায় জনগণের মাঝে সন্দেহপ্রবণতার প্রচারণা ঘটানো) ‘পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনে রূপপুরকে বেছে নিতে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি। কারণ, এতে নাকি রুশরা প্রভাব ফেলেছে।’ কী সাংঘাতিক মিথ্যাচার! কার না জানা আছে যে, ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণের পর ১৯৬২-১৯৬৮ সালের মধ্যে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার পদ্মা নদীর তীরবর্তী রূপপুরকে প্রথমে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের স্থান নির্বাচন করা হয় এবং একইসঙ্গে ভূমি অধিগ্রহণসহ অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে যত সমীক্ষা ও সম্ভাবনা যাচাইয়ের কাজ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিশেষজ্ঞ দ্বারা তার সব কটাতেই রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের কথা ইতিবাচকই বলা হয়েছে। উঁচু পললভূমি রূপপুর কখনও বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এমনটিও জানা ইতিহাসে দেখা যায় না। নেই প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প সংঘটনের তথ্য। আসলে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদন ও ব্যবহারের মর্যাদাপূর্ণ যুগে পদার্পণ করতে যাচ্ছে, তা দীর্ঘ ঐতিহাসিক ধাপ অতিক্রমণেই মাত্র সম্ভব হয়েছে। এখানে দেশীয়, প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ইতিবাচক মতামতের মিশেল ঘটেছে। বিশেষত, সাইট নির্বাচনে যদি কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকত তাহলে অবশ্যই আন্তর্জাতিক এ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) অনুমোদন পাওয়া যেত না। কারণ আইএইএ যখন নিশ্চিত হয়েছে রূপপুরের স্থানটি পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য নিরাপদ, তখনই তারা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিয়েছে। পরন্তু ড. পিওতরের জবাবও ছিল সাক্ষাতকার গ্রহণকারীর জন্য নৈরাশ্যজনক ও আশাহতের বিষয়। এখানে আমি ড. পিওতরের জবাব তুলে ধরছি: ‘আমার পয়েন্ট ছিল এটাই যে, আন্তর্জাতিক এ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) মনে করেছে রূপপুরের স্থানটি নিরাপদ। এই স্থানটি পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র স্থাপনে ব্যবহৃত হতে পারে। সুতরাং এটা বাংলাদেশ বা রাশিয়া নয়, এটা স্বাধীনভাবে আইএইএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি যে, এ ব্যাপারে বাংলাদেশের নিজস্ব মূল্যায়ন রয়েছে। আপনি বলছিলেন যে, রাশিয়া কোন ভূমিকা রেখেছে কি না? এটা ঠিক এভাবে ঘটেনি। আমি আপনাকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারি। ধরুন, আপনি বাংলাদেশ, আমি রাশিয়া। আপনি ঘোষণা করেছেন যে, আপনার একটি পারমাণবিক প্লান্ট দরকার। আপনি সুপারিশ করেছেন, কোন্ আয়তনের প্লান্ট লাগবে। তখন আপনি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান বা প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত করলেন। তখন আমি রাশিয়া আপনার কাছে এলাম। আপনি বললেন, এ জন্য আমার এক বা একাধিক সাইট রয়েছে। তখন রুশ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে এলেন এবং সবকিছুই মূল্যায়ন করলেন। কী করা যায়? নিরাপত্তার বিষয়টি কেমন? তখন আমরা হয়ত বললাম, হ্যাঁ, এই স্থানটি উপযুক্ত বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে যে কোন উপায়েই হোক, এটা আপনারই সিদ্ধান্ত। আমরা শুধু দায়ী থাকব নির্মাণ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে।’ যে স্পেন্ট নিউক্লিয়ার ফুয়েল নিয়ে মাতামাতি করা হচ্ছে তারও সুন্দর ও যথাযথ জবাব দিয়েছেন ড. পিওতর। তাঁর মতে ‘সাধারণ প্র্যাকটিস হলো স্পেন্ট ফুয়েল আমরা নিয়ে যাই। কারণ, তা পরিত্যাগকরণের সুবিধাদি আমাদের আছে। মজুদ করতেও আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা আছে। সুতরাং এটাই স্বাভাবিক যে, এই বর্জ্য স্বাগতিক দেশের মধ্যে আমরা ফেলে যাই না। ইরানের কথা বলতে পারি। আমরা সেখান থেকে স্পেন্ট নিউক্লিয়ার ফুয়েল রুশ ভূখণ্ডে আমদানি করে থাকি। স্পেন্ট ফুয়েল তারা স্পর্শও করতে পারে না। এর দায়দায়িত্ব পুরোটাই আমাদের। তাদের এটা মজুদ করার কথা ভাবতেও হয় না। আমরা কিছু চুক্তির ক্ষেত্রে প্লান্টের পুরো মেয়াদে নিউক্লিয়ার ফুয়েলও সরবরাহ করে থাকি। সুতরাং আমরা পারমাণবিক জ্বালানি আনি, আবার স্পেন্ট ফুয়েল নিয়েও যাই। খুবই সোজা কথা। রূপপুরের পাওয়ার প্লান্টের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যে, রিকটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এই প্লান্টের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু রিকটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্পে অবশ্যই এই পাওয়ার প্লান্ট বড় রকমের ঝুঁকিতে থাকবে। এখন প্রশ্ন হলো, ১০ মাত্রার ভূমিকম্পে কোন্ স্থাপনাটি ঝুঁকিমুক্ত? আসলে ওই ধরনের প্রাকৃতিক মহাবিপর্যয়ে পুরো ভূ-পৃষ্ঠ ও ভূ-অভ্যন্তর লণ্ডভণ্ড হয়ে বদলে যাবে নদীর গতিপথ, এমনকি জলভাগ পরিণত হবে স্থলভাগ ও সুউচ্চ পাহাড়ে। এ হচ্ছে প্রকৃতির খেলা। যার ওপর মানুষের আপাতত কিছু করার নেই। আমাদের পৃথিবীপৃষ্ঠে যে ভূ-তাত্ত্বিক বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা দেখা যায়, তার মূলে রয়েছে প্রকৃতির ওই খেলা। আজকের হিমালয় পর্বতও দূর অতীতে সমুদ্র ছিল। যা হোক, বড় রকমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র কেন, পুরো উদ্ভিদ ও প্রাণিজগত তথা ইকোসিস্টেম আক্রান্ত হতেই পারে। এরকম একটি বিষয়ে সাক্ষাতকার গ্রহণকারী প্রশ্ন রেখেছেন এভাবে, ‘আপনি বলছিলেন যে, একটি প্লান্টের আয়ুষ্কাল হলো ৪০ থেকে ৫০ পঞ্চাশ বছর। আর বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অত্যন্ত উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে আছে। তাই আপনি কি মনে করেন এদেশে পারমাণবিক স্থাপনার ঝুঁকি বাস্তবেই আছে?’ এর জবাবে ড. পিওতর তাপিচকানোভ বললেন, ‘হ্যাঁ, আছে।’ আর যায় কোথায়! এটাকেই সাক্ষাতকারের শিরোনাম ‘জলবায়ু পরিবর্তনও রূপপুরের বড় ঝুঁকি’ হিসেবে প্রকাশ করা হলো। কী অপসাংবাদিকতা! এরও একটি স্ট্রাটেজি আছে। আর তাহলো, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে ভীতিকর ও বানানো তথ্য পরিবেশনের কু-প্রভাবে ইতোমধ্যে জনমনে নির্মাণাধীন এই পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে ভীতি ও বিভ্রান্তি থেকে এক ধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির গ্রাউন্ড প্রস্তুত হয়েই আছে। ফলে অনেক পাঠকই পুরো সাক্ষাতকারটি না পড়ে শুধু শিরোনাম দেখেই রূপপুরে তথা বাংলাদেশের যে কোন স্থানে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধী দলে ঝুঁকবে। বিদ্যুত উৎপাদনে নন-নিউক্লিয়ার যুগে থাকাটাই সমীচীন মনে করবে কিংবা বিরোধিতা পাকাপোক্ত হবে এমন ধারণা থেকেই একটি পজিটিভ সাক্ষাতকারের নেগেটিভ শিরোনাম দেয়া হয়েছে। অন্তত আমার তা-ই ধারণা। বড় স্কেলে কোন প্রাকৃতিক পরিবর্তন তথা বিপর্যয়ের কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র যদি ঝুঁকিতেই থাকে তাহলে পৃথিবীর সব পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রই ঝুঁকিতে আছে। তাহলে সেগুলো এখনই বন্ধ করে দিয়ে পৃথিবীবাসী কি নক্ষত্রের আলোয় জীবনযাপন করবে? নাকি বাংলাদেশকে বিদ্যুত উৎপাদনে নন-নিউক্লিয়ার যুগে বন্দী রাখতে এসব করা হচ্ছে? লেখক : গবেষক
×