ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাবমেরিন যুগে দেশ

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১৩ মার্চ ২০১৭

সাবমেরিন যুগে দেশ

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চীন থেকে সংগৃহীত অত্যাধুনিক দুটি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত হলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার চট্টগ্রামে বানৌজা ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামের এ দুই সাবমেরিন কমিশন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। আমরা যুদ্ধে লিপ্ত হতে চাই না। কিন্তু যদি কেউ আক্রমণ করে তাহলে যেন সমুচিত জবাব দিতে পারি সেজন্য বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করছি। শুধু নৌবাহিনীই নয়, প্রতিটি বাহিনীকে শক্তিশালী করছি। আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জনকারী জাতি। মাথা নিচু করে নয়, বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মার্চ বাঙালী জাতির স্বাধীনতার মাস। এ মাসের ১৭ তারিখ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার এ মাসে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে আমরা সাবমেরিন সংযুক্ত করতে পেরেছি। বিশ্বের মাত্র গুটিকয়েক দেশ সাবমেরিন পরিচালনা করে থাকে। সে তালিকায় আজ থেকে বাংলাদেশের নাম স্থান পাবে। এটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার একটি বিষয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য দুটি সাবমেরিনকে আধুনিকায়ন এবং সাবমেরিনের সকল ক্রুকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং হস্তান্তরপরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম সহযোগিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় চীন সরকার, সে দেশের নৌবাহিনী এবং জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি সত্যিকারের ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করার যে প্রতিশ্রুতি আমি দিয়েছিলাম তা আজ পূরণ হলো। নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা শ্রদ্ধাভরে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফায় পূর্ব বাংলায় নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি স্থাপনের দাবি ছিল। জলসীমার নিরাপত্তা বিধানের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা নৌবাহিনীকে ‘নেভাল এসাইন’ প্রদান করেছিলেন এবং দেশের প্রয়োজনে আধুনিক ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন। তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে নিজ সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আমাদের সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন, যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বিদ্যমান জাহাজসমূহের অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সুদূরপ্রসারী চিন্তা বাস্তবায়নের ফলে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিশ্ব দরবারে একটি মর্যাদাপূর্ণ বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আমাদের সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ উন্নত বিশ্বের নৌবাহিনীর ন্যায় জাতিসংঘের ব্যানারে বছরের পর বছর আন্তর্জাতিক জলসীমায় টহলরত থেকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাসুক্ত বিশ্ব গড়ার পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য। তবে শান্তিপ্রিয় হলেও বাঙালী জাতি অন্যায় এবং অবিচারকে কখনই মেনে নেয়নি। স্বাধীনতা প্রশ্নে, জাতির আত্মমর্যাদার প্রশ্নে আমরা কোনদিন আপোস করিনি। ভবিষ্যতেও যেন কোন অবস্থায় আমাদের সার্বভৌমত্ব বিঘিœত না হয় সেজন্য একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী আমাদের প্রয়োজন। আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিধান প্রশ্নে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আমাদের সরকার আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে। কাউকে সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনায় আমাদের ভূখ- ব্যবহার করতে না দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে তাঁর সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও আমাদের সাবমেরিন ছিল না। অত্যাধুনিক এ দুটি সাবমেরিন নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়ে আমাদের সক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়েছে। আক্ষরিকভাবেই বাংলাদেশ নৌবাহিনী এখন ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ অর্জনে নৌবাহিনীর জন্য স্বল্প সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক জাহাজ আমরা সংগ্রহ করেছি। নৌবাহিনীকে কার্যকর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে ইনশা আল্লাহ। সম্প্রতি গণচীন হতে সংগৃহীত অত্যাধুনিক করভেট নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করেছে। এর পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে নিজস্ব সামর্থ্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। খুলনা শিপইয়ার্ডে প্রথমবারের মতো অত্যাধুনিক এলপিসি তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত চট্টগ্রাম ডাইডকে ফ্রিগেট নির্মাণের প্রকল্প বর্তমান সরকার গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। সময়ের প্রয়োজনে বর্তমান সরকারের আমলে সমুদ্রে বিভিন্ন অপ্রথাগত হুমকি মোকাবেলায় নৌবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স সোয়াডস গঠন করা হয়েছে। ত্রিমাত্রিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে প্রথম ধাপ ছিল নৌবাহিনীর জন্য আকাশের সীমানা উন্মোচন। আমাদের সরকারের আমলে হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট নিয়ে গঠিত হয় নেভাল এভিয়েশন। আর সর্বশেষ সংযুক্ত হয়েছে সাবমেরিন। শীঘ্রই বাহিনীতে আরও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং অত্যাধুনিক সমর ক্ষমতাসম্পন্ন হেলিকপ্টার সংযোজিত হবে। এয়ারক্রাফট সংযোজনের ফলে নৌবাহিনী অল্প সময়ে বিশাল সমুদ্র এলাকা টহল ও পর্যবেক্ষণে সক্ষমতা অর্জন করেছে, যা সমুদ্রসীমা এবং সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নৌবহর বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌবাহিনীর নিজস্ব বিমান ও সাবমেরিন ঘাঁটিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীর রাবনাবাদ এলাকায় ‘বানৌজা শেরে বাংলা’ নামে নির্মাণাধীন একটি সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটির ভিত্তিপ্রস্তর আমাদের সরকারের সময়ই স্থাপন করা হয়েছে। সাবমেরিন সংযোজনের সঙ্গে সঙ্গে এ নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয় জড়িত রয়েছে। সাবমেরিনের জন্য পৃথক ঘাঁটি নির্মাণসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সাবমেরিন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা নবীন ক্রু। আপনাদের লক্ষ্য হবে সমুদ্রে সফলভাবে সাবমেরিন চালনার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে প্রকৃত অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হওয়া। পাশাপাশি নতুন সংযোজিত এ আর্মসকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শাখা হিসেবে যে নীতিমালা, অবকাঠামো এবং ইক্যুইপমেন্টস দরকার তা তৈরি করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হবে। নৌবাহিনীতে কর্মরত কর্মকর্তা ও নাবিকদের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিনের আবাসিক সমস্যা নিরসনকল্পে এবং প্রশিক্ষণ সুবিধাদি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা নৌ অঞ্চলে একসঙ্গে অনেকগুলো বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এজন্য যে ধরনের বাজেট সহায়তা দরকার তা বর্তমান সরকার পূরণ করবে। ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে উৎসবমুখর পরিবেশ ॥ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে প্রথমবারের মতো দুটি সাবমেরিন সংযোজনের জন্য ২০১৭ সালের ১২ মার্চ রবিবার দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কমিশনিংকে কেন্দ্র করে পুরো ঘাঁটিতে ছিল উৎসবের আমেজ। কর্ণফুলীর তীরবর্তী এলাকায় সাজ সাজ অবস্থা। কর্ণফুলীতে অর্ধভাসমান অবস্থায় রাখা হয় সাবমেরিন নবযাত্রা ও জয়যাত্রাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মূল্যবান বক্তব্যের মাধ্যমে সাবমেরিনের কমিশন ঘোষণা করেন। এ উপলক্ষে নৌবাহিনী সদস্যদের ডিসপ্লে ছিল চিত্রাকর্ষক। কর্ণফুলী নদীতেই স্থাপন করা হয় ভাসমান মঞ্চ। মূল মঞ্চে কমিশনিং ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী যান ভাসমান মঞ্চে। এরপর তিনি সাবমেরিন পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং তিন বাহিনীর শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারা। কমিশনিং মঞ্চে উপবিষ্ট প্রধানমন্ত্রীকে নৌবাহিনীর বিভিন্ন জাহাজ থেকে অভিবাদন জানানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে দুই সাবমেরিনের পাশে এসে অবস্থান নেয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় ফ্রিগেট বিএনএস বঙ্গবন্ধু, যা ২০০১ সালে আওয়ামী সরকারের মেয়াদে সংযোজিত হয়েছিল। এছাড়া কর্ণফুলীতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যুদ্ধজাহাজ ও বোট থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দিত করা হয়। আকাশে উড়ে যায় নৌবাহিনীর এয়ারক্রাফটগুলো। তখন বিভিন্ন জাহাজ এবং তীরবর্তী পয়েন্ট থেকে ছাড়া রকমারি আলোয় বর্ণিল হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন সাবমেরিন কমিশনিং ছাড়াও সাবমেরিনের জন্য নির্মিত বিভিন্ন ব্যাজ ফ্যাসিলিটিজের উদ্বোধন করেন এবং সাবমেরিনের জন্য ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’ নামের পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ বিএনএস শেখ হাসিনা ঘাঁটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌবাহিনী কমান্ডার কেএম মামুনুর রশীদের হাতে নবযাত্রার কমিশনিং ফরমান এবং লে. কমান্ডার মাজহারুল ইসলামের হাতে জয়যাত্রার কমিশনিং ফরমান তুলে দেন। সাবমেরিন কমিশনিং অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত, সাবমেরিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং চীনা নৌবাহিনীর সদস্যবৃন্দ, জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান এবং স্থানীয় দৈনিকের সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সাবমেরিন নবযাত্রা ও জয়যাত্রা ॥ চীন থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকায় কেনা এ দুই সাবমেরিনের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার এবং প্রস্থ ৭ দশমিক ৬ মিটার। সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ১৭ নটিক্যাল মাইল এবং ডিসপ্লেসমেন্ট ১৬০৯ টন। টর্পেডো ও মাইন অস্ত্রে সজ্জিত এ সাবমেরিন দুটি শত্রুজাহাজ এবং সাবমেরিনে আক্রমণ চালাতে সক্ষম। এছাড়া এগুলো শত্রুজাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ বিশেষ যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ।
×