ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিয়ের সময় ডাকেনি এখন যৌতুক মামলার আসামি’

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১৩ মার্চ ২০১৭

‘বিয়ের সময় ডাকেনি এখন যৌতুক মামলার আসামি’

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ‘বিয়ের সময় ডাকেনি, এখন যৌতুক মামলার আসামি’ এভাবেই সংবাদ সম্মেলনে হয়রানির কথা তুলে ধরলেন যশোরের শার্শা উপজেলার বামুনিয়া গ্রামের মনিরুজ্জামান। নাবালক ছেলেকে ‘জোর করে’ বিয়ের পর এখন যৌতুক মামলায় তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার। এর প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন মনিরুজ্জামান। লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, ছেলে আবিদ হাসান মাসুম ২০১৩ সালে যশোরের বিসিএমসি কলেজে পড়াশোনা করতেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মনিরামপুরের হাসাডাঙ্গা গ্রামের আবদুল হামিদ মোড়লের মেয়ে মাসুমা শারমিনের সঙ্গে পরিচয় হয়। ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি মেয়েটি আমার ছেলেকে কৌশলে কেশবপুরে তার ভগ্নিপতি মিজানুর রহমানের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর মাসুমা শারমিনের পিতা আবদুল হামিদ মোড়ল, ভাই শাহিন কবির, কেশবপুর থানার আলতাপোল গ্রামের শাহিদুর রহমান, শ্রীফলা গ্রামের গোলাম সরোয়ার, ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান মিলে মজিদপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার রবিউল ইসলামের অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে মাসুমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়েতে রাজি করায়। এক পর্যায়ে দশ লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। মনিরুজ্জামান অভিযোগ করেন, কাবিননামায় ছেলের জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ৭ ডিসেম্বর ১৯৯৩। প্রকৃতপক্ষে ছেলের জন্ম তারিখ ৬ অক্টোবর ১৯৯৬। তখন ছেলের বয়স ছিল ১৬ বছর ২ মাস। নাবালক ছেলেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিয়ে দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে শেষের দিকে ছেলে মাসুম বিদেশ চলে যায়। এরপর মাসুমা শারমিন দাবি করে তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। পুত্রবধূ হিসেবে তাকে কখনও তাদের বাড়িতে আনা হয়নি। এমনকি তাকে চিনেনও না বলে দাবি করেন মনিরুজ্জামান। অথচ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ৩০ লাখ টাকা যৌতুকের মামলা দায়ের করে পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী কেশবপুর আদালতে নাবালক ছেলেকে আটকে বিয়েতে বাধ্য করার বিষয়ে মামলা করা হয়।
×