ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বেতন না দিয়ে কারখানায় তালা ॥ সড়ক অবরোধ তীব্র যানজট

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৩ মার্চ ২০১৭

বেতন না দিয়ে কারখানায় তালা ॥ সড়ক অবরোধ তীব্র যানজট

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সোনারগাঁ উপজেলার জামপুরের মরিষটেক এলাকায় অবস্থিত রহমান স্পিনিং মিলস্ লিঃ কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে রবিবার দুপুরে ২ ঘণ্টা মদনপুর-জয়দেবপুর (ঢাকা বাইপাস) সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এতে উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় যাত্রীবাহী বাস, ট্রাকসহ শত শত যানবাহন রাস্তায় আটকা পড়ে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হয়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও শিল্পাঞ্চল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বকেয়া বেতন পরিশোধ করার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়। জানা গেছে, রহমান স্পিনিং মিলস কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করছে না। এ নিয়ে মালিক পক্ষ কালক্ষেপণ করছে বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন। ইতোমধ্যে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে দুপুর ১২টায় মদনপুর-জয়দেবপুর (ঢাকা বাইপাস) সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে শ্রমিকরা অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে এ সড়কে চলাচল যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ^াস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়। শ্রমিক সাইফুল ইসলাম জানায়, বকেয়া বেতন না পাওয়ায় বাসাভাড়া বকেয়া পড়েছে। সংসার চালাতে ঋণ করতে হয়েছে। দোকানদাররা এখন আর বাকি দিচ্ছে না। বকেয়া বেতনের কথা বললেই মালিকের লোকেরা আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করে। ফিনিসিং সেকশনের শ্রমিক খাদিজা জানান, আমাদের বকেয়া বেতনের জন্য আমরা কর্তৃপক্ষকে চাপ দিলে কারখানা ৪ দিনের ছুটি ঘোষণা করে। রবিবার কাজে যোগদান করতে এসে দেখি কারখানায় তালা ঝুলিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ লাপাত্তা হয়ে গেছে। আমরা কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছি। ছেলে মেয়েদের স্কুলের বেতন দিতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। রহমান স্পিনিং মিলের হিসাবরক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের কারখানার শ্রমিকদের বেতন প্রতিমাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা হয়। তাদের এক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কারখানা কিছুদিনের জন্য বন্ধ রয়েছে। যতদিন কারখানা বন্ধ থাকবে ততদিন শ্রমিকদের হাজিরা ধরা হবে। সময় মতো তাদের বেতন পরিশোধ করা হবে।
×