ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুর দর্শন চর্চা জরুরী ॥ শাহরিয়ার কবির

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ১২ মার্চ ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর দর্শন চর্চা জরুরী ॥ শাহরিয়ার কবির

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দর্শন বঙ্গবন্ধুর ’৭২ সালের সংবিধানে প্রতিফলিত হয়েছে। এটা অস্বীকার করা হলে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা হবে। আজ বাংলাদেশের সব কিছু যখন বিপন্ন তখন বঙ্গবন্ধুর দর্শন চর্চা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এসব কথা বলেন। শনিবার বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান মিলনায়তনে বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের একক বক্তৃতা ‘বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অবদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে একক বক্তৃতা পাঠ করেন বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। শাহরিয়ার কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশকে স্বাধীন করেননি। দেশের দর্শন কি হবে তাও তিনি বলে দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁর বক্তব্যগুলো শুনলেই আমরা তার প্রমাণ পাই। তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের পর ১৯৭২ সালের ৪ নবেম্বরের ভাষণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র ব্যাখ্যা দিয়ে গেছেন। তিনি ফরাসী অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ ব্যবহার করেননি। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে রাজনীতি থেকে ধর্মকে আলাদা করার কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, একাত্তরের মার্চ মাসে অনেক কিছু ঘটেছে। সবচেয়ে বড় ঘটনা পৃথিবীর বৃহত্তর গণহত্যা ২৫ মার্চ। একক বক্তৃতায় সাহিত্যিক ও গবেষক অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর বলেন, বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় অবদান পূর্ব পাকিস্তানে সিভিল সমাজের বোধ তৈরি করা। তার বড় অবদান কলোনিয়াল পূর্ব পাকিস্তানের বিপরীতে সোনার বাংলার স্বপ্ন, দ্বিতীয়ত, জাতীয়তাবাদের আন্দোলনকে গণতন্ত্রে আন্দোলনের সামান্তরাল করে তোলা। সভাপতির বক্তব্যে ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, মার্চে পৃথিবীর বড় অসহযোগ আন্দোলন সংঘঠিত হয়েছে। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু অবিস্মরণীয় ভাষণ দিয়েছেন। ২ মার্চ স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অতএব মার্চ মাস আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এর সবই ছিল বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয়।
×