ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অর্থনীতির টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১২ মার্চ ২০১৭

অর্থনীতির টুকরো খবর

মাছ রফতানিতে সফলতা চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭) রফতানি সফলতায় অনেক বড় অবদান মৎস্য শিল্পের। এই অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রফতানিতে আয় হয়েছে ৩২ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু চিংড়ি রফতানিতে আয় হয়েছে ২৮ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। যা মোট মাছ রফতানি আয়ের ৮৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাবে, ২০১০ সালে দেশে মাথাপিছু দৈনিক মাছ খাওয়ার পরিমাণ ছিল ৪৮ গ্রাম। বর্তমানে মাথাপিছু মাছ খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ গ্রামে। দেশে প্রাণিজ আমিষের ৬০ শতাংশ আসে মাছ থেকে। পাঁচ বছর আগেও যা ছিল ৫০ শতাংশ। মৎস্য অধিদফতরের হিসাবে, ২০০৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। রুই, পাঙ্গাশ, কৈসহ বেশ কিছু মাছের দাম দরিদ্র মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যেই রয়েছে। ফলে গত ১০ বছরে দেশে মাথাপিছু মাছ খাওয়ার পরিমাণ শতভাগ বেড়েছে। অর্থনীতি ডেস্ক নারী উদ্যোক্তারা পাবে বড় অঙ্কের ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে রাজধানীর মহিলা সমিতি প্রাঙ্গণে গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের ৬ দিনব্যাপী প্রদর্শনী মেলা। ঋণখেলাপী ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের বড় অঙ্কের ঋণ দেয়ার তাগিদ এসেছে ব্যাংকের-এসএমই নারী উদ্যোক্তা সমাবেশ ও পণ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সরকার ও কেন্দ্র্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) হিসেবে নারীরা তাঁদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। অর্থনৈতিক অগ্রগতি এগিয়ে নিতে শিক্ষিত ও উদ্যমী নারী উদ্যোক্তাদের তাই এখন বড় অঙ্কের ঋণ দেয়ার সময় এসেছে। নারী উদ্যোক্তাদের মোট ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয় এই মেলার মাধ্যমে। মেলায় ২৭টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠিত স্টল এবং এসব স্টলে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়েছে। শুধু পুরুষ নয় নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা এখন অনেক এগিয়ে। অর্থনীতিতে নারীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। তাই নারী উদ্যোক্তাদেরও দেয়া হবে বড় আকারের ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, ‘৪২ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে গত বছর ৫ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকার ঋণ দেয়া হয়েছে। যেসব নারীর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ আছে, তাঁদের জামানত ছাড়াই ঋণ পাওয়া উচিত। এ জন্য ঋণের জামানত নীতিমালা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এতে নারী উদ্যোক্তারা আরও বেশি করে ঋণ পাবেন।’ অর্থনীতি ডেস্ক
×