ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

১১ মার্চকে ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্যায় হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১২ মার্চ ২০১৭

১১ মার্চকে ভাষা আন্দোলনের  প্রথম পর্যায় হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে জন্ম হয়েছিল বাঙালী জাতীয়তাবাদের চেতনা। আর পাকিস্তান আমলে এই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ছিল দুইটি পর্ব। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠানের এই আন্দোলনটির প্রথম পর্যায় ছিল ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ। সেদিন রাষ্ট্রভাষার দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হয়েছিল। ওই ধর্মঘট সফল করতে গিয়ে তৎকালীন যুবনেতা শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদ, রণেশ দাস গুপ্ত, শওকত আলীসহ অসংখ্য ছাত্র ও যুবনেতা গ্রেফতার ও নির্যাতিত হয়েছিলেন। তবে খরস্রোতা আন্দোলনের সেই দিবসটি বিস্মৃতির আড়ালে হারিয়ে গেছে। তাই ১৯৪৮ সালের ঐতিহাসিক ১১ মার্চকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্যায় হিসেবে পালন করতে হবে। সেই সঙ্গে পাঠ্যপুস্তকেও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রথম দিন ১১ মার্চকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘ভাষা আন্দোলন ও ১১ মার্চ ১৯৪৮ শীর্ষক’ আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। আলোচনা এবং ভাষার গান ও কবিতায় সাজানো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন ভাষা আন্দোলন ও ১১ মার্চ ১৯৪৮ উদ্্যাপন পরিষদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাষাসংগ্রামী কামাল লোহানী। আলোচনা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও পরিষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সদস্য সচিব ভাষা আন্দোলন বিষয়ক গবেষক এম আর মাহবুব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল। গোলাম কুদ্দুছ বলেন, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন বাঙালীর ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঘটনা। সদ্য স্বাধীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর অগণতান্ত্রিক এবং বাঙালী জাতিসত্তাবিরোধী ষড়যন্ত্রকে রুখে দেয়া হয়েছিল আন্দোলনের মাধ্যমে।
×