ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হতাশ করেই চলেছেন মাহমুদুল্লাহ

হেরাথের বিশ্ব রেকর্ড

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১২ মার্চ ২০১৭

হেরাথের বিশ্ব রেকর্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গল টেস্টেও ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাটে রানের খরা এ মিডল অর্ডারের। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে কোনভাবেই মেলে ধরতে পারছেন না। গলের দুই ইনিংসে তিনি করতে পেরেছেন ৮ ও ০ রান। কিন্তু একই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ করেছেন বিশ্বরেকর্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট শিকারের মাধ্যমে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক ৩৬৬ উইকেট নিয়ে এখন তিনি সবার ওপরে। তিনি পেছনে ফেলেছেন সাবেক নিউজিল্যান্ড স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড এখন হেরাথের। নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা ভেট্টরি ১১৩ টেস্টে নিয়েছিলেন ৩৬২ উইকেট। আর হেরাথ মাত্র ৭৯ টেস্টেই ৩৬৬ উইকেট শিকার করে ফেলেছেন। বাঁহাতি স্পিনারদের সর্বকালের এ তালিকায় বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান আছেন সপ্তম স্থানে। তিনি ৪৮ ম্যাচে শিকার করেছেন ১৭০ উইকেট। অবশ্য ক্রিকেট ইতিহাসে যত বাঁহাতি বোলার (পেস এবং স্পিন) এসেছেন তার মধ্যে কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম সবার ওপরে। এ বাঁহাতি পেসার ৪১৪ উইকেট নিয়ে শীর্ষে। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট শিকার করে ভেট্টরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন হেরাথ। ভেট্টরি ১১৩ টেস্টে নিয়েছেন ৩৬২ উইকেট। হেরাথ-ভেট্টরি ছাড়া আর কোন বাঁহাতি স্পিনার ৩০০ উইকেট নিতে পারেননি টেস্টে। এমন একটি অবিস্মরণীয় অর্জনের পর হেরাথ অবশ্য প্রত্যাশা জানিয়েছেন ৪০০ উইকেট শিকারের। তবে সেটা অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা তা ৩৮ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার নিশ্চিত হতে পারছেন না। কারণ এই বয়সে ফর্ম ধরে রাখাটাই হবে অনেক বড় চ্যালেঞ্জের। ১৮ বছর আগে ক্যারিয়ার শুরু হলেও নিয়মিত হতে পেরেছেন অনেক পর। মুত্তিয়া মুরলিধরনের স্বর্ণযুগটা তাকে জাতীয় দলের বাইরে রেখেছিল। তবে বিলম্বে ক্যারিয়ারটা থিতু হলেও আক্ষেপ নেই হেরাথের। তিনি বলেন, ‘দেরিতে শুরু করার কারণে আমার কোন আক্ষেপ নেই। আমি ইতোমধ্যেই ৭৯ টেস্ট খেলেছি এবং এর মধ্যে আমি যা অর্জন করেছি তাতে অনেক সন্তুষ্ট।’ আর মাত্র ৩৪ উইকেট নিতে পারলেই ৪০০ উইকেটের মালিক হয়ে যাবেন তিনি। হেরাথের এমন অর্জনের ম্যাচে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ আবারও ব্যর্থ হয়েছেন। ২০০৯ সালের ৯ জুলাই সেন্ট ভিনসেন্ট টেস্টে অভিষিক্ত মাহমুদুল্লাহ প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন নিজের পঞ্চম টেস্টেই। আর সেটি হ্যামিল্টনে। ২০১০ সালের ১৭ ফেব্রয়ারি নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ইনিংসে আটে নেমে করা ১১৫ রানটা এখনও পর্যন্ত টেস্টে তার সর্বোচ্চ। সময়ের স্রোতে পেরিয়েছে ৭ বছরেরও বেশি। আর কোন টেস্টে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটার দেখা পাননি বাংলাদেশ দলের এই ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরি তো দূরের কথা সাম্প্রতিক সময়ে বড় কোন রানের ইনিংসও দেখা যায়নি মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে। তার অভিষেকের পর বাংলাদেশের খেলা ৪০ টেস্টের মধ্যে ৩৩টিতেই ছিলেন তিনি। মাত্র ৩০.৬৬ গড়ে ১১ ফিফটিসহ করেছেন ১৮০৯ রান। সর্বোচ্চ রান ৭৬। সর্বশেষ ১৩ ইনিংসে মাত্র একটি অর্ধশতক হাঁকাতে পেরেছেন তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদ টেস্টে খেলেন ৬৪ রানের একটি ইনিংস। একেবারেই বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন নির্ভরযোগ্য এ ব্যাটসম্যান।
×