ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক ৬৯০ কোটি টাকা লেনদেন

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১২ মার্চ ২০১৭

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক ৬৯০ কোটি টাকা লেনদেন

সংসদ রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের অক্টোবরের মাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক ৬৯০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সেবার বর্তমান সার্ভিস চার্জ কমানোর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সঙ্গে একাধিকবার সভা করেছে এবং ওই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত বিশাল জনগোষ্ঠী প্রথাগত ব্যাংকিং সেবার আওতা অত্যন্ত সীমিত বিধায় এ বিপুল জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সাল থেকে ব্যাংক-লেড মডেল অনুসরণকরতঃ ব্যাংকসমূহকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানের অনুমোদন প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্যাংকসমূহকে শাখার পরিবর্তে এজেন্ট নিয়োগ করে আর্থিক সেবা প্রদান করার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে, যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ সেবা আরও কম খরচে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের ২০১৬ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে বিশ্বব্যাংক, এডিবি এবং আইডিবির সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ১ হাজার ২১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ১৫টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়াও অর্থবছরের বাকি সময়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ তিনটি সংস্থার সঙ্গে আরও কতগুলো চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিদেশে ফ্ল্যাট বা বাড়ি অথবা অন্য কোন পদ্ধতিতে অর্থপাচার সংক্রান্ত ৩২টি মামলা বর্তমানে দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে। আমদানির মাধ্যমে পণ্যের প্রকৃত মূল্যের অধিক বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে প্রেরণ, রফতানির মাধ্যমে পণ্যের মূল্য কম দেখিয়ে প্রকৃত মূল্য দেশে প্রত্যাবাসিত না করা, হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার ঘটে থাকে। এছাড়াও ক্রস বর্ডার ক্যাশ স্মাগলিং এর মাধ্যমেও অর্থপাচার ঘটে থাকে। তবে পাচারের উপায় যাই হোক না কেন, বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কর্তৃক অর্থপাচার রোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
×