ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কৃষিপণ্যের রফতানি আয় বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১২ মার্চ ২০১৭

কৃষিপণ্যের রফতানি আয় বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের অর্থনীতি গত কয়েক বছর ধরে শিল্পায়নের দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু এর মধ্যেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের চাহিদা কমছে না। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, কয়েক মাস ধরেই ধারাবাহিকভাবে কৃষিপণ্যের রফতানি আয় বাড়ছে। এমনকি প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে কৃষি খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ছে। ইপিবির মার্চ মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৩৫ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৮২০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ইপিবির ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৩০ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কৃষিপণ্য রফতানি আয় বেড়েছে ৩৫৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কৃষিপণ্যের এই ধারাবাহিক রফতানি আয় বৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন কৃষিবিদ এবং সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এই খাতের প্রতি আরেকটু জোর দিলে কৃষি আয় আরও বাড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এফ এম ফকরুল ইসলাম মুন্সী বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে কৃষি ও কৃষিপণ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য বিশ্বের ১৪০টি দেশে যায়। আমরা আশা করছি, এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। হিসাব মোতাবেক, ধারাবাহিকভাবে কৃষি খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে চা রফতানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে এ খাতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে চা রফতানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে এ খাতে আয় হয় ২২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫৯ দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ওই সময়ের চেয়ে এ খাতের আয় ৭১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়েছে; আগের অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে চা রফতানিতে আয় হয়েছিল ১২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে জুলাই-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে সবজি রফতানিতে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশ কম। আর জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে সবজি রফতানিতে ৫ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয় ৪ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ কম। কিন্তু আগের অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের তুলনায় এ খাতের রফতানি আয় ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। এমনকি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় এ খাতের রফতানি আয় ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সবজি রফতানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
×