ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিএসআরে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১২ মার্চ ২০১৭

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিএসআরে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে ৩০ শতাংশের বেশি জনগণ অশিক্ষিত। প্রাথমিক স্তরে ৯৩ শতাংশ শিক্ষা দিতে সক্ষম হয়েছি। যদিও প্রতিবন্ধীদের বিশেষ প্রয়োজন পূরণ করতে পারিনি। মাধ্যমিক পর্যায়ে তেমন অগ্রগতি সাধন করতে পারিনি, তবে আগের তুলনায় যথেষ্ট ছাত্রছাত্রী যাচ্ছে। আমাদের আরও বেশি কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এজন্য দেশের বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সামাজিক কার্যক্রমে (সিএসআর) আরও বেশি উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর পুরো শিক্ষাজীবনের জন্য সরকারী বৃত্তি দেয়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা শোনান। জীবনে ১৬ বছর বৃত্তি পেয়েছেন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বৃত্তি অনেকটা টোকেন ছিল- ৩ টাকা, ৫ টাকা, ২০ টাকা; এর বেশি পাইনি। সেদিক দিয়ে ডাচ্্-বাংলা ব্যাংক বৃত্তি দিচ্ছে যে একজন পুরোপুরি পড়ালেখা শেষ করবেন। সরকারও এরইমধ্যে বৃত্তির হার বাড়িয়েছে, তবে ডাচ্-বাংলার স্টেজে পৌঁছতে পারেনি। নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আশা করব ভবিষ্যতে সরকার ও আমরাও এদিকে অগ্রসর হব। সরকারের কোষাগার ভরার জন্য অবশ্যই সাধারণ জনগণেরও সহায়তার প্রয়োজন। তাদের আরও বেশি করে কর দিতে হবে, সরকারের রাজস্ব বাড়াতে হবে সরকারের কার্যক্রম নেয়ার জন্য। তবে এজন্য তিনি অনুষ্ঠানে কোন প্রোপাগা-া করতে আসেননি বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। ২০১৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন মেডিক্যালে ভর্তি দুই হাজার ২৮ মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে এবার ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের তরফে। বর্তমানে এ ব্যাংকের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ১৮ হাজার ১৬১ জন। আর মোট বৃত্তি পেয়েছে ৪৩ হাজার ৬২৮ জন। বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মতো শিক্ষাবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানে এগিয়ে এলে সেটি সবার বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা যেন আমার সঙ্গে আলোচনা করে অনুষ্ঠানের ঠিক করেন, তার থেকে বুঝতে পারেন এই অনুষ্ঠানে আমার আগ্রহ কতো বেশি। ব্যাংকটির এই কর্মসূচীর প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, সমাজ গঠনে মূল্যবান অবদান রাখতে সক্ষম হলো। বৃত্তিপ্রাপ্তরা দেশ ও জাতির জন্য সমাজে অবদান রাখবে বলে আশা পোষণ করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ। ব্যাংকটির ব্যবস্থপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কাশেম মোঃ শিরিন এবং বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
×