ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রাণ গোপাল দত্ত

তারপর কি করবে?

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ১২ মার্চ ২০১৭

তারপর কি করবে?

প্রথম দফা ২৫ মার্চ ২০০৯ থেকে ২৪ মার্চ ২০১২, পুনর্নিয়োগের ফলে ২৫ মার্চ ২০১২ থেকে ২৪ মার্চ ২০১৫ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমার যেখানে আরও ৪ বছর চাকরি বাকি ছিল ৬৫ বছর পূর্ণ হতে, তবুও আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, উপাচার্যের পদ থেকে নেমে আর ডিপার্টমেন্টে ফিরে যাব না। কারণ দুটো : ১. আমার প্রিয় ছাত্র বর্তমানে অধ্যাপক কামরুল হাসান তরফদার বিভাগীয় প্রধান হতে পারবে না, যা হতো সন্তানের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়ার সমান। বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব না নিয়ে ছেড়ে দিলে আমি একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য থাকব না এবং প্রশাসন মনে করত আমি বোধহয় আর ওদের সহায়তা করব না। ২. বর্তমানে যারা প্রশাসনে আছেন তাদের সবাই আমার হাতে, আমার উপাচার্যকালীন সময়ে অধ্যাপক হয়েছেন এবং উনারা যদি কখনও আমার প্রতি কোন সতর্কতামূলক বা কারণ দর্শানোমূলক আচরণ করেন, তা হলে আমার জন্য হবে লজ্জাজনক। তারপর কি করবে? এ প্রশ্নটা ছিল আমার স্ত্রীসহ সব শুভানুধ্যায়ীর। আমি বলেছিলাম আমি শিক্ষকতার মাধ্যমে জ্ঞান আহরণ করতে চাই। জ্ঞান দেয়ার মতো যোগ্যতা আমার নেই; কিন্তু আহরণের একটা বাসনা আমি এই বয়স পর্যন্ত হৃদয়ে লালন করে আছি। দ্বিতীয়ত রোগীর সেবা দেব। দুস্থ ও পীড়িতদের মধ্যে ঈশ্বরকে খুঁজে বেড়াব। তাহলে তাকে প্রকৃতির যে কোন কিছুর মধ্যে পেয়ে যাব। এতদিন শুধু চিকিৎসাবিদ্যার ছাত্রদের সঙ্গে জ্ঞান বিনিময়ের চেষ্টা করেছি। এখন শিশু, অভিভাবক, শিক্ষক (প্রাথমিক, উচ্চমাধ্যমিক, এমনকি কলেজ শিক্ষক), সেনা কর্মকর্তা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য, সর্বশেষ আমার পরিবারের সদস্য অর্থাৎ ডাক্তারদের সঙ্গে সমকালীন স্বাস্থ্যসেবা, পাবলিক হেলথ সম্পর্কে কথা বলি, বক্তৃতা দেই। প্রশ্নপর্বে অনেক সময় এত কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হই, যার জন্য ঘরে ফিরে পুনরায় লেখাপড়া করতে হয়। তারপর ভবিষ্যত স্বাস্থ্যসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা। অর্থাৎ এখন আমি সাভার পিএটিসিতে যাই, যেখানে বুনিয়াদি কোর্সের (ঋড়ঁহফধঃরড়হ ঃৎধরহরহম ধষষ ঈধফৎব) তরুণ উদীয়মান কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করি। সেখানে তারা সুন্দর জ্ঞানের প্রশ্নজুড়ে দিত, যা সত্যিই খুবই জ্ঞানপিপাসু, তথ্যবহুল। তারপরে উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিবদের সঙ্গে জ্ঞান বা তথ্য বিনিময় আমাকে অনেক সমৃদ্ধিশালী করেছে এবং করছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে দেশী-বিদেশী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, সরকারের যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে টহরাবৎংধষ ঐবধষঃয ঈধৎব নিয়ে আলোচনা। মজার ব্যাপার হলো, ওইখানে চার দেয়ালের ভেতরে যে কোন মুক্ত আলোচনার স্বাধীনতা আছে। ডাক্তারদের সঙ্গে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের জন্য কক্সবাজারের বিয়াম, বগুড়া বিয়াম, নীলক্ষেতের এনএপিডি, বিয়াম ইস্কাটনের প্লানিং একাডেমি, এলএটিসি, সারদা পুলিশ একাডেমিতে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে আমার সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ বেড়েছে, জ্ঞানের ভা-ার স্ফীত হচ্ছে এবং কিছুটা হলেও আন্তরিকভাবে আলোকিত হওয়ার প্রয়াস পেয়েছি। যুব সমাজের প্রজ্বলিত মন আমাকে অনেক শক্তিশালী এবং দেশ সম্বন্ধে আশাবাদী করে তুলেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই তরুণ কর্মকর্তারা এ দেশের শক্তিশালী মূলধন। তারাই পারবে দেশটিকে বদলিয়ে দিতে এবং উন্নত দেশের পথ দেখাতে। আমি সর্বত্র একটা কথাই বলে এসেছি, চলুন আমরা সঙ্কল্প করি মিথ্যা বলব না, চুরি করব না এবং কাউকে প্রতারণা করব না। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঙ্কল্প করি। আসুন সঙ্কল্প করি সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুখী দেশ গড়ে তুলি। আমরা প্রতিজ্ঞা করি বহু ধর্মে বিশ্বাসী হলেও এক সংস্কৃতির অর্থাৎ বাঙালীর সংস্কৃতির আলোকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। মানবতাকেই মূল ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে এগিয়ে যাই। সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই হলিক্রস স্কুল ও কলেজের ১২শ’ ছাত্রের উদ্দেশে যখন ঘড়রংব ঢ়ড়ষষঁঃরড়হ ্ ঐবধষঃয ঐধুধৎফ ড়ভ গড়নরষব চযড়হব নিয়ে কথা বলি। বিশাল হলঘরের এত নিস্তব্ধতা আমাকে মোহিত করে। বক্তৃতা শেষে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে তুলত এই ছোট মেয়েগুলো। যদিও সীমিত করে বলা হতো মোট কুড়িটি প্রশ্ন আমি গ্রহণ করব, তারপরেও দেখা যেত কয়েক কুড়ি প্রশ্ন এসে মডারেটরের হাতে হাজির হতো। এই ছোট্ট শিশুগুলোর প্রশ্ন আমার হৃদয়কে আলোড়িত এবং জ্ঞানকে আলোকিত করে। কিছু কিছু প্রশ্ন আমার মুখে হাসি ফুটিয়েছিল, আমায় শিক্ষাদান করেছিল। তাদের প্রশ্নগুলো দেশের মানুষকে ভালবাসতে আমাকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে তুলে। গত কয়েক বছরে হলিক্রস স্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে আমার জ্ঞান বিনিময় আমাকে তাদের প্রতি অনেক বেশি আপন করে নিয়েছে। হলিক্রসের শিক্ষক এবং সিস্টার পলিন, সিস্টার শিখার সুললিত বাণী, উপস্থাপনা, পরিচিতি এবং অসংখ্য গুণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। সত্যিই ছাত্র এবং শিক্ষক সবাই শুধু আমার ধন্যবাদ পাবার মতো। তাদের আচার-ব্যবহারে আমি এতই মুগ্ধ যা ভাষায় বলার নয়। এদের ডিসিপ্লিন সবাইর জন্য অনুকরণীয়। মনে হতো ১২০০ ছাত্রীই যদি আমার সন্তান হতো। বিশেষ করে শিক্ষকম-লী অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র। তাদের ছাত্ররা তাদের কাছে অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ। ওইখানে হলঘরে প্রবেশ করার মুহূর্তেই উপচেপড়া হলঘরটি দেখে আমার মনকে অভিভূত করার মতো দৃশ্য মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল যশোরের গতখালীর কোন একটা ফুল বাগানে একই রঙের অনেকগুলো ফুল ফুটে আছে শুধু সৌরভ ছড়ানোর জন্য, আমাকে বরণ করার জন্য। তাদের দেখে আমার শুধু মনে হচ্ছিল এরা সবাই একই মায়ের অর্থাৎ সিস্টার শিখার সন্তান, তারা মানব সন্তান, তারা কোন হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম বা খ্রীস্টান নয়। আমরা যদি এ যুব সমাজের মনকে প্রজ্বলিত করতে পারি তবে সেটাই হবে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির শক্তিশালী মূলধন। শিক্ষা, কঠোর পরিশ্রম এবং মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও বিনয়ই শুধু সামাজিক এবং ধর্মীয় কুসংস্কার দূর করে সমাজকে তথা জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে পারবে। সরল কোমলমতি ছাত্র ও যুবারাই আমাদের পরম শক্তি। সুতরাং তাদের শক্তি বিনষ্ট হতে দেয়া যাবে না। তারাই বিশ্বকে শান্তি ও সমৃদ্ধির দোরগোড়ায় পৌঁছাতে আমাদের এই মাতৃভূমির নেতৃত্ব দেবে। হলিক্রসের বক্তৃতার পরে অসংখ্য অভিভাবক আমাকে টেলিফোনে জিজ্ঞেস করেছিলেন ডাক্তার সাহেব, কেউ কেউ প্রাণ গোপাল বাবু আপনি আমার মেয়েকে কি বলেছেন যে, সে বাসায় এসে তার মাকে টেলিফোনটা দিয়ে দিয়েছে এবং বলেছে প্রয়োজনে মায়ের কাছ থেকে নিয়ে গিয়ে টেলিফোন করবে, কাছে রাখবে না। এই টেলিফোন নিয়েই মা এবং মেয়ের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আমি শুধু বলেছি এবং বোঝাতে চেয়েছি অতিমাত্রায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার শরীরের কি ক্ষতি করতে পারে। অভিভাবকরা ধন্যবাদ দিয়েই শুধু নয়, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের বক্তব্য শেষ করত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এসব তরুণ-তরুণী তাদের নিজের অন্তর থেকে সক্ষমতা অর্জন করবে এবং এই সক্ষমতা তাদের রাষ্ট্র এবং সৃষ্টির ওপর আরও অনেক বিশ্বাস এনে দেবে। আমার চাকরি থেকে অবসর আমাকে এখন অনেক উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কয়েকদিন আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগতদের অনুষ্ঠানে গিয়ে যা দেখলাম তাতে আমি নিশ্চিত আমাদের এই যুব সমাজ অত্যন্ত নিয়মানুবর্তী, সৎ এবং সুযোগ্য। এত বড় একটা অনুষ্ঠানে বিন্দুমাত্র বিশৃঙ্খলা ছিল না। সবচেয়ে বড় ব্যাপার ছিল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যদিও রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গ সংগঠন নেই, তবুও অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে। এদের দেখে আমার পুনরায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরে সোহ্রাওয়ার্দীর অনুষ্ঠানের ভাষণে কবিগুরুকে উদ্দেশ করে বলা- ‘কবিগুরু দেখ আমার বাঙালী মানুষ হয়েছে।’ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অল্প সময়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে শুধু আমি মুগ্ধ হইনি, আমাদের অতি প্রিয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরও আবেগাপ্লুত হয়েছিলেন। চাকরি ছেড়ে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে জ্ঞানের আদান-প্রদান করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারির ভাষণের মতো আর একটি ভাষণ আমার মনে বার বার উঁকি দিচ্ছে। সেটা হলো : Frederick the Great ১৭৪০ সালের ভাষণ Before Invading Silesia যা হলো, I am undertaking a war in which I have no allies but your valor and your good will. ¸ cause is Just; my resources are what we ourselves can do; and the issues lies in fortune. Remember continually the glory which your ancestors acquired in the plain of Warsaw, at Fehrbellin and in the expedition of Preussen. Your lot is in your own hands : distinctions and rewards await upon your five actions which shall merit them.’ আমাদের এখন নেতৃত্ব আছে। শুধু দরকার তরুণদের মনে আশা জাগানো, জ্ঞানের আলো প্রজ্বলিত করা। তাদের বোঝানো এখন শিক্ষা শুধু দেশীয় শিক্ষা নয়। শিক্ষা হয়ে গেছে গ্লোবাল। আর এই তরুণদের প্রতিযোগিতা হবে বিশ্বের সব দেশের তরুণ জ্ঞানপিপাসু ছাত্রদের সঙ্গে। তাতে করেই শিক্ষার মান বাড়বে, জাতির অগ্রগতি রোখার ক্ষমতা কারও থাকবে না। এই তরুণরা শুধু শক্তি নয়, যে কোন সৃষ্টির কর্ণধারও কিন্তু তারাই। তারাই পারে দেশটাকে পাল্টে দিতে। তারাই তো হবে ভবিষ্যতের বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক নেতা, বিজ্ঞানী, এমনকি তাদের জিজ্ঞাসাই হলো চিন্তার উদ্রেককারী। এসব দেখে আমার মনে হচ্ছিল ভারতবর্ষ স্র্রষ্টার এক মহান সৃষ্টি, যেখানে বহু জাতি-উপজাতি বহু ধর্ম-গোত্র, বহু ভাষাভাষী মিলে মানবিক মূল্যবোধে শুধু সমৃদ্ধ নয়, সৃষ্টির অপরূপ সৌন্দর্যম-িত একেকটি খ-। ধর্মের বিষবাষ্প আমরা পেয়েছি ঔপনিবেশিক শাসনের কারণে। এক কথায় বলতে গেলে ব্রিটিশরা যে ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করেছিল, সেই ধর্মীয় গোঁড়ামিই একদিন তাদের গিলে খাবে। উপাচার্য থাকার সময় আমার অসম্ভব চাপের মধ্যে কেটেছে। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক স্যার সব সময়ই আমাকে প্রচ-ভাবে সহায়তা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে সাহস যুগিয়েছেন। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে আমার উপলব্ধি অনেক বেড়েছে। এই উপলব্ধির সূত্র ধরেই আমি চিন্তা করে স্থির করে রেখেছিলাম কিভাবে অবসর জীবন কাটাব। প্রিয় পাঠক, জ্ঞান আহরণের জন্য ওইসব প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা ছাড়াও আমার দেবতাদের সান্নিধ্য তো আছেই নিত্যদিনের। অর্থাৎ আমার রোগীরা যারা আমার কাছে অতিথি বা দেবতা। সপ্তাহে ৪-৫ দিন তাদের সেবা বা পূজা করতে হচ্ছেই। তাই সময় শুধু কাটে না, অতি ব্যস্ততা ও আনন্দের মধ্যেই সময় কেটে যায়। বরং মাঝে মাঝে মনে হয় দিনটা যদি আরও একটু দীর্ঘ হতো তা হলে কতই না বেশি কাজ করা যেত! সুপ্রিয় পাঠক এবং শুভাকাক্সক্ষীরা আপনাদের কাছে আমি আশীর্বাদ চাই : আমার দ্বারা যেন কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়, বরং আমি যেন সমস্যা সমাধানের অংশ হতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। উপাচার্য হওয়ার সুযোগেই আমি আমন্ত্রিত বক্তা হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে। আমি বাকি জীবনটা এভাবেই জ্ঞান আহরণে শেষ করতে চাই, যার মাধ্যমে কিঞ্চিত জ্ঞান বিলানোর সুযোগ অবশ্যই হবে। বর্তমানে অবসর জীবনে আমি এক তরুণী দার্শনিকের সঙ্গে কাজ করছি সূচনা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। আমি দেখেছি এই তরুণী দার্শনিকের গতিবেগ আমার চেয়ে অনেক বেশি, যার সঙ্গে আমি দৌড়িয়ে কাজ সমাধান করতে পারি না। এটাও একটা শিক্ষা, যা আমাকে বার বার স্মরণ করিয়ে দেয় আমাকে আরও গতিশীল হতে হবে। সেই তরুণী হলেন শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, যিনি সূচনা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন। আমি সেখানে ভাইস চেয়ার হিসেবে Autism এবং Neurodevelopmental disability নিয়ে কাজ করি। সুতরাং আমি অবসর নই। আমি আরও বেশি ব্যস্ত। যদি দিনটা আরও একটু বড় হতো তাহলে অনেক বেশি কাজ করা যেত। লেখক : সাবেক ভিসি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
×