ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পঞ্চম হতে আজ লঙ্কানদের হারাতে হবে বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১১ মার্চ ২০১৭

পঞ্চম হতে আজ লঙ্কানদের হারাতে হবে বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফুলে-ফেঁপেছিল আশার বেলুন। কিন্তু পরাজয় নামের একটা সুঁইয়ের গুতোয় সেই আশার বেলুন গেছে চুপসে। আর সেই সুঁইয়ের নাম মিসর জাতীয় হকি দল। বৃহস্পতিবার ‘শনির দশা’ পেয়ে বসেছিল বাংলাদেশ দলকে। ‘ওয়ার্ল্ড হকি লীগ রাউন্ড-টু’র কোয়ার্টার ফাইনালে মিসরের কাছে ১-৫ গোলে শোচনীয়ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে টুর্নামেন্টের শেষ চারে নাম লেখানোর সুনীল স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায় স্বাগতিক দলের। তবে এখনও খেলা বাকি আছে অলিভার কার্টজের শিষ্যদের। আজ শনিবার সকাল সোয়া ৯টায় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এছাড়া অপর ম্যাচগুলো হলো : সকাল সাড়ে ১১টায় ঘানা-ফিজি (স্থান নির্ধারণী), দুপুর পৌনে ২টায় মালয়েশিয়া-মিসর (সেমিফাইনাল) এবং বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ওমান-চীন (সেমিফাইনাল)। সত্যি বলতে কি, ওমানের কাছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হারাটাই কাল হয়েছে জিমিবাহিনীর। কেননা বৃহস্পতিবার কোয়ার্টারে ঘানাকে হারিয়ে তারা নাম লিখিয়েছে শেষ চারে। অথচ ওমানের বিপক্ষে জিততে পারলে সেমিতে প্রতিপক্ষ হিসেবে ঘানাকেই পেত বাংলাদেশ। যদিও র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা মিসরের সঙ্গে জেতাটা কঠিনÑ এমনটা অনুমেয়ই ছিল। ২০০১ সালে চ্যালেঞ্জ কাপে একবার মিসরের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। তারপরও নীল নদের প্রাচীন সভ্যতার এই দেশটিকে হারানোর ক্ষীণ হলেও একটা আশা ছিল লাল-সবুজদের। কিন্তু সেই আশা চূর্ণ হয়ে যায় বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতি আর তুঙ্গে থাকেনি অলিভারের শিষ্যদের। আজ স্থান নির্ধারণী ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের জার্মান কোচ অলিভার কার্টজ আশা করছেন পঞ্চম হতে পারবে তার দল। যদিও টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বাজে নৈপুণ্য দেখিয়ে আসছে বাংলাদেশ দল। একমাত্র দুর্বল প্রতিপক্ষ ফিজি ছাড়া কারোর সঙ্গে জয় কুড়াতে পারেনি। সেজন্যই পঞ্চম স্থানের জন্য লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে লঙ্কানদের বিপক্ষে। ম্যাচটা জিততে পারলে তাও ইজ্জত কিছুটা রক্ষা হবে। নইলে সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও যদি হার হয়, তাহলে জিমিদের জন্য বিষয়টা হবে ‘ব্যর্থতার ষোল কলা’ পূর্ণ হবার মতোই। পুল ‘এ’তে নিজেদের প্রথম গ্রুপে ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে ০-৩ গোলে শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ফিজিকে হারায় ৫-১ গোলে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওমানের কাছে ২-৩ গোলে (ম্যাচে দু’দুবার এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ)। ওই ম্যাচে জিতলেই কোয়ার্টারে দুর্বল প্রতিপক্ষ ঘানাকে পেতে পারতো বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে হয়তো পঞ্চম স্থানের জন্য লড়াই না করে সেমিফাইনাল বা ফাইনালে উঠতে পারতো তারা। কিন্তু তা আর হয়নি। ফলে তাদের সামনে এসে দাঁড়ায় আরও কঠিন প্রতিপক্ষ মিসর। কোচ অলিভার কার্টজ অবশ্য বাংলাদেশের এই ভরাডুবির জন্য প্রস্তুতি ম্যাচের ঘাটতিকেই অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তবে শিষ্যদের আগলে রেখে ব্যর্থতার সব দায়ভার নিজের কাঁধেও তুলে নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘এখন শ্রীলঙ্কা ম্যাচটার দিকেই তাকাতে চাই। আমাদের পারতেই হবে। আমরা তো আট দলের মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ে পঞ্চম স্থানেই আছি। আক্রমণভাগ এবং পেনাল্টি কর্নারের দুর্বলতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারব বলে আশা করি।’ এদিকে একটি সূত্র থেকে জানা গেছেÑ বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড নির্ধারণে যে সিলেকশন কমিটি আছে, তাতে অলিভারের একক আধিপত্য থাকায় তার সঙ্গে বোর্ডের অন্য নির্বাচকদের দ্বন্দ্ব আছে। ফলে ওই নির্বাচকরা দলের বাজে ফলের জন্য দায়ভার চাপিয়েছেন এককভাবে অলিভারের ওপরেই।
×