ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণাঞ্চলের মডেল হবে গৌরনদী পৌরসভা

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১১ মার্চ ২০১৭

দক্ষিণাঞ্চলের মডেল হবে গৌরনদী পৌরসভা

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল কাল রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে শহীদ হয়েছেন তার (বঙ্গবন্ধু) বোন জামাতা কৃষক কুলের নয়নমণি সাবেক মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত। মন্ত্রী থাকাকালে তিনি (রব সেরনিয়াবাত) প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলেন গৌরনদীতে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার। কিন্তু ঘাতকের নির্মম বুলেট সে স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। দীর্ঘদিন পরে হলেও ১৯৯৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাবার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন তারই যোগ্য উত্তরসূরি পুত্র সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি। নয়টি ওয়ার্ড ও ১৭টি মৌজা নিয়ে গঠিত অর্ধলাখ মানুষের আবাস¯'ল ১১.৫ বর্গকিলোমিটারের সেই ঐতিহাসিক পৌরসভার একজন জনপ্রতিনিধি নয়; সেবক হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের সেবা করার প্রত্যাশা নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। সে লক্ষ্যে আমার রাজনৈতিক অভিভাবক আলহাজ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপির স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি জনসেবার মাধ্যমেই বরিশালের উত্তর জনপদের প্রথম শ্রেণীর গৌরনদী পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। একান্ত সাাতকারে নিজের কাড়িক্ষত এ লক্ষ্যের কথা বলেছেন, সড়কপথে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বারে প্রথম শ্রেণীর গৌরনদী পৌরসভায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান। তিনি বলেন, গত মেয়াদে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কাজ করেছি। জনগণের ভালবাসা পেয়ে এবং আমার রাজনৈতিক অভিভাবক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সুদৃষ্টিতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর আবারও বিপুল ভোটে আমি মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমার রাজনৈতিক অভিভাবক আমাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ করে দেয়ায় আমি সেবা করার ধারা অব্যাহত রেখেছি। ঘুম থেকে উঠে পৌরবাসীদের সঙ্গে আমার প্রথমেই দেখা হয়। আগেও আমি সাধারণ মানুষের পাশেছিলাম, এখনও আছি। আমার কাছে, আমার বাড়িতে আসতে কাউকে বাধা পেতে হয় না। পৌরসভার সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান সমস্যা হচ্ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা, কিছু রাস্তাঘাটের সংস্কার ও নির্মাণসহ কয়েকটি এলাকায় লাইটিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তবে আগের মেয়াদে এসব কাজের জন্য এলজিইডিতে কাগজপত্র ও প্রকল্প দাখিল করেছি। অনেক প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। যেসব প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি তা খুব শীঘ্রই বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আবর্জনা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মেয়র হারিছুর রহমান বলেন, পৌরসভার বাসাবাড়ির ময়লা অপসারণ প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। তবে হাটবাজার বা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে রাখার পর সেখান থেকে আমাদের পৌরসভার ট্রাক গিয়ে ময়লা অপসারণ করছে। পৌরসভার উন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে গৌরনদীকে উন্নত আধুনিক মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে মেয়র হারিছুর রহমান আরও বলেন, ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। পৌরসভার নিজস্ব অনলাইন ব্যবস্থা রয়েছে, সেখান থেকে জন্মসনদ, লাইসেন্সসহ বিভিন্ন কাজের ফরম পাওয়া যায়। তথ্যসেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সকল বিলিং-ভাউচার ডিজিটাল করা হয়েছে। পৌরসভার নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। আমাদের সব কাজ নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনগণ দেখতে পাচ্ছেন। শিশুদের সুযোগ-সুবিধা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, শিশুদের জন্য খেলাধুলাসহ সব কাজে সহায়তা করা হচ্ছে। যেসব বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হচ্ছে সেগুলোতে সব ধরনের সহায়তা আমার থাকে। এছাড়া প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসার জন্যও আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা রয়েছে। গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, পৌরসভার মধ্যে ১৭টি মৌজা এখনও গ্রাম।
×