ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধেও মামলা

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১১ মার্চ ২০১৭

ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধেও মামলা

ছয় মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দ্বিতীয় দফায় যে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে হাওয়াই অঙ্গরাজ্য। আগামী ১৫ মার্চ ওই মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে ফেডারেল আদালত। এর পরের দিন থেকেই আদেশটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। খবর বিবিসির। মার্কিন বার্তা সংস্থা এ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বলেছে, প্রথম দফার নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধেও মামলা করেছিল এই রাজ্য। তবে আগেই অন্য রাজ্যে নির্বাহী আদেশটি স্থগিত হয়ে যায়। দ্বিতীয় দফার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সেই মামলাটি সংশোধন করে দাখিল করেছে হাওয়াই রাজ্য। প্রথম আদেশে সাত দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, দ্বিতীয় দফার আদেশে ইরাককে বাদ দেয়া হয়েছে। বাকি ছয় দেশ হলোÑ ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া এবং সোমলিয়া। এছাড়া সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচী বন্ধ রাখা হবে। নতুন আদেশে শরণার্থীদের ক্ষেত্রে ১২০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হাওয়াই রাজ্যের মামলায় বলা হয়েছে, এই নির্বাহী আদেশের ফলে হাওয়াইয়ের মুসলিম জনগোষ্ঠী, পর্যটন আর বিদেশী ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হাওয়াইয়ের এ্যাটর্নি জেনারেল ডগলাস চেন বলেছেন, এই রাজ্যের বিশেষত্ব হলো যে, ঐতিহ্যগত ও সাংবিধানিকভাবে এখানে কোন বৈষম্য করা হয় না। এখানে কুড়ি শতাংশ বাসিন্দা বিদেশে জন্ম নেয়া, এক লাখ প্রবাসী বাস করে আর অন্তত কুড়ি শতাংশ কর্মী বিদেশী নাগরিক। তিনি বলেন, হাওয়াইয়ের মানুষ মনে করে, নতুন মানুষের প্রতি ভীতি একটি খারাপ নীতি। তবে এই মামলার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মার্কিন বিচার বিভাগ। প্রেসিডেন্ট ট্রম্পের প্রশাসনের যুক্তি হচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে নিরাপদ রাখার জন্য দরকার। নতুন নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে যে যাদের বৈধ ভিসা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। নতুন নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা সহজ হবে না ॥ প্রধানত ছয় মুসলিম দেশ থেকে ভ্রমণকারী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে বাধা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তাকে চ্যালেঞ্জ করে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নসহ অনেকে ইতোমধ্যেই জোটবদ্ধ হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন উঠেছে যে, মার্কিন আদালতসমূহকে পাশ কাটানোর জন্য সুপরিকল্পিতভাবে প্রণীত এই নিষেধাজ্ঞাকে বাতিল করতে মানবাধিকার সংস্থাগুলো কী সক্ষম হবে? অনেকে এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন যে, প্রথমবার ট্রাম্প মানবাধিকার সংক্রান্ত আইনী দিক চিন্তা না করে তড়িঘড়ি করে নিষেধাজ্ঞা জারি করাতে আদালত তা নাকচ করে দেয়। কিন্তু এবার ট্রাম্প বাঘা বাঘা উপদেষ্টা ও আইনজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেনÑ তা উল্টানো সহজ হবে না।
×