ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়াসার নতুন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রামে দেশের প্রথম দুই সাবমেরিনের কমিশনিং কাল

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১১ মার্চ ২০১৭

চট্টগ্রামে দেশের প্রথম দুই সাবমেরিনের কমিশনিং কাল

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নৌবহরে প্রথমবারের মতো সংযুক্ত দুটি সাবমেরিনের আনুষ্ঠানিক কমিশনিং হচ্ছে রবিবার। চীনের তৈরি ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামের এ দুটি সাবমেরিন কমিশনিং করা হবে চট্টগ্রামের বিএনএস ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে। একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম ওয়াসার একটি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নির্মিত এ দুটি সাবমেরিন চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওয়ান শিপইয়ার্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয় গত বছরের ১৪ নবেম্বর। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের বিভিন্ন সদস্যবৃন্দ, এমপি, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মিডিয়ামের সিনিয়র সম্পাদক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকবেন বলে নৌবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে। আইএসপিআর সূত্রে জানানো হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ত্রিমাত্রিক শক্তি হিসেবে ভিত রচিত হচ্ছে এ দুটি সাবমেরিন সংযোগের মাধ্যমে। নবযাত্রা ও জয়যাত্রা নামের এ দুটি সাবমেরিন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যেই চীনে নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। সাবমেরিন দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার ও প্রস্থ ৭ দশমিক ৬ মিটার। সাবমেরিনগুলো টর্পেডো ও মাইন দ্বারা সুসজ্জিত। যা শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও ডুবো জাহাজে আক্রমণ চালাতে সক্ষম। পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে এগুলোর গতিবেগ ঘণ্টায় সামনের দিকে ১২ এবং পেছনের দিকে ১১ নটিক্যাল মাইল। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সাবমেরিন দুটি বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে চীন ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের তত্ত্বাবধানে। এর আগে সী ট্রায়াল সম্পন্ন হয়। নৌবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে, সাবমেরিন নবযাত্রা ও জয়যাত্রা বিএনএস ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে থাকবে। আগামীতে সাবমেরিনের মূল ঘাঁটি হবে কুতুবদিয়া চ্যানেলে, যা পেকুয়া উপজেলার সন্নিকটে। এছাড়া পটুয়াখালীর কুয়াকাটার অদূরে রাবনাবাদ চ্যানেলের কাছে আরও একটি ঘাঁটি তৈরির কাজ চলছে। ওই স্থানে সাবমেরিন নোঙ্গরের সুবিধা রাখা হচ্ছে। প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এ সাবমেরিন দুটির জন্য। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যে বিএনএস ঈশা খাঁ ঘাঁটি ও সন্নিহিত এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ॥ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী পতেঙ্গার বোটক্লাবে উদ্বোধন করবেন রাঙ্গুনীয়ায় প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি শোধনাগারের। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার।’ এ শোধনাগার থেকে ইতোমধ্যেই দৈনিক ১৪ কোটি লিটার সুপেয় পানি সরবরাহ হচ্ছে। ১ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রাঙ্গুনীয়ার পোমরায় বাস্তবায়িত হয়েছে এ পানি প্রকল্প। প্রায় তিন দশক পর সংস্থাটির উদ্যোগে এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলো। এতে অর্থায়ন করে সরকার, ওয়াসা ও জাপানী সাহায্য সংস্থা জাইকা। উল্লেখ্য, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দৈনিক চাহিদার অর্ধেক পানিও সরবরাহ করতে পারছিল না ওয়াসা। অনেক প্রকল্প থাকলেও নানা জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতায় সেগুলো ঝুলে থাকে। বৃহৎ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ায় অনেকটাই মিটেছে পানির চাহিদা। পাইপ লাইনে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার পানি যুক্ত হওয়ায় সঙ্কট অনেকটা কেটে গেছে। চলমান আরও কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরীতে পানির চাহিদা মিটিয়ে সংলগ্ন সীতাকু- উপজেলা পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে ওয়াসা।
×