ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জীববিজ্ঞান;###;Taslima Afroz

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৯ মার্চ ২০১৭

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

Blessed with SHAH MD.IDRIS ALI & HAMIDA ALI C/O Md. Sofiul Haq Khandakar (Shohag) M.Sc. (First Class 1st), B.Sc. (First Class 9th) Achieved: Best Teacher Award, Lecturer in Zoology, Arambagh High School & College, Arambagh, Motijheel, Dhaka -1000. Mob: 01717-293619 e-mail: [email protected] দ্বিতীয় অধ্যায়: জীবকোষ ও টিস্যু সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। ইতোপূর্বে তোমরা উদ্ভিদ টিস্যু (চষধহঃ ঞরংংঁব)র মধ্যে ভাজক টিস্যু, স্থায়ী টিস্যু, নিঃ¯্রাবী টিস্যু ও প্রাণিটিস্যুর অংশ বিশেষ সম্পর্কে জেনেছো। আজকের আলোচনা : প্রাণিটিস্যু (অহরসধষ ঞরংংঁব)র মধ্যে আবরণী টিস্যু প্রাণিটিস্যুও প্রকারভেদ (ঞুঢ়বং ড়ভ অহরসধষ ঞরংংঁব): প্রাণিটিস্যু তার গঠনকারী কোষের সংখ্যা, বৈশিষ্ট্য এবং তাদের নিঃসৃত পর্দাথের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে প্রধানত চার ধরনের হয়। নিচে প্রকারারসহ বিভিন্ন প্রাণিটিস্যুর বর্ণনা দেয়া হলো: ১. আবরণী টিস্যু (ঊঢ়রঃযবষরধষ ঞরংংঁব): আবরণী টিস্যুর কোষগুলো ঘন সন্নিবেশিত এবং একটি ভিত্তিপর্দার উপর বিন্যস্ত থাকে। কোষের আকৃতি, প্রাণিদেহে অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে এ টিস্যু তিন ধরনের হয়। যথা: ক. স্কোয়ামাস (আঁইশকার) আবরণী টিস্যু (ঝঢ়ঁধসড়ঁং ঊঢ়রঃযবষরধষ ঞরংংঁব) খ .কিউবয়ডাল (ঘনাকৃতি) আবরণী টিস্যু (ঈঁনড়রফধষ ঊঢ়রঃযবষরধষ ঞরংংঁব) গ. কলামনার (স্তম্ভাকার) আবরণী টিস্যু (ঈড়ষষঁসহধৎ ঊঢ়রঃযবষরধষ ঞরংংঁব) এই টিস্যুর কোষগুলো মাছের আঁশের মতো চ্যাপটা ও নিউক্লিয়াস বড় আকারের হয়। উদাহরণ: বৃকের বোম্যানস ক্যাপসুল প্রাচীর। কাজ: প্রধানত আবরণ ছাড়াও ছাকন কাজে লিপ্ত থাকে। খ .কিউবয়ডাল (ঘনাকৃতি) আবরণী টিস্যু (ঈঁনড়রফধষ ঊঢ়রঃযবষরধষ ঞরংংঁব): এই টিস্যুর কোষগুলো ঘনাকার বা কিউব আকৃতির অর্থাৎ কোষগুলোর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা প্রায় সমান। উদাহরণ: বৃকের সংগ্রাহক নালিকা। কাজ: প্রধানত পরিশোষণ এবং আবরণ কাজে লিপ্ত। গ. কলামনার (স্তম্ভাকার) আবরণী টিস্যু (ঈড়ষষঁসহধৎ ঊঢ়রঃযবষরধষ ঞরংংঁব): এই টিস্যুর কোষসমূহ স্তম্ভের মতো সরু লম্বা। উদাহরণঃ প্রাণীর অন্ত্রের অন্তঃপ্রাচীরের কোষগুলো এই ধরনের। কাজ: প্রধানত ক্ষরণ, রক্ষণ ও শোষণ কাজে লিপ্ত। প্রাণী দেহে ভিত্তিপর্দার উপর সজ্জিত কোষগুলোর সংখ্যার ভিত্তিতে এপিথেলিয়াল টিস্যুকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: র. সাধারণ আবরণী টিস্যু : ভিত্তিপর্দার উপর কোষসমূহ একান্তরে সজ্জিত। উদাহরণ: বৃক্কের বোম্যানস ক্যাপসুল, বৃন্ধীয় নালিকা, অন্ত্র প্রাচীর। রর. স্ট্রাটিফাইড আবরণী টিস্যু : ভিত্তিপর্দার উপর কোষগুলো একাধিক স্তরে সজ্জিত। উদাহরণ: মেরুদন্ডী প্রাণীদের ত্বক। ররর. সিউডো-স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু : এই টিস্যুর কোষগুলো ভিত্তিপর্দার উপর একস্তরে বিন্যস্ত থাকে। তবে কোষগুলো বিভিন্ন উচ্চতার হওয়ায় এই টিস্যুকে দেখতে স্তরীভূত টিস্যু মনে হয়। উদাহরণ: ট্রাকিয়া। আবরণী টিস্যু কোষগুলো বিভিন্ন কাজের জন্য নানাভাবে রূপান্তরিত হয়। যেমন: ১. সিলিয়াযুক্ত আবরণী টিস্যু- মেরুদণ্ডী প্রাণীদের শ্বাসনালির প্রাচীরে দেখা যায়। ২. ফ্লাজেলাযুক্ত আবরণী টিস্যু- হাইড্রার এন্ডোডার্মে থাকে। ৩. ক্ষণপদযুক্ত আবরণী টিস্যু- হাইড্রার এন্ডোডার্মে এবং মেরুদভী প্রাণীদের অন্ত্রে দেখা যায়। ৪. জননঅঙ্গের আব্বাণী টিস্যু- বিশেষভাবে রূপান্তরিত আবরণী টিস্যু যা থেকে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুকোষ উৎপন্ন হয়। এরা প্রজননে অংশগ্রহণ করে প্রজাতির ধারা অক্ষুন্ন রাখে। ৫. গ্রন্থির আবরনী টিস্যু: বিভিন্ন ধরনের রস নিঃসরণ করে। দেখা যাচ্ছে যে আবরণী টিস্যু কোনো অঙ্গের বা নালির ভিতরের ও বাইরের অংশ তৈরি করে থাকে। আবার এই টিস্যুর রূপান্তরিত হয়ে রক্ষন, ক্ষরন, শোষন, ব্যাপন, পরিবহন ইত্যাদি কাজে যোগদান করে। আবরণী টিস্যু রূপান্তরিত হয়ে গ্রন্থি টিস্যু এবং জননী টিস্যুতে পরিণত হয়ে দেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। পরবর্তীতে প্রাণীটিস্যুর মধ্যে যোজক টিস্যু, তরল যোজক টিস্যু ও পেশি টিস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
×