ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্মের নামে জঙ্গীবাদ সৃষ্টির চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৯ মার্চ ২০১৭

ধর্মের নামে জঙ্গীবাদ সৃষ্টির চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশে ধর্মের নামে কেউ জঙ্গীবাদ সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ, এখানে ধর্ম নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। বুধবার দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী বিশাল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন কোন চ্যালেঞ্জকেই আর চ্যালেঞ্জ মনে করি না। কারণ দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করব। শান্তির ধর্ম ইসলামকে বাংলাদেশে কোনভাবেই জঙ্গী ধর্ম বানাতে দেয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বোমাবাজি করে, টার্গেট কিলিং করে, আগুনসন্ত্রাস করে, মানুষ হত্যা করে বেহেশতে যাওয়া যাবে না। যারা এসব করে শান্তির ধর্মকে জঙ্গীধর্ম বানাতে চায় তারা ইসলামের শত্রু। এরা বেহেশতে যাওয়া তো দূরের কথা তার সুগন্ধও পাবে না। ইসলামে জঙ্গীবাদের কোন ঠাঁই নেই।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছি, দারিদ্র্যসীমা অতিক্রম করছি, একের পর এক মেগা প্রজেক্ট নিয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে এগিয়ে যাচ্ছি তখন একটি গোষ্ঠী জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে আমাদের গতিরোধ করতে চায়ছে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ ভাতৃপ্রতীম। ধর্ম যার যার, দেশ সবার। তারা সবাই নিজের নিজের ধর্ম পালন করেন অন্যদেরও ধর্ম পালন করতে দেন। ইসলামকে যেভাবে জঙ্গীধর্ম বানানোর অপচেষ্টা চলছে তা কোন দিনও সফল হবে না। এক সময় বলা হতো দেশের ইসলামী ও কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করছে। কিন্তু আমরা দেখেছি তা ভুল। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করেনি যারা মুক্তিযুদ্ধ চায়নি সেই দেশী ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীরাই উচ্চশিক্ষিত যুবকদের ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করে দেশের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে দেশের সর্ব শ্রেণীর মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ জন্যই আমার জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আপনাদের কারণেই জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রী আজ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত। তাই আমি বলতে চাই- যে দেশের মানুষ সন্ত্রাস ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই দেশের মাটিতে কোন দিনই জঙ্গীবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। ধর্মের নামে নাশকতা করলে কেউ পার পবে না। নাশকতা করলে কাউকেই আর ছাড় দেয়া হবে না। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, আয়েন উদ্দিন এমপি, আবদুল ওয়াদুদ দারা এমপি, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, রাজশাহী জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (জিআইজি) খুরশীদ হোসেন, শোলাকিয়া ঈদগাহের পেশ ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ ধুবেশা নন্দজী মহারাজ, রাজশাহী ক্যাথলিক চার্চের ফাদার জেভার্স রোজারিও, সাবেক সংসদ সদস্য মেরাজ উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।
×