ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রী ও পণ্যসেবা বাড়াতে বন্ধ সব স্টেশন চালু করছে রেলওয়ে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৯ মার্চ ২০১৭

যাত্রী ও পণ্যসেবা বাড়াতে বন্ধ সব স্টেশন চালু করছে রেলওয়ে

মশিউর রহমান খান ॥ বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের সকল রেলস্টেশন পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলপথকে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক সকল কাজে ব্যবহার করার পাশপাশি যাত্রী এবং পণ্যসেবা বর্তমানের তুলনায় আরও বাড়াতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একইসঙ্গে পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে রেলপথকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে ও কম সময়ে ট্রেনের গতি বাড়িয়ে নিরাপদে যাত্রীদের তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে এ সকল বন্ধ স্টেশন চালুর চিন্তা করছে রাষ্ট্রীয় সবচেয়ে পুরনো যোগাযোগ খাতের অন্যতম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্তমানে দেশে পুনরায় চালুর উপযোগী ছোট-বড় মোট ১শ’ ৪০টি রেলস্টেশন বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১৬ মার্চ ৬০টি পুরনো রেলস্টেশন চালু করা হবে। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক নরসিংদীর ঘোড়াশাল রেলস্টেশন উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে এ সকল স্টেশন একযোগে চালু করা হবে। এছাড়া বন্ধ বাকি স্টেশনগুলো অতি দ্রুত চালু করার সকল প্রস্তুতি বেশ জোরেশোরেই শুরু করেছে বলে জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন। এজন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগেরও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। রেলসূত্র জানায়, নতুন ঘোষিত স্টেশনগুলোর মধ্যে কয়েকটি স্টেশনের কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক হিসেবে চালু করা হয়েছে। উদ্বোধনের পরই এগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১৪ সালে বেশ কয়েকটি রেলস্টেশন জনবলের অভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশনগুলোর মধ্যে এমন স্টেশনও রয়েছে যেগুলো গত ১৮ বছর আগে বন্ধ করা হয়েছে। আবার এমন কিছু বন্ধ স্টেশন রয়েছে যেগুলো সম্পূর্ণ অলাভজনক হওয়ায় নতুন করে সেগুলো চালুর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না রেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে বন্ধ স্টেশনগুলো চালুর কোন উদ্যোগ নিতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। জনবল না থাকাকে অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হয়েছে। জানা গেছে, গত বিএনপি সরকারের আমলে জনবল নিয়োগ না দেয়া ও বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে রেলওয়ের প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীকে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক প্রদান করা হয়। এরপর পুরনো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসরে চলে যাওয়ায় অনেক স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী রেল খাতকে সম্পূর্ণ অকার্যকর করার উদ্দেশ্যেই এসব উদ্যোগ নেয় বিএনপি সরকার। যার ফলে এসব স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। রেলসূত্র জানায়, ১৬ মার্চ প্রথম দফায় বন্ধ ৬০টি রেল স্টেশন চালু করা হবে। এসব স্টেশনের বেশির ভাগই বিএনপি সরকারের আমলে বন্ধ হয়েছে। এসব বন্ধ রেললাইনের উন্নয়ন ঘটিয়ে আবারও রেল সংযোগ দেয়া হবে। এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। নতুনভাবে চালু করা স্টেশনগুলোতে প্রাথমিকভাবে ২ শিফটে চালু করা হবে। সাধারণত প্রতি শিফটে ৮ ঘণ্টা করে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন স্টেশন মাস্টার দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও এসব স্টেশনে ১২ ঘণ্টা করে দায়িত্ব পালন করবেন ২ জন স্টেশন মাস্টার। নতুন স্টেশনগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ স্টেশনেই কোন আন্তঃনগর ট্রেন থামবে না। এসব স্টেশনে শুধুমাত্র লোকাল ট্রেন থামবে। এছাড়া রেলওয়ের অপারেশন শাখা সূত্রে জানা গেছে, নতুন রেলস্টেশনগুলো চালু করা গেলে ট্রেন পরিচালনার বর্তমান গতি আরও বাড়বে। ফলে আগের চেয়ে অনেক কম সময়ে যাত্রীদের নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছতে সক্ষম হবেন। রেলওয়ে সূত্র জানায়, সারা দেশে বর্তমানে রেল স্টেশন রয়েছে ৪শ’ ৫৯টি। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১৮৬টি। তবে জরিপ অনুযায়ী নতুন করে চালুর উপযোগী স্টেশন রয়েছে ১শ’ ৪০টি। রেল কর্তৃপক্ষ দেশের বিভিন্ন জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিলেও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ এসব স্টেশন। দেশের রেললাইন রয়েছে এমন অনেক স্থানে প্রায় ৩ থেকে ৪শ’ কিলোমিটার রেলপথ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এসব রেললাইন দিয়ে এক দশক আগে যারা রেলের মাধ্যমে সুবিধা পেতেন তাদের অনেকেই এখন সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আবার স্টেশন ম্যানেজার আর মাস্টারের সঙ্কটের কারণে প্রায় অর্ধশত রেলস্টেশনের আংশিক কর্মকা- বন্ধ রয়েছে। এছাড়া অবসর গ্রহণ করায় প্রতি মাসেই লোক সঙ্কটের কারণে এক-দুটি স্টেশন বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। আর স্টেশন বন্ধের কারণে স্টেশনের সামগ্রীসহ রেলের বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ চুরি হয়ে যাচ্ছে। এতে এক দিকে যাত্রীরা যেমন চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন, অন্য দিকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লোকবল-স্বল্পতার কারণে গত ২০০৮ সালে ১৬টি, ২০০৯ সালে ২৬টি এবং ২০১০ সালে ৩৪টি স্টেশন বন্ধ করা হয়। গত ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১শ’ ৬০টি স্টেশন বন্ধ ছিল, বর্তমানে আরও কয়েকটি স্টেশনের মাস্টার অবসরে চলে যাওয়ায় বন্ধ স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১শ’ ৮৬টিতে। এ ছাড়া লোকবল না থাকায় চালু থাকা স্টেশনগুলোতেও সেবার মান ব্যাহত হচ্ছে। নতুন করে চালু হওয়া স্টেশনগুলোর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২১টি, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২টি, পাকশী বিভাগের ২৩টি এবং অন্যান্য এলাকার ৪টি স্টেশন চালু করা হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে বন্ধ থাকা বাকি স্টেশনগুলো চালু করা হবে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়। প্রথম দফায় চালু হওয়া স্টেশনগুলো হলোÑ ঘোড়াশাল, আমীরগঞ্জ, শ্রীনিধি, ভাওয়াল গাজীপুর, ইজ্জতপুর, সাতখামাইর, ধলা, উমেদ নগর, পিয়ারপুর, কেন্দুয়া বাজার, ভুয়াপুর, বিস্কা, সোহাগী, নান্দাইল রোড, কালিকাপ্রসাদ, ঠাকুরকোনা, বারহাট্টা, শাহাজীবাজার, মুকুন্দপুর, সাতগাঁও, বরমচাল, মুহুরীগঞ্জ, ফাজিলপুর, শর্শদী, নাওটী, ময়নামতি, দৌলতগঞ্জ, খিলা, নথেরপেটুয়া, বজরা, শাহাতলী, সরকারহাট, ঝাউতলা, ফুলতলা, মেহেরুলানগর, সফদারপুর, আনসারবাড়ীয়া, মিরপুর, পাকশী, আজিমনগর, মাধনগর, রানীনগর, হিলি, ভাবানীপুর, ডোমার, কাঁকনহাট, নাচোল, বেনাপোল, কুমারখালী, খোকসা, পাংশা, পাঁচুরিয়া জংশন, আমিরাবাদ, ফরিদপুর, মধুখালী জংশন, আলতাফনগর, ভেলুরপাড়া, মহিমাগঞ্জ ও অন্নদানগর। রেলওয়ের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে দীর্ঘদিন থেকে ১শ’ ৩টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া লালমনিরহাট ডিভিশনে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশনগুলো হচ্ছেÑ কাঞ্চিপাড়া, আনন্দবাজার, ভরতখালী, নশরতপুর, অন্নদানগর, মন্মথপুর, চৌধুরানী, কিসমত, রুহিয়া, নয়নীগুরুজ, পাঁচপীর মাজার, বালাবাড়ি, টগরাইহাট, সিঙ্গার ডাউরিহাট, শহীদ বোরহাননগর, সুলতানপুর স্কুল, বাজনাহার, রমনাবাজার ও রাজারহাট। এ ছাড়া লালমনিরহাট বিভাগে প্রায় ২০টি স্টেশন আংশিক বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে বুড়িমারী, পাটগ্রাম, আদিত্যমারী, সেতাবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, ভোমরাদহ, শীবগঞ্জ, রুহিয়া, পঞ্চগড়, বাদিয়াখালি রোড, মঙ্গলপুর ও বালাসীঘাটসহ একাধিক রেলস্টশন মাস্টারের অভাবে অপারেটিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে, পাকশী ডিভিশনের ফুলতলা, চেংগুটিয়া, রূপদিয়া, যশোর ক্যান্টনমেন্ট, মেহেরুন্নেসানগর, জয়রামপুর, মোমিনপুর, মুন্সীগঞ্জ, ইয়াসিনপুর, শাহাগোলা, তিলকপুর, বেলাইচড়ি, দারোয়ানি, মির্জাগঞ্জ, ঝিকরগাছা, নাভারন, নন্দনগাছি, নাচোল, জগতি, চড়াইকোল, মাছপাড়া, বেলগাছি ও পাঁচুরিয়া বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। এ ছাড়া পাকশী ডিভিশনে আংশিক বন্ধ রয়েছে- মালঞ্চি, জামালগঞ্জ, হিলি, মিরপুর, সবলনগর, সিতলাই, কাঁকনহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুর, গোয়ালন্দঘাট, দর্শনা ও গোয়ালন্দবাজার এবং লালমনিরহাট ডিভিশনে কাঞ্চন-পঞ্চগড় সেকশনের মাঝের ও লালমনিরহাট-বুড়িমারী সেকশনের মধ্যবর্তী স্টেশনগুলো আংশিক বন্ধ রয়েছে। অপদিকে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে প্রায় ৬১টি স্টেশন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬টি ও সিলেট সেকশনে ২৮টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। ঢাকা বিভাগে বন্ধ স্টেশনের মধ্যে লস্করপুর স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে ২০০৩ সাল থেকে। এ ছাড়া ঢিলাগাঁও এবং খাজাঞ্চিগাঁও স্টেশন দুটি ২০০৯ সাল থেকে, ইটাখোলা, ভাটেরাবাজার, আফজালাবাদ, বাইগনবাড়ী স্টেশনগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে ২০১০ সাল থেকে, কালিকাপ্রসাদ, মোশারফগঞ্জ, সুতিয়াখালী স্টেশনগুলো ২০১১ সাল থেকে এবং বাউসি, ইজ্জতপুর, ঠাঁকুরাকোনা, বিষকা ও নীলগঞ্জ স্টেশন ২০১৩ সাল থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ছাতকবাজার স্টেশনটি এক শিফট, জামালপুর কোর্ট স্টেশনটি ২ শিফট, জামালপুরের কেন্দুয়াবাজার স্টেশনটি ২ শিফট, শহীদনগর বারৈ পটল স্টেশনটি ২ শিফট, মানিকখালী স্টেশনটি ১ শিফট ও হরষপুর স্টেশনটি ২ শিফট করে আংশিক বন্ধ রয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়। সূত্র জানায়, স্টেশন মাস্টার ও প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বন্ধ আছে সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের। এগুলো হলো ভাটেরা, টিলাগাঁও, লস্করপুর ও ইটাখোলা রেলস্টেশন। এছাড়া জনবলের অভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলার ৫টি স্টেশন আনসারবাড়িয়া, জয়রামপুর, গাইদঘাট, মোমিনপুর ও মুন্সীগঞ্জ স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে রেল কতৃপক্ষ প্রাথদিমকভাবে ৬০টি চালু করার পর সকল স্টেশনই পর্যায়ক্রমে চালু করবে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, আমরা রেলপথকে জনগণের চলাচলের অন্যতম ও আরামদায়ক পথ হিসেবে তৈরি করতে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। একসময় রেলপথের অবস্থা খুবই নাজুক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। বর্তমান সরকারের বিশেষ আগ্রহে রেলখাততে অন্যতম পরিবহন সেবাখাতে পরিণত করতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে আমরা নতুন নতুন রেললাইন নির্মাণ করা, কোচ, ইঞ্জিন ক্রয় করা ও রেলের আধুনিকায়ন করেছি। যার ফলাফল নাগরিকগণ সরাসরি ভোগ করছেন। রেলওয়ে মহাপরিচালক বলেন, আমরা দেশের সকল স্টেশন চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিই নেয়া হচ্ছে। যাত্রীদের অধিক সেবা প্রদানের জন্য চালুর উপযোগী কোন রেলস্টেশনই বন্ধ রাখা হবে না। এরই অংশ হিসেবে আমরা নতুন করে আগামী ১৬ মার্চ নরসিংদীর ঘোড়াশাল রেলস্টেশনটি রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মাধ্যমে বন্ধ থাকা ৬০টি স্টেশন চালু করছি। এ সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে সকল বন্ধ স্টেশন চালু করা হবে। অধিক যাত্রী পরিবহন, বেশি সেবা প্রদান ও দেশের সকল জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করা হচ্ছে। এসব স্টেশন চালু করা হলে ট্রেনগুলো নিরাপদে বর্তমানের তুলনায় অনেক কম সময়ে যাত্রী ও পণ্য নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে।
×