ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মলয় বিকাশ দেবনাথ

জন উইক ছবিতে কিয়ানো রিভ্স

প্রকাশিত: ০৫:০১, ৯ মার্চ ২০১৭

জন উইক ছবিতে কিয়ানো রিভ্স

হলিউডের সাড়া জাগানো নিও নয়্যার সিনেমা বিশ্বব্যাপী আলোচিত। এই নিও নয়্যার সিনেমা সব সময়ই দর্শকদের কাছে উত্তেজনাপূর্ণ আর তাতে যদি প্রধান চরিত্রে থাকে কিয়ানো রিভ্স। নয়্যার সিনেমাগুলোকে ফ্রাঞ্চ ভাষায় ‘ব্ল্যাক ফিল্ম’ বলা হয়। সাধারণত আন্ডারওয়ার্ল্ড, মাফিয়াচক্র, অপরাধজগত নিয়ে কাহিনীর গঠনশৈলী সঙ্গে থাকে একটু ভিন্ন ক্যামেরার কাজ। আলোক প্রক্ষেপণেও থাকে ভিন্নতা। যেমন ব্লু-ডার্ক পরিবেশ। প্রতিটি শটে ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলগুলো থাকে কিছুটা বাঁকা, টিল্ট আপ, টিল্ট ডাউনের সঙ্গে থাকে প্রচ- গতি যা সিনেমাটিকে কাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের মাঝে সৃষ্টি করে শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা। মূলত ৪০ এর দশকে এই ধ্রুপদী নয়্যার সিনেমা দর্শকদের মাঝে তুলে ধরা হয়। এরপর থেকেই এটা ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই নয়্যার সিনেমাগুলোর কাহিনী খুব কাছাকাছি হয় তবুও এর গঠনশৈলীর জন্যই এই সিনেমাগুলোকে দর্শকদের কাছে একঘেয়ে লাগেনি। ম্যাট্রিক্স সিনেমাখ্যাত কিয়ানো রিভ্স একজন কানাডিয়ান অভিনেতা, প্রযোজক এবং মিউজিশিয়ান। অভিনয়ের জন্যই তিনি পরিচিতি লাভ করে ১৯৮৫ সালের দিকে এবং তারপর থেকে শুধু সামনে চলা। ১৯৯৪ সালে স্পিড মুভি দিয়ে তিনি আবার মাতিয়েছেন গোটা বিশ্ব। এরপর ১৯৯৯-২০০৩ হলিউডকে উপহার দিয়েছেন সায়েন্স ফিক্শন থ্রিলার ‘দ্য ম্যাট্রিক্স’। সারা দুনিয়ার বক্স অফিসে আবারও নিজেকে প্রমাণ করলেন কিয়ানো রিভ্স। এরপর ২০১৪ সালে তার ‘জন উইক’ ছবিটি মুক্তি পেল। এতে কিয়ানো রিভ্স একজন আততায়ীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। এই পর্বে তার কুকুরটি মেরে ফেলা হয় এবং তার গাড়ি নিয়ে যায়। এর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে জন উইক ঢুকে পড়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডে। জন উইক চ্যাপ্টার-২ মুক্তি পেল ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ এবং ১৪৪ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে ছবিটি। এখানে সেই পার্ট ওয়ানের সঙ্গে মিল রেখেই ছবিটির চিত্রনাট্য রচনা করেন ‘ডেরেক কলস্টেড’। পার্ট ওয়ানে ‘কিয়ানোর চুরি হওয়া সেই ৬৯ মডেলের ফোর্ড মাস্টাং ম্যাক-১ এর সন্ধান পান একটি চোরাই গাড়ির গ্যারেজে এবং সেখান থেকে মারামারি করে অর্ধভাঙ্গা অবস্থায় উদ্ধার করে সেটি এবং রিপিয়্যারের জন্য একটি গ্যারেজে দেয়। যেখান থেকে গাড়িটি উদ্ধার করে সেই গ্যারেজের মালিক আব্রাম টেরাস তার শত্রু ভিগোর ভাই। এরপর সে পাড়ি জমায় ইতালি এবং সেখানকার অন্ধকার জগতের ডন ডি. এন্টনিওর সঙ্গে সাক্ষাত করে। ডি. এন্টনিও তাকে একটি উপহার দেয় এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় কিছু সহযোগিতা করার জন্য। এতে রাজি না হওয়ায় ডি. এন্টনিও প্রতিশোধমূলক জনের বাড়িতে গ্রেনেড ছুড়ে বাড়ি ধ্বংস করে দেয়। এরপর নিউইয়র্কে ফেরার পর উইন্সটন, কন্টিনেন্টাল হোটেলের মালিক জনকে বলে ডি. এন্টনিওর কথামতো কাজ করতে। কারণ যে আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ম অনুযায়ী চুক্তিভঙ্গ করলে এর পরিণাম মৃত্যু। ডি. এন্টনিও তার বোন গিয়ান্নাকে হত্যার এসাইনমেন্ট দেয় জনকে। জন তা পালন করে এবং তার পরও ডি. এন্টনিও নিউইয়র্কে জনের মাথার দাম তোলে ৭ মিলিয়ন ডলার যদিও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি, নায়ক বলে কথা। শেষ পর্যন্ত সেই ডি. এন্টনিওই মারা পড়ল জন উইকের হাতে।
×