ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটায় বাঁধের একপাশে উচ্ছেদ অন্যপাশে বহাল

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ৯ মার্চ ২০১৭

কুয়াকাটায় বাঁধের একপাশে উচ্ছেদ অন্যপাশে বহাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৮ মার্চ ॥ কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের দুই পাশের স্লোপের ক্ষুদে দোকানিদের উচ্ছেদ নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। জিরো পয়েন্টের পূর্বপাশের দেড় শতাধিক দোকানিকে প্রায় একমাস আগে তড়িঘড়ি করে উচ্ছেদ করা হলেও একই বাঁধের পশ্চিম পাশের স্লোপের দুদিকে স্থাপনা বহাল রয়েছে। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমিকায় ব্যবসা হারিয়ে উপার্জনহীন দরিদ্র মানুষগুলো ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। এসব মানুষ জীবিকাহারা হয়ে গেছে। তাদের প্রশ্ন একই বাঁধের এক পাশের দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও অপর পাশে কেন বহাল থাকল। প্রায় এক মাস আগে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের খোলামেলা অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতার বিরোধের জের ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রভাবিত হয়ে এক পাশের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করেছে। বাকিদের উচ্ছেদ করা হয়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে, জিরো পয়েন্টের চৌরাস্তার পূর্বদিকে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় একযুগ ধরে ব্যবসা করা ক্ষুদে দোকানিরা উচ্ছেদ হয়ে গেছে। বিরানভূমিতে পরিণত হয়ে গেছে গোটা এলাকা। ষাটোর্ধ নুরুল ইসলাম জানান, এখন ব্যবসা না থাকায় সন্তান সন্তুতি নিয়ে না খেয়ে থাকার অবস্থা হয়েছে। মুরগির দোকানি ফারুক, পান দোকানি সোহরাব, কাঁচামালের দোকানদার আল-আমিন, চায়ের দোকানি সালেহা বেগমসহ শত শত ক্ষুদে দোকানির আকুতি একই। এদের চোখে-মুখে পেশা হারানোর হতাশা। প্রত্যেকে একাধিক এনজিওর লোনী। কিস্তির তাগাদাও এদের বিপদগ্রস্ত করে তুলেছে। বিশ^ব্যাংকের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য তালিকাভুক্তির জন্য পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্সসহ ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট খুলতে প্রত্যেকের প্রায় দুই হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে এনিয়ে কুয়াকাটায় এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবুল খায়ের জানান, পর্যায়ক্রমে সকল স্থাপনা অপসারণ করা হবে। তবে স্থানীয় নেতাদের প্রভাবের কথা তিনি অস্বীকার করেন।
×