ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিরাতে অবাধে আসছে চোরাই যন্ত্রাংশ

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ৯ মার্চ ২০১৭

প্রতিরাতে অবাধে আসছে চোরাই যন্ত্রাংশ

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ হঠাৎ পুরো সীমান্ত জুড়ে বেড়ে গেছে মোটরসাইকেলের টায়ার টিউব ও যন্ত্রাংশের চোরাচালান। সীমান্তে প্রায় ৩১ পয়েন্ট দিয়ে এসব ভারতীয় টায়ার টিউব ও যন্ত্রাংশ আসছে বলে জানা গেছে। তবে শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট সীমান্ত পথে সবচেয়ে বেশি আসছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সীমান্ত পথেও আসছে। প্রতিদিন সকালের দিকে নজরে পড়বে এসব পণ্য ভর্তি ঠেলাগাড়ি শহরে ঢুকছে কিংবা ট্রাক ও ঢাকাগামী নাইট কোচ স্ট্যান্ডে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের একাধিক কোম্পানির মোটরসাইকেল বৈধ পথে বাংলাদেশে আমদানি হচ্ছে। ভারতীয় মোটরসাইকেলের এজেন্ট বা পরিবেশকের দোকান বা শো রুম রয়েছে জেলা শহরসহ পাঁচ উপজেলায় শতাধিক। এসব শো রুম থেকে বিক্রি মোটরসাইকেলের জন্য যেসব পার্টস ও টায়ার টিউবের দোকান রয়েছে তার অধিকাংশ মালামাল আসে চোরাকারবারিদের মাধ্যমে। এসব দোকানের মালামাল কোনভাবেই বলা যাবে না বৈধ নির্বিঘেœ চোরাই মালামাল বিক্রির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয় না স্থানীয় প্রশাসন। এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় যন্ত্রাংশ ও টায়ারের চাহিদা এবং কম দাম হওয়ার কারণে উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে খদ্দের আসে এখানে বা নাটোর, নওগাঁ রাজশাহীতে। ঝুঁকি এড়াতে মোটরসাইকেলে চেপে বা সঙ্গে করে এনে টায়ার বদল করে কিংবা যন্ত্রাংশ নিয়ে গন্তব্যে চলে যায়। চোরাকারবারির মাধ্যমে এসব মালামাল শুল্ক না দেয়ার কারণে আমদানি বৈধ পথে আসা মালামালের অর্ধেক দাম পড়ে। তাই মোটরসাইকেলের টায়ার টিউব ও যন্ত্রাংশের চোরাচালান দিনের পর দিন বাড়ছে। প্রতিরাতে চাঁপাই সীমান্ত পথে ভারতীয় মোটরসাইকেলের টায়ার, টিউব ও যন্ত্রাংশ আসে অর্ধ কোটি টাকার। শুধু টায়ার টিউব বা যন্ত্রাংশ নয়, অনেক সময়ে বিনোদপুর, সোনামসজিদ, কামালপুর, মনাকষা ও ভোলাহাট সীমান্ত পথে পুরো মোটরসাইকেল খুলে ৪/৫ ভাগ করে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়। পরে মনাকষা ও রানীহাটিতে মোটরসাইকেলটি সংযোজন করে বিআরটিএর মাধ্যমে বৈধ করা হয়।
×