ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এরশাদের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচনী জোট হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ৯ মার্চ ২০১৭

এরশাদের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচনী জোট হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ফের রাজনৈতিক জোট গঠনের চেষ্টা শুরু করেছে জাতীয় পার্টি। মূলত, ইসলামী ভাবধারায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোই জোটের মূল লক্ষ্য। জাপা নেতাদের ধারণা, ইসলামী ভাবধারায় বিশ্বাসী দলগুলোকে জোটে টানতে পারলেই ভোট বাড়বে। সামনের নির্বাচনেও প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সংসদে শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত হবে। দলটির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দল নিয়ে জোট গঠনের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে প্রায় ২০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নামসর্বস্ব। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের একাধিক শরিক দল নতুন এই জোটে যোগ দেয়ার কথা দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে নতুন জোট ঘোষণার কথা জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। জাপার মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, একটি শক্তিশালী জোট গঠনের মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার। জাতীয় পার্টির লক্ষ্য জোটের রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া। ইতোমধ্যে বেশকিছু সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আরও কিছু দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুতই অন্য দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে। সব মিলিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষদিকে নতুন রাজনৈতিক জোটের যাত্রা শুরু হতে পারে বলেও জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে হাওলাদার বলেন, সাম্প্রদায়িক ও উগ্র মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমাদের কোন আগ্রহ নেই। তবে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলগুলো অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলগুলোও জোটে থাকার কথা জানান তিনি। জাপা সূত্রগুলো বলছে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, গণফ্রন্ট, মুসলিম লীগ, আমজনতা পার্টি, হিন্দু লীগ, গণতান্ত্রিক ন্যাপ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টি ছাড়াও বাংলাদেশ ইসলামিক ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জোটে যোগ দিতে পারে। অপর একটি সূত্র বলছে, কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ড. কামালের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, কর্নেল অলির দল এলডিপি, চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের কমিউিনিস্ট পার্টিও এই জোটে থাকতে পারে। আসন্ন নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে যেন কোনভাবেই এসব রাজনৈতিক দল জোটভুক্ত হতে না পারে এমন চিন্তা থেকেই এরশাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠন করা হচ্ছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। যার নেপথ্যে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এরশাদের সঙ্গে ১৫ রাজনৈতিক দলের বৈঠক ॥ রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ১৫টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দলের চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যোগ দেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, আমজনতা পার্টি, গণতান্ত্রিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ইসলামী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, কৃষক শ্রমিক পার্টি, ইউনাইটেড মুসলিম লীগ, গণ অধিকার পার্টি, তফসিল ফেডারেশন, জাতীয় হিন্দু লীগ, সচেতন হিন্দু পার্টি, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পাটি (বিপিডিপি) এবং ইসলামী গণ আন্দোলন।
×