ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাইফুল ইসলাম তানভীর

অল্পবয়সীদের লাইসেন্স

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ৯ মার্চ ২০১৭

অল্পবয়সীদের লাইসেন্স

পৃথিবীতে সুন্দর, স্বাচ্ছন্দময় জীবন যাপনে অবশ্যই অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থের লোভে মানুষজন মারাত্মক বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অর্থ আয়ের জন্য তারা নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। বিভিন্ন খাতের ব্যবসার সাথে পরিবহন ব্যবসায়ও রয়েছে তুমুল প্রতিযোগিতা। এক পরিবহন ব্যবসায়ী অন্য পরিবহন ব্যবসায়ীর সঙ্গেবেশী অর্থ আয়ের তীব্র প্রতিযোগিতা করছেন। আর এই প্রতিযোগিতা করতে গিয়েই মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। গত ৪ মার্চ একটি সংবাদপত্রের প্রধান শিরোনাম ছিল- “সহাবস্থান বাণিজ্য পরিবহনে”। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে অনেক রাজনৈতিক দলের নেতারা পরিবহন বাণিজ্যের সাথে জড়িত। নিজেদের ব্যবসার স্বার্থে তারা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছেন না। একই দিনে ইংরেজী একটি দৈনিকের প্রধান শিরোনাম ছিল এ সংক্রান্ত। যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘ভূতে চালায় ১০ লাখ যান’। এর এই শিরোনামের উপর বড় করে একটি ছবি দেয়া ছিল। ছবিতে দেখা যায়- একজন কিশোর লেগুনা জাতীয় ইঞ্জিন চালিত একটি গাড়ীর ড্রাইভিং সিটে বসা। সে ওই গাড়ীর ড্রাইভার। আমাদের দেশে গ্রাম থেকে রাজধানী শহর পর্যন্ত প্রায় সব জায়গাতেই এরকম শিশু-কিশোর বয়সী গাড়ী চালক দেখা যায়। এসব গাড়ী চালক নিরাপত্তা বিষয়ে কতটুকু জ্ঞান রাখে- এটা একটা প্রশ্ন। তাছাড়া তাদের শারীরিক ক্ষমতাও বা কতটুকু? যারা শিশু বয়সের গাড়ী চালক তাদের ওপর কি দোষ চাপিয়ে দিলেই হবে? এ সব শিশুর অনেকেই দরিদ্র পরিবারের। বেঁচে থাকার তাগিদেই তাদের ওরকম ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের কি কিছুই করণীয় নেই? সমাজের বিত্তবানদেরও উচিত এই শিশুদের জন্য ঝুঁকিমুক্ত জীবন ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কাজ করা। বি.আর.টি.এ দুর্নীতির আখড়া হয়ে পড়েছে। এখানে হাজার হাজার অযোগ্য তরুণ গাড়ী চালানোর লাইসেন্স পাচ্ছে। এদের অধিকাংশই রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। গাড়ী চালকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। যেখান থেকে গাড়ী চালক নিরাপত্তা বিষয়ে সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে পারে। গাড়ী চালকদের কেউ কেউ আবার নেশাগ্রস্ত। কর্তৃপক্ষের উচিত হবে নেশামুক্ত উপযুক্ত লোকদের হাতে গাড়ী চালানোর সনদ দেয়া। ফিটনেস বিহীন গাড়ী যাতে রাস্তায় চলতে না পারে সেটাও নিশ্চিত করা দরকার। গাড়ী চালকদের বেপরোয়া প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং তাদের সঠিক সময় বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাহলে গাড়ী যন্ত্রদানবে পরিণত হবে না। বারিধারা, ঢাকা থেকে
×