ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সেরেনার হার সবসময়ই বিস্ময়ের!

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৮ মার্চ ২০১৭

সেরেনার হার সবসময়ই বিস্ময়ের!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একেবারেই অপ্রতিরোধ্য আর দুর্বার সেরেনা উইলিয়ামস। তবে মার্কিন এ টেনিস তারকা কিংবদন্তি হয়ে উঠলেও রক্ত-মাংসের মানুষ। ফর্মটা সবসময়ই ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু সেরেনার জন্য সেটাও যেন বিস্ময়ের। মাত্র কয়েক মাসের জন্য শীর্ষস্থান হারিয়ে ফেললেও ২৩ গ্র্যান্ডসøাম জয়ের রেকর্ডধারী এ তারকা শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছেন। টেনিস বিশ্লেষকরা দাবি করছেন সেরেনা কখনও কোন ম্যাচে হারলে সেটাই হয়ে যায় চরম বিস্ময়ের ঘটনা। আসন্ন ইন্ডিয়ান ওয়েলস টেনিস টুর্নামেন্টেও তাই সেরেনা চ্যাম্পিয়ন না হলে সেটাও হবে বিস্ময়ের। এমনটাই বলছেন এক টেনিস চ্যানেলের বিশ্লেষক জাস্টিন গিমেলস্টব। এবার বছরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে জার্মান কিংবদন্তি স্টেফিগ্রাফের ২২ গ্র্যান্ডসøাম জয়ের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছেন সেরেনা। আবারও উঠে এসেছেন এক নম্বরে। দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে থাকা এ মার্কিন কৃষ্ণকন্যা ৩৫ বছর বয়সেও অপ্রতিরোধ্য। তবে গত বছর সেপ্টেম্বরের পর হারিয়ে ফেলেছিলেন শীর্ষস্থানটা। দখল করেছিলেন জার্মান তারকা এ্যাঞ্জেলিক কারবার। সেটা টেনিস বিশ্বের জন্য বিস্ময়কর ব্যাপারই ছিল। এ বিষয়ে গিমেলস্টব বলেন, ‘আমার কাছে সেরেনার পক্ষ নেয়াটাকেও সবচেয়ে সহজ ও স্বাভাবিক মনে হয়। কারণ সেরেনা যখনই হারে তখনই সেটাকে বিস্ময়কর মনে হয়। যখন সে জিততে পারে না সেটাকে অস্বাভাবিক মনে হয় আমার কাছে। যেখানেই খেলে সবসময়ই সে ফেবারিট থাকে।’ গিমেলস্টব তার বিশ্লেষণে আরও কয়েকজন সাম্প্রতিক মহিলা টেনিস তারকাকে টেনে এনেছেন। এর মধ্যে মার্কিন তরুণী ম্যাডিসন কিসও আছেন। ২২ বছর বয়সী এ সুন্দরী বছরের প্রথম কোন আসরে অংশ নেবেন এবার ইন্ডিয়ান ওয়েলস টুর্নামেন্টে। দীর্ঘদিন ভুগেছেন কব্জির ইনজুরিতে। করাতে হয়েছিল অস্ত্রোপচার। ২০১৬ সালটা তিনি শেষ করেছিলেন শীর্ষ দশে থেকে। চারটি গ্র্যান্ডসøামেরই চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত উঠেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালিস্ট। ২০১৫ সালে ১৩ বছর পর সেরেনা ফিরেছিলেন ইন্ডিয়ান ওয়েলসে। স্বেচ্ছায় সরে ছিলেন এ টুর্নামেন্ট থেকে। গত বছর ফাইনালেও ওঠেন সেরেনা। তবে হেরে যান ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার কাছে। এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের পর থেকে আর কোন টুর্নামেন্টে অংশ নেননি সেরেনা। কিন্তু ইন্ডিয়ান ওয়েলসে থাকছেন। বিশ্বের দুই নম্বর কারবার এ বছরের শুরুটা ভাল করেননি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে তিনি কোকো ভ্যানডেওয়েঘের কাছে হেরে যান। সপ্তাহ খানেক আগে দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপসের সেমিতে তিনি হেরে গেছেন এলিনা ভিতোলিনার কাছে। আবার কাতার ওপেন ও সিডনি ইন্টারন্যাশনালের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছেন বিশ্বের দুই নম্বর এ মহিলা টেনিস তারকা। এ বছর দারুণ খেলছেন ক্যারোলিনা পিসকোভা। ইতোমধ্যেই দুটি শিরোপা জিতেছেন চলতি বছর ব্রিসবেন ও কাতারে। শীর্ষ দশে থাকা ডোমিনিকা সিবুলকোভা ও গারবিন মুগুরুজাকে হারিয়ে দিয়েছেন। চার নম্বর তারকা সিমোনা হ্যালেপ অবশ্য সময়টা তেমন ভাল কাটাচ্ছেন না। সম্প্রতিই সেন্ট পিটার্সবার্গের কোয়ার্টার ফাইনালে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়ে সরে দাঁড়ান তিনি। ইন্ডিয়ান ওয়েলসে অংশ নিলেও শারীরিকভাবে কতটা ফিট সেটা নিয়ে আছে সংশয়। ৫ নম্বর সিবুলকোভা এ বছর ৮ ম্যাচ জিতলেও হেরেছেন ৬টি। ৬ নম্বর এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানস্কা দুবাইয়ে মার্কিন কিশোরী কিকি বেলিসের কাছে হেরে গেছেন দুবাইয়ে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেরও দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছেন। এ বছরে তার সেরা ফলাফল সিডনি ইন্টারন্যাশনালের ফাইনাল খেলা। সেখানে তিনি হেরে যান ব্রিটিশ তারকা জোহানা কন্টার কাছে। ৭ নম্বর মুগুরুজা সম্প্রতিই পায়ের পাতার ইনজুরিতে পড়ে দুবাইয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে সরে দাঁড়ান। উরুর ইনজুরি নিয়ে এর আগে ব্রিসবেন থেকেও সরে যেতে হয়েছিল তাকে। তবে মেলবোর্নে কোয়ার্টারে খেলেছেন। ৮ নম্বর তারকা সভেতলানা কুজনেতসোভাও আগের ফর্মে নেই। গতবার ইন্ডিয়ান ওয়েলসের প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে এবার ইন্ডিয়ান ওয়েলসেও অন্যতম ফেবারিট সেরেনা।
×