ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বেরোবির হঠকারী সিদ্ধান্ত ॥ চাকরি হারিয়ে বিপাকে বীথিকা

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৮ মার্চ ২০১৭

বেরোবির হঠকারী সিদ্ধান্ত ॥ চাকরি হারিয়ে বিপাকে বীথিকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৭ মার্চ ॥ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে এমফিল গবেষণা কার্যক্রম বন্ধ করায় গাইবান্ধার এমফিল গবেষক বীথিকা রায় ডিগ্রী থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে চাকরি হারিয়ে এখন তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন। মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি ক্ষতিপূরণসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই অন্যায়ের প্রতিকার দাবি করেছেন। লিখিত বক্তব্যে বীথিকা রায় উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালে বগুড়া কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। এক পর্যায়ে উচ্চতর গবেষণার সুযোগ পেয়ে ২০১১-১২ সেশনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ড. গাজী মাজহারুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ‘কালেক্টিভ প্রসেসেস ইন ডাস্টি কোয়ান্টাম প্লাসমাস’ বিষয়ে এমফিল শুরু করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য একেএম নুরুন্নবী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অজুহাত দেখিয়ে ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তার গবেষণা কার্যক্রম স্থগিত করেন। একদিকে গবেষণা কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রতা অপরদিকে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের শর্তাধীন ছুটি সংক্রান্ত জটিলতায় তাকে চাকরি হারাতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা এবং গাফিলাতির কারণে বর্তমানে তার জীবন দুর্বিষহ এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তিনি এমফিল ডিগ্রীসহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে পুনর্বাসন অথবা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দেয়ার দাবি জানান। সেতুর অভাবে দুর্ভোগ ৩৪ গ্রামের মানুষের নিজস্ব^ সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার, ৭ মার্চ ॥ মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজিরবাজার সংলগ্ন মনু নদীতে ব্রিজের অভাবে সদর, রাজনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই ৩ উপজেলার ৩৪টি গ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের অভাবে লেখাপড়া ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নদী পারাপারের ভয়ে অনেকেই অল্প বয়সে লেখাপড়া ছেড়ে অন্য কাজে জড়িয়ে পড়ে। ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী স্বাধীনতার পর থেকে দাবি জানিয়ে এলেও অদ্যাবধি আলোর মুখ দেখেনি অবহেলিত তিন উপজেলার মানুষ। বর্ষা মৌসুমে ২টি নৌকা এবং শুকনা মৌসুমে পাশাপাশি ২টি সাঁকো দিয়ে পারাপার হন ওই ৩ উপজেলার ৩৪ গ্রামের লক্ষাধিক নারী-পুরুষ। বর্ষা মৌসুমে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নদীতে নৌকা পাওয়া যায়। রাত ১০টার পরে ওই নদীতে মাঝি থাকেন না। মাঝি না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বাজার করতে আসা, শহর থেকে ফিরে আসা ও অন্যান্য জায়গা থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের। খুলনায় ৮৪ হাজার হতদরিদ্র পাবেন ১০ টাকার চাল স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনায় হতদরিদ্রের মাঝে ১০ টাকা মূল্যের চাল বিক্রির কার্যক্রম পুনরায় শুরু“হয়েছে। জেলার নয় উপজেলায় তালিকাভুক্ত ৮৩ হাজার ৯৪৪ জন হতদরিদ্র এই চাল পাবেন। মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাস প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। খাদ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আপৎকালীন সময়ে হতদরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই চাল বিতরণ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নবেম্বর এই তিন মাস চাল দেয়া হয়েছে। তখন চাল বিতরণ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় পুনরায় এই কার্যক্রম চালু নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। তবে সব সংশয় দূর করে হতদরিদ্রদের মাঝে ফের এই কর্মসূচী শুরু হয়েছে। সোমবার ফুলতলায় জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এই কর্মসূচী উদ্বোধন করেন।
×