ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আর হেফাজতীদের কাছে আত্মসমর্পণ বা আপোস নয়

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ৭ মার্চ ২০১৭

আর হেফাজতীদের কাছে আত্মসমর্পণ বা আপোস নয়

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা অগ্নিসন্ত্রাসের জন্য বিএনপির নিবন্ধন বাতিল করার দাবি জানিয়ে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোন অপশক্তির সঙ্গে কোন আপোস হবে না। আর হেফাজতীদের কাছে আত্মসমর্পণ বা আপোস নয়, বরং তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। এদের সঙ্গে আপোস করলে শুধু সুপ্রীমকোর্টের ভাস্কর্য নয়, অপরাজেয় বাংলাসহ সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সকল ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার ঔদ্ধত্য দেখাবে। এদের সঙ্গে যতই আপোস কিংবা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া হোক না কেন, নির্বাচনের মাঠে হেফাজতীরা কোনদিনই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির পক্ষে থাকবে না। রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রথমে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সরকারি দলের ডাঃ আফছারুল আমিন, দবিরুল ইসলাম, মকবুল হোসেন, শেখ আফিল উদ্দিন, তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়াল, জাসদের রেজাউল করিম, তানসেন লুৎফা তাহের বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদ, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু প্রমুখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেলেও অর্থনৈতিক মুক্তি এখনও আসেনি। স্বাধীনতার এতো বছর পরেও পাকিস্তান একাত্তরে তাদের পরিচালিত গণহত্যার বিষয়টি বিকৃত করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ বিএনপির আমলে উত্থান ঘটে। হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলা ঘটানো হয় বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগতভাবে এসব জঙ্গীবাদ দমন ও মোকাবেলা করতে হবে। বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে বিএনপি-জামায়াতের ভয়াবহ আগুনসন্ত্রাসের নেতৃত্ব দেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, নির্বাচন এলেই খালেদা জিয়ার গায়ে আগুন জ্বেলে ওঠে। নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। হঠাৎ সুর পরিবর্তন করে বিএনপি এখন বলছে কেয়ামত পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নাকি তারা নির্বাচন করবে না। নির্বাচনে না এলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে, অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোন আপোস করে লাভ হবে না। হেফাজতীদের সঙ্গে আপোস করলে শুধু সুপ্রীমকোর্টের ভাস্কর্য নয়, অপরাজেয় বাংলা, রাজু ভাস্কর্যসহ মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতিচিহ্ন ভেঙ্গে ফেলার দাবি জানাবে। যত আপোস, পৃষ্ঠপোষক কিংবা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া হোক না কেন, হেফাজতীরা কখনই ভোটের ময়দানে সরকারের পাশে দাঁড়াবে না।
×